পাতা:অচলায়তন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ অচলায়তন মহাপঞ্চক। পঞ্চক । তুমি বড়ো উৎপাত করছ । পঞ্চক। দাদা, এরাই গোল করছিল। আমি আরও থামিয়ে দেবার জন্যেই এসেছি। তট তট তোতয় তোতয় স্ফট স্ফট ● মহাপঞ্চকের প্রবেশ মহাপঞ্চক । তোমার নিজের কাজ অবহেলা করবার একটা উপলক্ষ্য জুটলেই তোমাকে সংবরণ করা অসম্ভব। বিশ্বস্তর। দেখুন, একটা জনশ্রুতি শুনতে পাচ্ছি, বর্ষার আরম্ভে আমাদের গুরু নাকি এখানে আসবেন। মহাপঞ্চক। আসবেন কিনা তা নিয়ে আন্দোলন না করে যদিই আসেন তার জন্যে প্রস্তুত হও। পঞ্চক। তিনি যদি আসেন তিনিই প্রস্তুত হবেন। এদিক থেকে আবার আমরাও প্রস্তুত হতে গেলে হয়তো মিথ্যে একটা গোলমাল হবে। মহাপঞ্চক। ভারি বুদ্ধিমানের মতোই কথা বললে । পঞ্চক। অন্নের গ্রাস যখন মুখের কাছে এগোয় তখন মুখ স্থির হয়ে সেটা গ্রহণ করে—এ তো সোজা কথা। আমার ভয় হয় গুরু এসে হয়তো দেখবেন আমরা যেদিক দিয়ে প্রস্তুত হতে গিয়েছি সেদিকটা উলটো। সেইজন্যে আমি কিছু করিনে। মহাপঞ্চক ৷ পঞ্চক, আবার তর্ক ? পঞ্চক। তর্ক করতে পারিনে বলে রাগ কর, আবার দেখি পারলেও রাগ ? মহাপঞ্চক। যাও তুমি । পঞ্চক। যাচ্ছি, কিন্তু বলো না গুরু কি সত্যই আসবেন ? মহাপঞ্চক। তাঁর সময় হলেই তিনি আসবেন। প্রস্থান