পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাই হোক এইসব নানা দৌরাত্ম্য থেকে রক্ষণ পাবার জন্তে আমি জানকীর মতই আমার বর্তমান অবস্থাকে বলচি তুমি দ্বিধা হও আমি অস্তধান করি। সে আমার অনুরোধমত দ্বিধা হল। একদিকে কাব্য, আরেক দিকে গান। আমি এরই মধ্যে তলিয়ে গেছি। আমি প্রায় রোজই একটি ফুটি করে বাল্যকালের কবিতা লিখচি । এই বয়ঃপ্রাপ্ত বুদ্ধিমানদের জগৎ থেকে আমি যেন পলাতক । আমার আরেকবার বোঝা দরকার হয়েচে যে এই জগৎটা খেলারই ধারা— আর যিনি এই নিয়ে আছেন তিনি নিত্য কালেরই ছেলেমানুষ । চন্দ্রসূৰ্য্য গ্ৰহতারার কোনো ব্যবহারিক অর্থই নেই, তাদের পারমাথিক অর্থ— তারা হ’চ্চে, তার হ’ল, আর কিছুই না । তারা রূপ, তারা কথা, তারা রূপকথা । এইজন্যই যখন আমরা রূপ দিচ্চি, কথা গড়চি, রূপকথা বলচি তখনই সমস্ত বিশ্বস্বষ্টির সঙ্গে আমাদের সুর মিলচে । তাই যেদিন সকালে ছোট্ট একটুখানি গান তৈরি করি সেদিন প্রকাগু এই কৰ্ত্তব্য জগতের ভারাকর্ষণটা একেবারে শূন্ত হয়ে যায়, সেদিন ইণ্টারন্যাশনাল য়ুনিভার্সিটির গাম্ভীৰ্য্য দেখে হাসি পেতে থাকে। পণ্ডিতেরা বলে থাকেন কীৰ্ত্তিৰ্যস্য স জীবতি— হায়রে হায়, জীর্ণ কীত্তির ধুলিস্তুপের নীচে কত অসংখ্য নাম আজ চাপা পড়ে আছে । কিন্তু আমার আজ সকালের গান ! মানুষ ওকে ভুলে গেলেও ও চলে যেতে যেতে অন্য গানকে জাগিয়ে দিয়ে যাবে— জগতের সেই গানের চির ধারার মধ্যে ওর গতিবেগ মরবে ন— বিশ্বস্বষ্টির ছন্দদোলার মধ্যে ওর দোলনটুকু রইল। তাই abアま