পাতা:মুকুট - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
মুকুট

এখানকার তামাশা যে ভয়ংকর ধারালো তামাশা—এখানে তোমার আগমন হল যে?

 রাজধর। আজ রাত্রে শিকারে যাব বলে অস্ত্র খুঁজতে গিয়ে দেখলুম আমার অস্ত্রগুলোতে সব মরচে পড়ে রয়েছে। কালকের অস্ত্রপরীক্ষার জন্যে সেগুলোকে সমস্ত সাফ করতে দিয়ে এসেছি। তাই বৌরানীর কাছে এসেছিলুম তোমার কিছু অস্ত্র ধার নেবার জন্যে।

 ইন্দ্রকুমার। তাই তিনি বুঝি সমস্ত অস্ত্রশালামুগ্ধই তোমাকে ধার দিয়ে বসে আছেন। হা হা হা হা। ’তা বেরিয়ে এলে কেন। যাও, ঢুকে পড়ো। ধারের মেয়াদ ফুরিয়েছে নাকি। হা হা হা হা।

 রাজধর। হাসো, হাসো। তামাশায় আমিও হাসব। কিন্তু, এখন নয়। চললুম দাদা, আজ আর শিকারে যাচ্ছি নে।

[প্রস্থান

 প্রতাপ। ছোটোকুমারকে নিয়ে আপনাদের এ-সমস্ত ঠাট্টা আমার ভালো বোধ হয় না।

 ইন্দ্রকুমার। ঠাট্টা নিয়ে ভয় কিসের। উনিও ঠাট্টা করুন না।

 প্রতাপ। ওঁর ঠাট্টা বড়ো সহজ হবে না।