পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন অবস্থা কাৰ্যনিৰ্ণয় এক সঙ্কেত আছে। আজ কথা স্মরণ করাইয়া তাহার নিয়মাণ প্ৰাণে আশা ও উৎসাহেব আমি সেই উপাৱ গ্ৰহণ কৰিলাম । তাছা এই-ইচ্ছা-শক্তি উদ্বোধন,—এই উদ্দেশ্যের প্রেরণাই দ্বিজেন্দ্ৰলালেৰ সাহিত্য দোপ কৰি ধ্যান হওয়া, তৎপরে স্বাভাবিক ভাবে যাহা সৃষ্টির ধারা নিৰ্দেশ কবিয়া দিছিল। আসে তাছাই করা । আদি ধান হইলাম—চক্ষু মেলিয়া দেশের যাহা কিছু সমস্তই তিনি ভালবাসিতে পাৰে স্বাভাবিক ভাবে ঠাকুর দিকে চলিতে লাগিলাম। মাই। আমাদের আচারে, ব্যবহারে, সমাজে, ধৰ্ম্মে, যে ভারতে পাছিয়া বাৰি ইয়া গেল। দুব হইতে ঠাকুর সকল দোষ, ক্ৰীট, কদাচা, কুপ্ৰথা দেশের শেষবিদ লোকদিগকে ডাকিবার উপক্ৰম করিতে দেখি ৫৬টা ভীষণ অনিষ্ট করিতেছে সেগুলিকে তিনি সনাতন বলিয়া মূনিয়া কুকুর জামার দিকে দোঁড়িয়া আলিতেছে । অামাকে না লইয়া নিৰ্ম্মনভাবে উৎপাটিত করিয়া ফেলাই কৰ্তব্য মৰে লোকেৰলিয়া দিয়াছিল যে কুকুর তাড়া করিয়া আসিলে করিয়াছিলেন । ব্যাধিগষ্ট মৃতবৎ সমাজশল্পীয়ে তীয় তি হঠাৎ মাছিও না, তার মুখের সম্মুখে লাঠি দুৱাইও । তাছাই মুষ্টিযোগ প্ৰয়োগে তিনি কুষ্ঠিত হন নাই। এই কায় দিলাম। কুকুরগুলি আর কােমাইল না, তখন তাবুর বাহারা তাহার স্বদেশপ্ৰেমে আন্তরিকতার আকাৰ দেখে লোকদিগকে উচ্চকণ্ঠে ডাকিতে লাগিলাম । তাহারা এই দেশভক্তের প্রতি ঘোর অবিচার কৰে শ্ৰীহেমলতা দেবী সুদীৰ্থ কালের পরাধীনতা রুদ্ধগতি জাতীয় জীবনে কি পন্ধিল অবিলতা আসে নাই এবং তাহার ফলে কি মাদের নৈতিক ও মানসিক স্বাস্থোর অশেষ অবনতি যা নাই ? যদি তাহা হইয়া থাকে, ধৰ্ম্ম ও সমাজ নানা দ্বিজেন্দ্ৰলালের স্মৃতি-তৰ্পণ ও কুপ্ৰথায় বৰ্ণবিত এ কথা যদি সত্য হয়, ভগুৰি ও শঠতায় দেশ যদি ছাইয়া গিয়া থাকে, তাহা হইলে ীি জিলোলের কাব্যনাটকাদিৱ দোষগুণ বিচা করিবার মদাহীন মানুষ এই জাতিকে ‘আবার তোরা হ” এই প্ৰবন্ধের অবতারণা করি নাই । তাহার সাহিত্য । উঠাইতে চেষ্টা করিয়াছিলেন তাহার দেশভক্তিতে কৰি ৱৈ অন্তরালে যে উদ্দেশ্বের প্রেরণা আমরা পরিদুটপে পাকিতে পারে না। আমরা দেখিতে পাই তাহাই আজ আমাদের আলোচা । তিনি প্ৰধানতঃ লোকশিক্ষার জন্য লেখনী ধারণ করিয়াছিলেন ছিলাম বা কি, এ কি দেহিতে অনুপ্ৰাণিত হইয়৷ তােহাৱই শিক্ষা দেশবাসীকে সে কথা নাহি কাৰিয়া দেখি নিচের দোষ দোলে কেহ নাহিতে যাই ধেয়ে । বিয়া গিয়াছেন । তিনি মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে বুদ্ধিয়াছিলেন বিশ্ব মাকে নিঃশ্ব মোৱা অধম বুলি েচয়ে সুতরাং দ্বিজেলালের স্বদেশপ্ৰেমে যে আমরা আন্তরিক তাই তিনি শুধু কোমল ভাবের বন্যায় দেশকে মাবিত অভাব দেখিব তাহা বিচিৰ নহে । দাছিয়া বিজ্ঞাপের কশা ও পেীকৃষের আগুন লইয়া সাহিত্য এইক্ষণে তিনি দেশের প্রকৃত আত্মাটিকে ক্ষেত্ৰে অৱতীৰ্ণ হইয়াছিলেন। একদিকে যেমন ত গু ও তুলিতে সচেষ্ট হইয়াছিলেন আ র, যখন সাধু পৃষ্ঠদেশে তাহার এই ব্যঙ্গ-বিক্ষপের কণা বধিত হইয়াছিল তখন উদীপনার মদির দেশবাসীকে জাক ইয়াছে অপৰদিকে তেমনই আবার তাহার পেীক্ষণপূৰ্ণ করাইয়াছিলেন। তিনি বন্ধুদের নিকট বলিতেন , আগা দেশপ্ৰেদের বহিতে জনসাধারণের মন বিশুদ্ধ ও ভক্তিপুত দেশ এখন কুম্ভকৰ্ণেৱ ভাৱ ঘুমাইতেছে। রামান্ত দ্বিতে তিনি চেষ্টিত হইয়াছেন। অধঃপতিত জাতির চরিত্ৰ- কুম্ভকৰ্ণকে জাগাইবার সময় প্ৰথমে তােহা নাসিকায় পত দোষসমূহের সংশোধন, দেশেরই ইতিহাস হইতে বীরত্ব নানাবিধ সুগন্ধি দ্ৰব্য বিষ্ট কাইয়া তারপর আ মনুষ্য ও দেশভক্তির অপূৰ দ প্ৰদৰ্শন, এবং বিশেষে ব্যবস্থা করা হইয়ছিল । আমিও প্ৰথমে সকলকে ভাবিত বাঙ্গালীকে তাহার গৌরবমণ্ডিত অতীতের হাসাইবার জন্য অনেক গান ও বিয়া’, ‘অ্যহম্পণে প্ৰহসন লিখিয়াছি। সেইসঙ্গে দেশকে আৰাত করিয়াছি od dear harat 1 my beautiful maide, এবং পরে অল্পহপ উপায় অবলম্বন করিয়াছি।” দেশে মঙ্গলকামনাই যে তাহা সাহিত্য-সাধনার মূল তথাপি কি অবহেলিতে তোমায়ে পাৰি গো জনমভূমি যা ছিল তাহা এখন আমরা তাহার সাহিত্যিক জীবনের দি যে এদা, হে মোৱ ভাৱ, আজিজেশ্বতাগী, চনা হইতেই দেখাইতে চেষ্টা কবি । এই দেশানুরাগ ওগো দু ভাত আনা ত্ৰিয় নিকেতনাদি । যে তিনি তাহার যুগ হইতে ক পরিমাণে পাইয়াছিলেন And thost red dis thy pride and by glory. Of it nothing ভাৰতে সন্দেহ নাই। দীৰ্ঘ দশ শতাব্দীর জাতীয় জা Yet a laury and unline str inger, ৰসাদের পদ দেশ তখন ইংলেণী শিক্ষা And wet pleans through the mid of they shºrt, যদিও সে অব গৌরব শ সঙ্কলি পেয়েছে লয় চৈতন্তে প্ৰবুদ্ধ হইয়া উঠিতেছিল, এবং বঙ্কিম-প্রমুখ নব্যাগের কি নাই অর পেন তাহাত মান ও তর সাহিত্যিকগণ, অপূৰ্ব্ব প্ৰভাতী গাহিয়া প্ৰথম জাগরণে সে তব লাঙ্গ হেলিকা ৱেদিয়া দেখি যে সে অনন চরিতেছিলেন কি ক ম - বির কিরণ, এখনও মানে ভাসে কাৰ কাটিয়া গিয়াছিল। জননী তাহার বিপুল নীচে’ ধীরে বিশ বৎসর পরে সে প্ৰদীপ্ত স্বদেশপ্ৰেম ‘আমার দেশ ধীরে জানিতেছিলেন । সমাজে, ধৰ্ম্মে, সাহিতো, রাষ্ট্ৰে সৰ্ব্বত্রই গানে দেশে উদীপনার বহি মালিয়া দিয়াছিল এই ইংরেজী প্ৰৱল চাঞ্চল্যের সাড়া পড়িয়া গিয়াছিল জাতীয় জীবনের কবিতাতে কি তাহারই লিঙ্গ লক্ষিত হইতেছে না ? এই গীয় সময়ে দ্বিজেন্দ্ৰলালে আবিৰ্ভাব । হেমনীনের বিলাত হইতে ফিতিয়া প্ৰায়শ্চিৱ করিতে অীকা তখন প্ৰায় শেষ হইয়া আসিয়াছে ; সতি-সূৰ্য্য করায় দ্বিজেন্দ্ৰণলে যখন একঘরে হইলেন তখন তিনি ঙ্কিমচন্দ্ৰ অস্তপাত্ৰে চিন্তায় “দণত’ে অভিনিদিষ্ট ক্ৰোধে ক্ষিপ্ত প্ৰায় হইয়া ভীষণভাবে হিন্দু সমাজকে স্বাণ বির কিরণালোকে বঙ্গ-গগনের প্রাচীদেশ উল্লাসিত করি একঘরে’ নামক পুস্তিকা লিখিলেন । এই পুস্তক এই সময়ে বালক দ্বিজেন্দ্ৰলাল তাহার অদষ্ট দহ হাম উপলগ কবিয়া তাহাত দেশপ্ৰতিসম্বন্ধে আন দ্বিত সঙ্গীতমালিকা ‘অৰ্থাগাগা’ ‘জননী বঙ্গভাষা’র ‘অমল বাগবিতগু হইয়াছে বলিয়া আমরা ইয়ার সম্বন্ধে এক কমলে’ নিবেদন কবিলেন। উনবিংশ -বৰ্ষ-দয় তরুণ বিস্তারিত আলোচনা কবি। ইহার ভাষা যে অতান্তীয় দ্বিজেন্দ্ৰলালের প্রাণ তখন হাইতেই দেশের দশা তাহা লেখক নিজেই স্বীকার কবিয়াছিলেন । নমুনা-স্বজ কাদিত । তাহার এই প্রথম কাব্যের ভূমিকায় তিনি আমরা শেস কয় ছত্ৰ উদ্ধত করিয়া দিতেছি—- তেছেন, “যদি হতভাগিনী কাহারও অধঃপতিতা নিী হি সমাজ পচিতেছে—পৃথিবী লতা, মহাজাতি আবৰ্জৰ বানির নিমিত্ত নেৰ প্ৰা কদন সিৰু ইয়া থাকে তি, প্যাহত হিন্দুজাতি অঙ্গ পচিতেছে আৰ্য্যগাথা তাহারই আদর চাহে সেনাপতি, হাতি হাজ পতিতে ৰিলাতে অবস্থানকালে । দ্বিপেলালে দ্বিতীয় গ এই তীব্ৰতার সহিত কোন কোন স্থলে বাঙ্গ মিশ্ৰিত রেজীlyrics of প্ৰকাশিত হয় । সুদ প্ৰবংস স্থল আছে— তুমির জন্য যে তাহার সদয় দুঃখ ও বেদনায় অংকুল ইতাহা এই পুস্তকের প্রথম কবিতা The করে, কে গাৱ যোৱত বৰ্ণ কে ী লিয়া ঢালি ও Sun হইতে আমৱা দেখিতে পাই । কবি ভারত পরের যে যাতন হয়, হিন্দুকে আজ হাতি বলিলে আমার শরীরে বেদনা হয় যায় এক অতি গৌরবোজ্জল বৰ্ণনা দিয়া শেষে যাচা কিন্তু তিনি হিন্দুজাতি ও সমাজের উপর যে এ গালি, লিতেছেন আমরা তাহাব অনুবাদ দিলাম বৰ্ষণ কবিয়াছিলেন 0 my land Can I cease to adore thee, bought loom and to miery hurled ? ১৯—-