পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড এক আসিয়া পৌছিলাম, সেখানে ব ৰ পাছ পুপিত বৃক্ষলতা সব কাল মস্তকশূন্ত । শুনিলাম তিব্বতে নাকি দেখিতে পাইলাম, কিন্তু এ স্থান ভীষণ ৰঞ্জ জর আবাস, নরমুণ্ড দিয়া একপ্ৰকাৱ পূজার উপকরণ প্ৰস্তুত হয়, তাই এখানকার সাপেক্ষা নিরীহ জীব ী গ । বনে রাবি নরমুণ্ডের এত আদর সমাগত হইল, আমরা এক পৰ্ব্বতের খাঁজের ভিতর রাত্ৰি ক্ৰমে খরপে অথবা “শাকা প্ৰামে পৌছিলাম যাপন করিলাদা। ১৯৫ তারিখে উত্তর-পশ্চিম মুখেই সেখান হইতে পথে-পথে বিশ্ৰাম কবি৷ ১লা জুলাই দিলাম, পথের দৃশ্য ক্ৰমে আরও মনোহর হইতে লাগিল । ধবলগিরির শিখর পার হইয়া হিমাচলের অপর দিকে নামিয়ে আমরা ক্ৰমশঃ ননিবিড় উন্নত শিখরের নিকটবৰ্ত্তী হইতে আরম্ভ করিলাম । যখন একেবারে ধবলগিরির পাদদেশে লাগিলাম । আমি পথশ্ৰমে এতই কাতর হইলাম যে আমার আসিলাম তখন আমার সঙ্গের বোঝাও হালকা ইয়৷ , সদায় বোলা সঙ্গীকে দিয়া অতি কঠ পায় পাৱ যাইতে গিাছে—বিস্তৱ আহাৰ্য্য উদয়ত্ব কবিয়া ফেলিয়াছি। এখন লাগিলাম। দেহ শ্ৰান্ত, ক্লান্ত, অসঙ্গ, কিন্তু চারিদিকের আমার বোকাটি বেঙ্কপ দাড়াইয়াছে তাহা নিজেই বছৰ অৰ্শনীয় প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য আমার দৈহিক যন্ত্ৰণা লাইয়া করিতে পাৰি । দ্বিজেছিল । আমি বিস্মবিশ্বাৱিত নেত্ৰে, সৌন্দৰ্য্যের . অামার ভারবহনকারী ভূত্যের আর কোন আবদ্ধতা লীলাভূমির দিকে চক্ষু ফেলিয়া স্তৱ হইয়া দাড়াইয়া নাই, তখন সঙ্গীর দিকে চাহিয়া বলিলাম, এই নীচে ছিলাম—একবার বিমানীমণ্ডিত শুদ্ৰ শিখরের দিকে চক্ষু উপতাকা-পথে আমি একাই যাইব, তুমি দেশে ফিরিয়া মেদিয়া দাড়াইলাম, বোধ হইতে লাগিল যেন কত যুগ যাও, আর অামার সঙ্গে আসিবার প্রয়োজন নাই থা ধরিয়া ধানী বুদ্ধ স্তন্ধ হইয়া সমাধিতে মগ্ন আছেন সঙ্গীটি ত এ আশ্চৰ্য্য কথা শুনিয়া হতবুদ্ধির মত চাহিয়া ভাই আমার দেবতার ধ্যানস্থ সৃষ্টি আমার চক্ষে ভাসিয়া ছিল সে ভাবিল এ বাকি বলে কি ? ক্ৰমে অব উঠিল। আমি বাক্যহাৱা স্পন্দহীন, সৌন্দৰ্য্য-সাগরে হৃদয় কিয়া বলি "এ পথে একা গেলে তুমি বিৰে, বোধিস ঘ, কিন্তু সঙ্গী আমার এই পরম ভোগে বাধা দিয়া ধাৰা দেবতারাও এ পথে যাইতে পারেন না, তুমি নিশ্চয় মহিৰে দিয়া মলিল আরে কর কি, দাড়াইয়া ব্লছিলে কেম আমি তাহার কোন দুক্তিতৰ্ক অনুনয় বিনয় শুনিলাম না তাইলে মক্সিৰে, চল । চল আমি একাই গাইব দিয়। আমার দৃঢ়তা দেখিয়া লোকা শক্তিহীন । সে ব্যক্তি আমার -হাত ধরিয়া বিবা-মুখে যাে-পথে আসিয়াছিল সে-পথে যাত্ৰা করিল। হশ মাইল নামাইয়া লইয়া গেল। এখনও অনন্ত-তুষার- আমি তাহার গতিশীল মূৰ্ত্তির দিকে তাকাইয়া ব্লছিলাম, আৰাৱ পৰ্ব্বতের ফাটলে রাত্ৰি বাস করা গেল যেই সে পৰ্ব্বতের অন্তরালে অদৃশ্য হইল অমনি আমি দীৰ্ঘ ন আবার অন্য এক পাহাড়ে আরোহণ নিশ্বাস ফেলিয়া সেই সংকটময় পথে একাকী যাত্ৰা করিলা করিতে আরম্ভ করিলাম। নীচের উপত্যকায় নাহ” এইবার যেসব অভিহ্মাতা লাভ কৰিলাম, কতবা যে নামে একপ্ৰকার মৃগ চরিতেছে দেখিলাম । টু মৃত্যুমুখে পড়িয়া কত বিপদ হইতে যে আশ্চৰ্য্য উপায়ে ঠা কিছু দূরে অন্য পাহাড়ে একদল বস্তু চমী বগা পাইলাম তাহার আর গণনা হয় না দেখিলাম। দুরের পাহাড়ে একপ্ৰকার অ্যত জীব সালের ১লা জুলাই হিমাচলের সেই নি া গেৰিলাম, সঙ্গী বলিল সেগুলা বরফের নেকড়ে। দূরে ভীষণ কঠিন পথে আবার একাকী যাত্ৰা আৱম্ভ হইল। সঙ্গী এক যজ্ঞ কুৱা দেখিলাম, ইহাৱা বড় ভীষণ হিং, ইহাদেৱ কম্পাস হয়, আর পথপ্ৰদৰ্শক এক তুষাঙ্গের উপ সম্মুখে পঢ়িলে কোন জীবের রক্ষা নাই। পথে পণে বরফের রাখিলাম । প্ৰথম দিন বরফের উপায় শয়ন কলিম । উপর সাদা সাদা পশুর হাক, মাঝে মাকে বরফের নীচে এক. —দ্বিতীয় দিন, পাহাড়ের ঘাটলে ।-তৃতীয়দিনে ধবলগিৰি একটা নৱকাল দেখিলাম । হয়ত হতভাগ্য পথিক শেষসীমায় পৌছিলাম। এখানেই নেপাল রাজ্যের শেষ কোন সীতে মৃত্যুম্বুথে পঢ়িাছে আশ্চৰ্যার বিষয় এই তিব্বত রাজ্যের অার । আমি তবে আজ তিন ২য় সংখ্যা] তিব্বত রাজ্যে তিন বৎসর ১৮৩ জোর ঘাৱে আসিৱা উপস্থিত হইয়াছি । এখানে একবার মুখে যাত্ৰা করিবার কথা । কিন্তু কোন পথে গেলে আমি ধাইলাম। দক্ষিণের দিকে চাহিয়া দেখি ধবলগিরি ও সহজে মানস সরোবরে উপস্থিত হইতে পাৰি তাহাবুবিয়ে তাহােৱ উষ্ঠ পাৰ্থে চিরতুষারাবৃত শিখরমালা-উত্তরে চাহিয়া পারিলাম না। সঙ্গে কম্পাস আছে বটে, তবু ভাবিতে খেতিকাত রাজা প্রসারিত, রজত রেখার জায় কত নদী লাগিলাম—কিছুক্ষণ চিন্তা করিয়া উত্তর-পশ্চিম মুখে ধাৰা যেন মেঘলোক হইতে অবতীর্ণ ইয়া আঁকিয়া বাকিয়া করিলাম। এতদিন হিমাচলের যেদিকে ছিলাম সেদিকে বোম-পথে অদৃশ্য হইয়া গিয়াছে। হা এতদিনে তিব্বত রাজা সুৰ্য্যের কিরণের অপ্রতুল ছিল না ; পথে বয়ন্ত ছিল বটে মাত্র দৃষ্টিগোচর হইল। কত কথা জাদ আমার চিয়ে তাহা খুব গভীর নয় ; এ যে হিমাচলের অপর দিক দ্বিত হইল—সেই বুদ্ধগয়া, সেই বোধিবৃক্ষতলে বিকাল, দেশে লেী নাই আর শীতও প্ৰবল, পথের বরফ খুৰাগীয় জামায় দেবতা বুদ্ধের ধান, সেই আমার স্বদেশ, আমার স্থানে স্থানে ১৪১৫ ইকি বরফের ভিতর জামায় পাসিয়া আজ সকলে কোথায় ? অামি ১৮৯৭ যাইতেছে—আবার কোন স্থানে বরফের গভীরতা ৭ সালের ২৬ জুন স্বদেশ হইতে বিদায় গ্ৰহণ করিয়া ইকির বেশী নয়। স্থানে স্থানে বহুফের ভিতর আমায় পা আসিয়া আজ ১৯ সালের ৪ঠা জুলাই তিকাত সাজো এমন বসিয়া যাইতে লাগিল যে অতি কষ্ট আমি পা ৰাছির পদাৰ্পণ কবিৰ ! আমার হৃদয় আজি আশা কৃতজ্ঞতা ও করিতে পারিলাম এই প্রকারে তিন মাইল নামিবা পঞ্জ অনেৰে উৎফুল্প হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু আজ আমি বই বরফশ্বনা দেশে আসিয়া পৌছিলাম—সেখানে বালুকা আয় শ্ৰী ক্লান্ত ক্ষুধা । ধীরে ধীরে একখানি পাথরের উপর নাড়াহুড়ি । আমি দেখি এত দিনে আমার ভুটা পাছা বসিয়া বহু হইতে যত্নপূৰ্ব্বক সৰ তুষার স্বাড়িয়া ফেলিলাম জীৰ্ণ হইয়া গিয়াছে—পা বাহির হইয়া পঢ়িাছে, ধারা পরে আহাৰ্ব্বা দ্রব্য বাহির কবিয়া মাতাবের আয়োজন পাথরে বিদ্ধ হইয়া অামার পা কাটিয়া রক্ত পড়িতে লাগিল । গমের পিষ্টকে মাগম ও বরফ মাখাইলাম যত দুব চলিলাম সমুদায় পথ রক্তচিহ্নিত হইল। জাভা হাতে লবণ ও মরিচের গুড়া মাখাইয়া আমার ভোজনের চরণে পথ চলা বিষম বোধ হইতে লাগিল, পূৱে বোঝা যথাৰ্থ স্বায়োজন সমাপ্ত হইল কি অমৃতই সেদিন ভোজন দুৰ্ব্বহ বোঝার স্নায় বোধ হইতে লাগিল। পাচ মাইল নিলাম তাহা অার বলিবাের নয় । দুই বাট উপযুপরি এইভাবে চলিয়া বরফজলে পূৰ্ণ দুইটি হ্ৰদ দেখিতে পাইলা, নিশেষ করিলাম। এমন সুগের ভোজন কদাচ ভাগো ঘটে তাহাদের পরিধি ২ বা ২ মাইলের অধিক হইবে না। উত্ত আমি এখানে একটি কথা বলিয়া রাণি—চিরদিন আমি দেই অনেক সুন্দর সুন্দর জলচর পক্ষী দেখিলাম । কাহারী। একবার মাত্ৰ উদর পুরিয়া প্ৰিহবে ভোজন চারিদিকের দৃশ্য বড়ই মনোরম বলিয়া বোধ হইল। দৈহিক — র দুইবার চা ও সামানং শুফল খাইয়া থাকি সাণা তুলিয়া আমি দেৱ স্বচ্ছ বারির দিকে চাহিয়া দ্বাজ আমি যাহা আহার করিলাম নিতা অল্প নয় এবং হিলাম। হ্ৰদ দুইটির নিজের নামে নামকরণ কৰিলা ও বটে আবার একটু নামিয়া দেখি লাউ-এর আকৃতি আজ-কাট জাহার ত করিলাম। চারিদিকেই আমার অনন্ত ক্ষুদ্ৰ হ্ৰদ । উত্তর-পশ্চিম মুখে আর কিছু দূর গিয়া দেখি য়িত তুষারময় দেশ—উত্তরে দক্ষিণে পূৰ্ব্বে পশ্চিমে । অদূৱে পৰ্ব্বতের উপর দুই-তিনটি তাবু পড়িয়াছে। সে স্থানে জাজ জানলে আমার চিত্ত উৎফুল্ল ! কিন্তু যাত্ৰ কবি কোন তাবু দেখিয়া বই আশ্চৰ্য্য বোধ হইল এবং ভাণ্ড হুইল যদি আমি তাহাদের নিকট উপস্থিত হই—তাহ হইলে এই দ্বাদশ অধ্যায় । বিজন দেশে একটি আগা দেখিলে তাহাদেৱ সংহ হইবে । কি উপায় করি। মনে করিলাম অপৰ দিকে পেখেৱ সংবাদ যতদুর সংগ্ৰহ কৰিতে পাবিয়াছিলাম, সেই গিয়া পাহাড়ের পশ্চাত্ত্বে লুকাই থাকি-কিন্তু তাহাতে মাৱে মানস সবোৰয়ে না পোঁছান পৰ্য্যন্ত ক্ৰমাগত উত্তর আবার করে একশেষ দুইবে । আমাদের দেশে ধৰ্ম্মশাৰে