পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাস। অবহেলিত ছোট উমা সকলের অজ্ঞাতসারেই বাড়ির দেউড়ি পেরিয়ে প্রায়ই রাস্তায় চলে আসত। অন্তঃপুর থেকে হেমন্তবালা দেবীর দৃষ্টি ছিল সজাগ, তিনিই তখন ছোট্ট উমাকে নিজের বাড়িতে স্নেহবশে আবিষ্ট করতেন। ৫-এর সি থেকে খোজ পড়লে তখন দেখা যেত যে সে হেমন্তবালার পরম স্নেহে নানাবিধ খেলনা সামগ্ৰী নিয়ে আদর কুড়োচ্ছে। এই স্নেহ কর্তব্যের কথা হেমন্তবালা দেবী রবীন্দ্রনাথকে একটি চিঠিতে লিখেছেন– “আমার বিজয়ার প্রণাম নেবেন। সাংসারিক খবরের মধ্যে আপনার ভালো লাগিবার মতো নেই কিছু।... গৌরীপুরের টাকা পাইনি। পূজোর কাপড়ের বদলে দাম চেয়ে নিয়েছিলাম ২০। উমাকে ফ্রক পাজামা, খোকনকে প্রথমে সেলার্স সুট দিই, সুধারানীর পছন্দ হয় নি। তারপরে তার পছন্দমত সুট বদলে পাঞ্জাবী কিনে দিয়েছি।” ...সুধারানীকে ডাকিয়েছিলাম, একখানা চণ্ডী চেয়েছিলাম তাদের কাছে চণ্ডী নেই, স্তবমালা এনেছে হাতে করে। স্তবমালা তো আমারও আছে। জামাই তখনই চণ্ডী আনতে চেয়েছেন দোকান থেকে। সুধাকে বললাম সেকি হয়, এত রোদুরে দোকানে হেঁটে যাবেন? থাক আমি তো গঙ্গাস্নানে যাবই, তখন নিয়ে আসবো। উমা, খোকন ও সুধাকে বসিয়ে গল্প করতে লাগলাম। ছেলেমেয়েরা দেখছি পাকা জানালিস্ট হয়ে উঠেছে। প্রবাসী, মুকুল, সঙ্গীত বিজ্ঞান নিয়ে কাড়াকড়ি ও কামড়া রায় চৌধুরীর কন্যা হেমন্তবালা দেবীই আমার নবভাগ্যোদয়ের শুকতারা। (আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৩২৮)। এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে হেমন্তবালা যে সবসময় রবীন্দ্রনাথকে সজনীকান্তের গতিবিধি ミ○>