পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ১৪ নভেম্বর ১৯২৭ কল্যাণীয়েষ্ণু খুফু, তোমার বিদ্রুপের প্রখর অগ্নিবাণে বড় বড় মহামোহোপাধ্যায়দের পণ্ডপাণ্ডিত্যের বর্শ্বচ্ছেদন যখন করে। তখন তার মধ্যে একটা মহাকাব্যিক মহিমা দেখতে পাই—তাতে খুসি হই—কিন্তু তোমাদের শনিবারের চিঠির সমরাঙ্গনে আহতদের মধ্যে কোনো নারীকে ধরাশায়িনী দেখলে আমার মন অত্যস্ত কুষ্ঠিত না হয়ে থাকতে পারে না—তারা অপরাধিনী হলেও । নারীদের প্রতি পুরুষস্বভাবের অন্তর্গট করুণাই তার একমাত্র কারণ নয়—আরো একটা কারণ আছে । তোমাদের হাতে মার খেয়ে অর্থনীতির অধ্যাপকের যে লজ্জা সেটা সাহিত্যিক লজ্জা,— কিন্তু মেয়েদের লজ্জা তার উপরে আরো বেশি, সেটা সামাজিক । সিভিল ক্রিমিনাল দুই আদালতেই তাদের দণ্ড । শাস্তির পরিমাণে এই যে অসাম্য এতে আমাকে বাজে । তার পরে ভেবে দেখো, বৈদিক মস্ত্রে বলেচে “ছায়েবামুগতা” ওরা যদি দোষ করে থাকে তবে সেটা পুরুষের অনুবত্তী হয়ে । এ স্থলে স্থূল বস্তুটাকে আঘাত করে যদি পেড়ে ফেলতে পারো তাহলে ছায়ার টিকি দেখা যাবে না । অনেক সময়ে মূলবস্তুর চেয়ে ছায়াকে দীর্ঘতর দেখতে হয়, মেয়েদের অপরাধও তেমনি পরিমাণে বেশি বড়ো বলে মনে સ્વ 8 ૭