পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী পৃথিবী প্ৰতি ঠাবাদের এই দরদেই । sympathy) শিল্পের ভিত্তি । অৰ্থৰ বেদে এই ধরদের অন্ত নাই। এ তবধে বিহিতা হায়নী হোৱাং পৃীি নো দুহাতা পৃথিবীকে ধিয়া তাহদেৱ দা ভজিয়া উঠিয়াছে। রয়ে, আনন্দের এই বৈচিত্ৰ্য অথৰ্বণদের হে মাতা ভূমি, তোমার গ্ৰী, তোমা বৰ্ষা, তে মা হৃদয় গ্নিদেবীর পাদপীঠ হইয়া উঠিয়াছে । বৰ্ণ ও অপবৈচিত্ৰো শরৎ-হেমন্ত, শিশির বসন্ত ; তোমার সুবিস্ত ঋতু, সংবৎসৱ আখৰ বিয়া তোমা দিবা ও প্রাত্ৰি তোমার বা র থধায়ার ভায় ক্ষরিক হউক মহীকে তাহারা স্তৰ করিয়া বলিতেছেন— যন্ত্ৰা গাস্তি নৃতাত্তি কুমাঃ মও)। বৈালিকা: ( মিয়ান্তে পৰ্ব্বতা হিমবাহরণ্যং তে পৃলিী সোনমন্ত মুখ্যান্তে ঘামালো ঘঞ্চাম বসতি সুন্দন্তিা 1 । অীতো হতো অন্তোধা6াং পৃথিবীমম , অ ১২, ১ কোলাহল নিমগ্ৰ মৰ্ত্তাগণ যে ভূমিতে হে পৃথিবী, তোমার গিছি, তোমার তুষারাবৃত পৰ্ব্বত করিতেছেন নৃত্য করিতেছেন, সাহাতে যুদ্ধ নিনাদ খিার অরণ্য আমার সুখকর হউক । কৃষ্ণবৰ্ণ, অরুণব, বিচিত্ররণা। এই দেবাসিত হৃগণ শকুনা ব্যাংলি যা বাতো মাক্সিথেয়তে মাংসি ; শ্যাবয়ংস খান হাতি নিবীদেৰ কুমে। (সােব ১২, ১ সাহাতে হংস, সুপৰ্ণাল, শকুন্ত ও ছোট বড় সব পক্ষী । হেৰি আনি উড়িয়া চলিথাছে, বাহাতে বা ধূলা উড়াইয়া বৃক্ষগণ, তোমার কোলে যেন বসিতে পারি । দোলাইয়া মায়ের অপ্তরে নিশ্বাসের নায় প্ৰব } বেতো জ্যোরিতং মতো টান স্বাধা ব্লগ্নিঙি নোতি যেই মৰ্ত্তাগণের জন্য সূৰ্য্য উদিত হইয়া স্বীয় অালোক বিভোগ অতনামা ; জোতি-অমৃত ছড়াইয়া দেন । যেই মাতা পৃথিবী অর্ণব ও বাম্পের মধ্যে ডুবিয়াছিলে যথে গঙ্ক : পুথিবি সংসাৰ ধং বিত্ৰতো ধয়ো মাপ । বিশ্বকা বঁহাকে অস্থতিমঘে আম্বেষণ করিতেছিলেন, গতীয় যং গৰ্ব অপসৱসশ ভেদিয়ে তেল মা: সুরভিং হু । গুহার মধ্যে নিহিত নেই আনন্দময় ভোগাপাত্ৰবানি মাতুবা হে পৃথিবী তোমার যে গন্ধ রিয়া উঠিয়াছে, ওধি সন্তানগণের ভোগের নিমিত্তে আবিভূতি হইল সকল ও সলিল যে গন্ধে ভরপুর, গন্ধৰ্ব্ব ও অপু সরীগণ ংে হে মাতা পৃথিবী, তুমি আনাকে কল্যাণে সুপ্ৰতিষ্ঠিত ভাগ গ্ৰহণ করিয়াছে সেই গন্ধে আমাকে স্বরতি নিজামী, আমি বিী ১ যন্তেগ: পুষ মাৰিবেশ ধূণি গৰম তেন মাং সুরভিং হুধু , , তোমার যে গদ্য পদ্মের মধ্যে আবিষ্ট, হে পৃথিবী যে গন্ধ তোমার দিতে, সেই গছে অামাকে সুরভিত কর তোমার শিলা, তোমাৰ ভূমি, তোমাৰ পাষাণ, তোমার ধূলি সবাই যেন ধরিয়া ব্লাপিয়াছে সেই হিরণবাদ তা পৃথিবীকে নমার করি যেমন কোন উৎস ইতে উৎসারিত হয় ই সৃষ্টি ও যেন একটি রস-ধান যে উৎস হইতে এই হার উৎসারিত – তাহা জীবন্ত তাহাকে অ খণিগণ নামে কাভিহিত করিয়াছেন সৃষ্টির কাঠামোকেও স্বন্ধ বলা হয় । জীবন্ত সৃষ্টির কাঠামো কঠিন শুষ্ক কাঠ নহে-তাহা নীবন্ত টাট মান ব্লন । সেই স্থম্ভ হইতে সে সবকিছু পূৰ্ণ হইয়া উঠিতেছে উপ রন্তমুদ্ৰক: কুঞ্জে নেবোহোৰ্ষ্য পগতি সকে চলুযা ন সংকং মনসা বিঃ ভারত-শিল্পের ত্ৰৈগুণ্য । জলপূৰ্ণ কুস্তে স্থায় তিনি উপর পণ্যস্ত রসে ভরিয়া প্ৰয়োজনাতীত প্ৰাচুৰ্য্য, তাহাই শিল্পে প্ৰাণ । তাই তিনি দিতেছেন। চক্ষু দিয়া সকলে চাহিয়া েদখি, মন দিয়া তো সনাতন ও নিত্য নুতন কে জানিল না সনাতনম হন্তাধ্য স্থাৎ পুনধি; তিনি কেবল রসে পূৰ্ণ কম্বিয়া তৃপ্ত নহেন, তিনি সকল তাহাকে সনাতন বলা হইয়াছে এবং প্রতি আদ্যই তিনি সংসারকে নাম ধরিয়া ধরিয়া ডাকিতেছেন এই জাম্বানের অাকৰ্ষণে বিশ্ব যাত্ৰা করিয়াছে । বা বা নব নব ৰূপ হইতেছেন। দিন এবং রাত্ৰি একে এবং আন্ধানেরই মাধুৰ্য্য বিশ্ব স্থির হইয়া সুন্দর হইয়াছে অন্তের পকে পূৰ্ণ করিয়া জন্মগ্ৰহণ কৰিতেছেদ । । পুৰ্ণাৎ পূৰ্ণনচতি পূৰ্ণং পূৰ্শেৰ সিতে এই সৌন্দৰ্য্য প্ৰয়োজনের অতীত, কাজেই ইহা শিল্পের উতো তদা বিদ্যাম স্বতন্তং পরিধিতে । । প্ৰাণের গতি ও সৌন্দৰ্য্যের স্থিতি দুইই এই পূৰ্ণ হইতে পূৰ্ণাই উৎসারিত হইতেছে, পূৰ্ণক পূৰ্ণ সেই বিদ্যমান। হরগেীরীর নায় এই বেগ ও অভিক্তি করা হইতেছে । আজি ইহাও জানিতে পারিয়াছি কারি অৰ্ধনারীশ্বর-মূৰ্ত্তি শিল্পমন্দিরের বিগ্ৰহ সেই কোন সে সেই সেচন চলিয়াছে । মহা আহবানেই বিশ্ব যেমন জীবন্ত তেমন সুন্দর । সুৰ্বে ইয়: কলাগ্যতা মৰ্ত্তাতা গৃহে । ( , , , , পূৰ্বে উধাও পুৰ্ব্ব হইতে তিনি সকলকে ম ধরিয় মৃত্যুশীলের গৃহে এই কল্যাণী অজয়া অমৃতা তার সকল সংসার ক্ষপের পর রুপ ধরিয়া সেই ব্লসের সমুদ্ৰ নাম্বুব যেন পুস্পর ক্লায় বিকশিত বিকশিত হইয়া সেই আহবানকে সত্য করিবার দিকে হইতেছে । এ স্ত প্ৰয়োজনের মানুষ, নহে। প্রয়োজনে মাৱা করিয়াছে— ক্ষে মানুষ বস্তুমাত্ৰ । বিশ্বের কোলে মানুষ প্ৰয়োজনের মিনা জোহীতি পুৱা সুৰ্থাৎ পুরোস: অতীত অনস্তবিকাশশীল কমল-পুপ । বিশ্বসে ভাসমান বিশ্বসংসারের সকল শোভা—কেবল নানা ক্ষে বড় এই কমলের সৌন্দৰ্য্যের সীমা কোথায় ? সে যে এখানে মধুৰ কবিয়া নাম ধরিয়া প্রিয়জনকে আহবান । এই সৃষ্টির পর সৃষ্টি আৰু কুপের পর রুপ ফুটয়া। আপাং । পুষ্পং পৃদ্ৰাদি ক্ষত্ৰ তন্মায়া হিত । কলিয়াছে, তবু যেন মধুরভাবে ডাকিবা অ জলের সেই পুষ্পের কথা তোমার কাছে জানিতে চাই টিতেছে মা-হোর প্রাণও স্থিৰ হইতে পাখিতেছে না। কোন বিচিত্ৰ কৌশলে ( মায়ায় ) সে এই জলে কুটিল । তাই সৃষ্টিতে কিসের যেন খোঁজ চলিয়াছে পুত্ৰীকং তদ বৈ ব্ৰহ্মবিদো বিন্ধু । (ত্ৰ , ১৭, ৮, ৪ । এই পদ্ম-পুষ্পকে ব্ৰহ্মবিদেয়াই জানেন । কিমাপঃ সাং গ্ৰেগৰী নৈাহি কদাচন মানুষ যেন স্বল্পসে ভাসমান কমল । এই মানুষের কেন বায়ু স্থির থাকিতে পারি না, কেন মনের তোষ দহশ্ৰীও তাহাদের কম মুগ্ধ করে নাই। কি দেহ ? আশ্চৰ্য্য আর হইলই না ? কোন সত্যকে পাইতে ইচ্ছা করি কো অৰ্থ ব্যাহ সময় সীতাং কাহিতি । ধারা কখনই স্থির ইংতে ধীরত্ব করিতে যেন পারে এই বলিয়া তাহার বাহু এইসকল চঞ্চলতার মধ্যেই যে একটি নিত্য অঞ্চল থানিকে কে গড়িলেন প্তিক তমো লাষ্টং ককাটকাং এণমো যং কপালম্। পাছেল, নহিলে এত প্ৰাণের উদ্ধাস এত গতি এত প্ৰবাহ সব েয অসম্ভব হইত-সেই গৃঢ় তথ্যটি আখৰ্ব্বণগণ বিতে বিয়ছিলেন ; তাহারা বুধিয়াছেন মৃত্যুলোকের মধ্যেই কে ইহার মস্তিক ইহার ললাট ইহার মস্তকের পক্ষাদ ভাগ ও প্ৰথমে ইকার কপালখানি গঢ়িলেন ? সেই অমৃত-স্বাধীন, তাই এই মৃত্যুলোকের এত ৰূপ, কো আনি ৰূপমদাং কো মহানং চ ৰাম । ( , -২, ১২ যিনি স্থির তিনিই সৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্যের উৎস কে ইহাকে এই ৰূপ দিল, কে এই মহিমা দিল, এই কারণ সৌন্দৰ্য্য স্থিরতাকে চায় বেগ ও গতি তাহারই নাম দিল ?