পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৪ প্ৰবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড লুক্ত রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুৰ প্ৰমুখ বঙ্গেয় অনেক যোগ্য সকলে নিয়মিত পেচাদা দেন না দিলেও, সভ্য আরও লোককে তিনি গ্ৰীষ্মাবকাশের পর হইতে পরিষদে তাঁহাদের অনেক বেশী হওয়া আবশ্যক কারণ, বাংলাভাষা ও নিৰ্বাচিত বিষয়ে ব্যাথান বা অভিভাষণ পাঠ কবিতে সাহিত্যের মঙ্গলসাধন বে-সমিতির উদ্দেশ্য, তাহার অনুরোধ করিয়াছেন এইগুলি পরে মুদিত হইবে যত ইচ্ছা বাড়ান যাৱ, এবং বাড়ান কৰ্ত্তব্যও বটে । কিন্তু ভাল করিয়া কাজ করিতে হইলে বিস্তর টাকার দরকার। পরিষদের সংস্কার । সভ্য বাড়াইলে এবং দেশের লোকদের পরিষদের প্রতি যিদের আয়ব্যয় সম্বন্ধে নানা কথা বহুদিন হইতে অনুরাগ বাড়াইতে পাৰিলে, টাকার অভাব কখনই হইবে কোন কোন খবরের কাগজে ও মুখে মুখে দুটিতেছে। আমরা না । কিন্তু সাতি, শুনিলাম, পরিষদে কথন যাহা হয় নাই পরিষদের সহিত সংসৃষ্ট না থাকার ভিতরকার কথা অবগত এহুপ একটি ঘটনা ঘটায় সভ্যসংখ্যা বাড়িবার সম্ভাবনা ছি। কোন না কোন সুত্ৰে কিছু জানিতে পারিলেও, কমিয়াছে, এবং কতক গুলি, লোকের পরিষদের প্রতি কাগজ-পত্ৰ না দেখিয়া নাম বরিয়া কিছু বলাও সঙ্গত নহে । বাগ না বাড়িয়া বিরাগ অগ্নিবার সম্ভাবনা , হইয়াছে । কিন্তু এই সকল বিষয়ে যেসব মূলনীতি অনুস্থত হওয়া বৰ্তমান সভাপতি মহাশয় দলাদলি বাহিরে, কিন্তু মানুষের উচিত, তাহার আভাস দেওয়া যাইতে পারে ইহাৱা মন বদলান তাহার সাণালীত । কাহার কি অভিসন্ধি পাবদের বেতনভোগী কৰ্ম্মচারী, মাহীদের ছাপাখানা তাহা তিনি জানিবেনই বা কেমন রিয়া ? পরিষদের পন্ধিবদের কাল হয়, কিম্বা অল্প যে-কোন প্রকারে যাহারা সভ নাচনে নাকি এইরুপ নিয়ম আছে যে একজন পরিষদ হইতে টাকা পান, তাহাদেৱ কাহাৰও পরিষদের সভ্যও যদি কাহা ও নিৰ্ব্বাচনে আপত্তি করে, তাহা হইলে কাৰ্য্যনিৰ্বাহক সভা বা অন্য এমন কোন কমিটিতে থাকা তিনি নিৰ্ব্বাচিত হইতে পারেন না । যে ঘটনার কথা৷ উচিত নয়, যাহার টাকা খরচ বা মধুর করিবার বা কৰ্ম্মচারী লিতেছি, তাহার. আগে কাহার ও নির্বাচনে আপত্তি হয় দের বেতন বাড়াইবা ক্ষমতা আছে। এই নিয়ম যদি নাই হইবার কোন কারণও নাই এই নিয়মটি এখন না থাকে, তাহা হইলে নূতন করি এই নিয়ন উঠাইয়া নেওয়া উচিত। যে সমিতিতে রাজনৈতিক প্ৰতি হওয়া উচিত নতুবা, পরিষদের কোন কোন বিধ বগা হয়, যাহাতে নরনারীর সামাজিক অবাধ সত্য নিজের স্বাৰ্থসিদ্ধির স্বল্প, অতিরিক্ত ব্যয় , করাইয় । সন্মিলন হয়, কথা ঘাঁহাতে বৈধ অথচ গোপনীয় কোন তাহাকে ঋণগ্ৰস্ত করিতেছেন, একণ অপবাদ নিরসনের পরামণ বা মঙ্গুণ হয়, তাহাতে নিৰ্বাচনের এইরুপ নিয়ম কোন উপায় থাকিবে না শুনা যায়, পুস্তকমুদ্ৰণাদি অগ্ৰক হইতে পারে কি পরিষদ এক্সপ কোন ত, বৰ্তমান সভাপতি মহাশয়েব আনলেৰ প্ৰকরেই সমিতি নহে টক, এখন ঘটনাটির পরিষদের একপ বায়ু হইয়াছে যে, কতৃপক্ষ স্থায়ী পথ যাহা শুনিয়াঙি ধণি ও ভাঙিহে বাধ্য হইয়াছেন । ইহা সত্য হইলে বলিতে কিছুদিন হইল, ১৭৮০ জন ভদ্ৰলোকের নামনিৰ্ব্বাচনের হইবে, যে, তােহাৱা অস্কার কাজ করিয়াছেন পরিষদ স্ন পরিবদের নিকট উপস্থিত করা হয় ; ঠিক কত জন যত বই ছাপেন, তাহা কোনখানাই কি পরে ছাপিলে বলিতে পারি না, তবে ৭০ এর কম নয় সকলেরই নাম তি মা ? কোনণানারই লেখকের কি মুদ্রণব্যয় যথাৰ্নীতি প্ৰস্তাবিত ও সমৰ্গিত হয় । কিন্তু একজন সভ্য নিৰ্ব্বাহক্ষম ধংশধর বিদ্যমান নাই ? অাম পরিষদের প্ৰস্তাবিত ৩ কিথা ৪ জন ছাড়া আর সকলের সম্বন্ধে আপত্তি বহি ২১ খানা ৰে না দেখি, তা নয় সৰগুলাই এমন আছে বলায় তাহা নিৰ্ব্বাচিত হন নাই। আপত্তির কারণ অমূল্য নিধি নহে, যে, তাহা স্থায়ী ফাগু ভাবিয়া ছাপাইতে জানাইতে তিনি নিয়মানুসারে বাধা না থাকায় কারণ হইবে বলেন নাই । ইহা সম্ভব নয় যে এই সব লোকের পরিষদের সন্তাসংখ্যা বোধ হয় ছ হাজারের উপৰ হইবে। প্ৰত্যেকেই তাহার জানা লোক ; তাছাদের নিবাস নান৷ বিবিএস পরিষদের সংস্কার ১১ ২য় সংখ্যা] ফায়গায় । যাহাদের সঙ্গে কিছুই জানা নাই, তাবাদের যে তাহারা ব্যতীত পরিষদের কাজ চলিতেই পারে না। নিৰ্ব্বাচনের বিরুদ্ধে এপ সমষ্টিগত ভাবে বালি-বাধা মাডষ্টোন মরিয়া যাইবার পরও ব্রিটিশ সাম্ৰাজ্য চলিতেছে। জাপতি বিস্ময়কর ব্যাপার লোকে পাইকারী লৰ্ড বাট্‌স এবং লর্চ কিচনার মরিয়া যাইবার পরও ইংরেজ হয়ে জিনিষ কেনে ; কিন্তু পাইকারী ভাবে শিক্ষিত যুদ্ধে জয়লাভ করিতেছে । এসুইথের মন্ত্ৰীসভার পরিবর্তে লোকে আপত্তিও করে, এটা নুতন ব্যাপার বট নূতন মগ্রীসভা গঠিত হইবার পর ব্রিটিশসাম্ৰাজ্য , ছায়গার আশ্চৰ্গের বিষয় এই যে আপত্তিকারী মহাশয় ৩৪ জন হইয়া যায় নাই। পরিষদ ব্রিটিশ সাম্ৰাজ্য অপেক্ষা বৃহৎ লোকের ৰিৱন্ধে আপত্তি করেন নাই । এই গুজব ব্যাপার নহে। ইহা চালাইবার লোক একান্ত ছল নহে যি সত্য যে, তন্মধ্যে পুলিসকোটের দুজন কৰ্ম্মচারী বাহারা এ পৰ্যন্ত পরিষদের জন্ত পৰিশ্ৰম করিয়াছেন, আমরা আছেন, এবং ঐ কোটের সঙ্গে আপত্তিকারী মহাশয়ের এক ভাজাদের নিন্দা করিবার জন্য এসব কথা লিখিতেছি না । আীয়ের সম্পৰ্ক আছে ? এই গুজব কি সত্য যে, তাহারা পরিষদের কল্যাণ বাহা করিয়াছেন, তজ্জন্তু বাঙালী জার-একজন ভদ্ৰলোক, হার বিরুদ্ধে আপত্তি হয়, নাই, মাত্ৰেই চিরকৃতয়াভাজন আমরা কেবল এই বলিতে তিনি পরিবদের একজন প্রভাবশালী সন্তোন আীয় বা চাই, যে, তাহাদের দৃষ্টি দেশকালপাত্ৰ-বিষয়ে সংকী সীমার কুটুম্ব ? খাহাঁদের বিৰূদ্ধে আপত্তি হয় নাই, তাহারা সাহিত মধ্যে যেন আবদ্ধ না থাকে, তাহারা যেন এক্সপ মনে না লে কৃতী বলিয়া শুনি নাই। পক্ষার হীদের বিরুদ্ধে করেন যে বাঙালী ফাতির কার্যক্ষমতা ও চরিত্ৰবত্তা একটি আপত্তি হইয়াছে, তাহাদের মধ্যে কৃতী সাহিত্যিাক আছে কোন ক্ষুদ্ৰ বা বৃহৎ দলেই আছে, অচ্চত্ৰ নাই। যদি তন হাঁদের বিৰুদ্ধে আপত্তি হইয়াছে, তাহারা মোটের উপর তিন লোক কাৰ্য্যংগৰে অবতীৰ্ণ হয়, তাহাতে ক্ষতি কি গরিষদের অধিকাংশ সত্যেরই মত শিক্ষিত এবং কৃতী বা নুতন গোক আসিলে যেমন কাজ খারাপ হইবার সম্ভাবনা তাহাদের বিংশ কোন যোগ্যতা দেখিতেছি থাকে, তেমনি নূতন শক্তি ও উৎসাহের সঞ্চার হইমার না। সুতরাং তঁহাদিগকে অপমানিত করা সৰ্ব্বপ্রকারেই সস্তাবনাও আছে । কোন কাজে, ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা গতি হইয়াছে মানিয়া না লইলে, লাভের সম্ভাবনাও কম হয় আপত্তিকারী মহাশয় অপধি কারণ না ছানাইলেও, আপত্তিকারী এবং হার পৃষ্ঠপোষকদিগের কাজটি নানাবিধ কারণ অনুমিত হইতেছে । একটা এই, যে , নদীর হিসাবে কুফল প্ৰস্থ হইতে পারে। আপত্তিকারী বৰ্তমানে পরিষদে বাঁহাদেৱ প্ৰভুত্ব অাছে, তাহাদের আঁশ মহাশয় সুশিক্ষিত ও বুদ্ধিমান লোক। তিনি নিশ্চয়ই ইয়াছিল যে সভা বাড়াইয়া হাদিগের প্রায় লুপ্ত করা খোলের বশবর্তী হইয়া কাজ করেন নাই, তাহার মতে হইবে। এইজন্য ঠাতাদেরই একজন আপত্তি কবিয়াছিলেন যথেষ্ট সাৰে এমন কোন কারণে করিয়াছেন । কিন্তু জামাদের মনে হয় না লে ৭৭৮ জন শিক্ষিত ভদ্ৰলোক থোলের অধীন ছিটুওয়ালা বা পাগল মানুষ নিতান্ত বিরল অবিচারে কাহারও নিৰ্দেশ-মত ভোট দিবেন । দিলেও, নয় । পরিষদের সভাসকলের মধো কাহারও কাছার হাজারে অধিক সভোর উপর আরও জন সত্তর বাড়িলে যদি একপ ধারণা জন্মে, যে, আর সভা বাড়া বাছনীয় নহে, কমিিট এখন যেরপ গঠিত হইয়াছে, মোটর উপর বোধ হয় তাহা হইলে তাহারা কেবল মাত্ৰ না” বলিয়া সভা-সংখ্যা প্রায় তাহাই গাড়াইত । এ আশঙ্কার আসল প্ৰতিকার, বৃদ্ধি বন্ধ করিয়া পরিষদের ভবিষাৎ মাটী কবিতে পারেন। সবল দলেরই খুব সভাসংখ্যা বাড়াইবার. চেষ্টা কর এইজন্য, একজনও আপত্তি করিলে কেহ সভ্য নিৰ্ব্বাচিত তাহাতে দলাদলি আপাততঃ প্ৰবল হইবার সম্ভাবনা হইতে পারিবেন না, এই সৰ্ব্বনেশে নিগম যতীন্ত্ৰ হিতা গকিলেও, মোটের উপর পধিদেৱ অায় বাড়িত, এবং হয়, ততই মঙ্গল । শুনিয়াছি, সভাপতি মহাশয় এই ঘটনায় অধিকতর উৎসাহের সহিত কাজ চলিত এখন বাহদের দুঃখিত হইয়াছেন। তাহ, যদি সত্য হয়, এবং ঘটনাটি হাত মত। অাছে, ত দের এমন মনে কৰা উচিত নয় সম্বন্ধে আমরা যা মিথিলাম, তাহা দি সত্য হয়, তাৰ ।