পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমাদের ছায়া পিছনের দিকে, সেদিকে তোমাদের ঔৎসুক্য নেই। আমার আলো পিছনের দিকে, ছায়া আমার সম্মুখের পথে । সেইজন্তে আমার গান, হাওয়ায় পিছনের দিকে উড়ে যাচ্চে, তার সব সুর তোমাদের কানে স্পষ্ট করে পৌছবে না । এ কবিতাগুলো এখন ছাপবার দরকার নেই, আমার মৃত্যুর পরে ছাপিয়ে । তা ছাড়া এগুলো নিয়ে কাগজে কাগজে হরির লুঠ দিয়ে না। § ইটালিতে যাচ্চি কিন্তু নতুন পরিচয়ের শক্তি আছে বলে বোধ হচ্চে না। নতুন দেশে যেতে হলে কিছু উদৃত্বত্ত হাতে নিয়ে যেতে হয়, সেই উদ্ধৃবৃত্তের অভাব বোধ করচি। মনের সামনে শিলাইদহের নদীর চর ভাস্চে, ইটালির মানচিত্রে তার স্থান নেই। এমন কি, আমার বিশ্বাস কোনো সমূদ্র পার হয়ে আজ সেখানে পৌছন যাবে না। সব মানচিত্র থেকেই সে সরে গেছে, সে কেবল আমার মানসচিত্রেই অঁাকা রয়ে গেল । কবে ভারতবর্ষে গিয়ে উত্তীর্ণ হব ইটালিতে না পৌছে এখান থেকে তা স্থির করতে পারচি নে। খুব সম্ভব, রথী জেনোয়াতে আসবে এবং তার কাছ থেকে তোমাদের সকলের এবং দেশের লোকের আধুনিক বিবরণ পাওয়া যাবে। তার পরে সকল দিক বিবেচনা করে যা হয় ঠিক করা যাবে। এতদূরে ছিলুম যে, দেশ ঝাপসা হয়ে গেছে । সেখানকার খবরের কাগজে ভারতবর্ষের স্থান নেই । সেখানকার সব চেয়ে বড় ও ভালো কাগজে অল্পদিন আগে Tower of Silence এর একটা ছবি বেরিয়েছিল, তার নীচে বর্ণনাচ্ছলে লেখা ছিল যে, এখানে d a?切