পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী— আষাঢ়, ১৩২৪ সেই দেশের লোক জীবন-সংগ্ৰামে অপর সমস্ত জাতিকে শাস্ত করিবেই করিবে। সব দেশেই মহাপুহবো বিদেশী ভাষার সাহায্যে জ্ঞানের উচ্চ সীমা নেীহিতে পারেন, কিন্তু উহাদেৱ সংখ্যা কম, তাহাদের এই ধানলাভ অত্যন্ত সাধারণ লোকে এ জ্ঞান হইতে বঞ্চিত থাকে অথচ এই সাধারণ লোকের গড়পড়তার বিদ্যাবুদ্ধির উপরই পাতীয় শক্তি ও প্ৰতিষ্ঠা নিৰ্ভর করে এই দেখুন, ক্লাইবের মত ইল-পালান, ৰাপে-তাড়ান, মায়ে তাড়ান একটা ছেলেকে দিয়া সেনাপতি কবিয়া দেওয়া হাইল । তাই। ৰেভাষা লাটন বা গ্ৰীক হইতে জ্ঞান সংগ্ৰহ করা অসং৭ তিনি শিক্ষিত ইংরেজসমাজ হইতে নিশ্বাসের সঙ্গে অনেক ট দয়া বিদ্যালাভ করিয়াছিলেন, আৱ বাকী বিদ্যাটুকু উন্নত মাতৃভাসা বই পড়িয়া অতি সহজে অলিকার করিলেন 3ার ভারতীয় প্রতিদ্বন্দী সেনাপতিরা পণ্ডিত না হওয়াগ, সাধনশীল সংস্থত বা আরবী ভাষা শিখা না করা এবং নবজ্ঞানে বঞ্চিত দিশী সমাজে বঞ্চিত হ পাৱ, তাহার কাছে জানে শক্তিতে পরাভূত হইল দিশী সাহিত: , উত, বিদ্যালয়ের কাজ ততই লাঘব হয়, ইস্কুলে নামকাটা ছেলের মুখ বা অকৰ্ম্মণা হইবার সম্ভাবনা ততই কম হয় অন্তৰ জাতীয় বল বাড়াইবার জয় মাত ভাগা পাতি তাকে পরিপু, বিবিধ জ্ঞানে ভূষিত, নাম ভাবে অগ্ন প্ৰাণিত জিতে হইবে । সাহিতা সখের জিনি নহে সেবা সাধনা একটি রুপ মাত্ৰ সেথায় স্থায়ী অাগার প্রতিষ্ঠা কইল, ইহা বঙ্গ ভাগীদের স্থায়ী লাভে বিষয় । কিন্তু বাড়ী ত হইল মানুষ কই দয়ঙ্কার । জগতের সন্দশ্ৰেষ্ঠ মনীষিগণ একেলা কাজ করেন স্থানীয় সমাজকে উপেক্ষা করিয় হয়ত তাহাব বিক বিদ্ৰোহ করিয়া, হাৱা নিজ সাধনা উদযাপন ক এই অতি দুর নিত মিস্তর হইতে গাদারস সংগ্ৰঞ্চ করেন । দীঘ্ৰে স্নায় শুধু সেই অন্তঃসলিল বাধিারায় তাহদের ক্লান্তদেহের তৃষ্ণা নিবারণ হয় । তাহাঙ্গের সাধনা সমাপ্ত হইবামা তাহা আমাদের জনসাধারণের নিজস্ব সম্পত্তি হইয়া যায় । তাই কবি গাহি সা [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড দেধি ! এ জীবনে আদি থাহিয়াছি বলি অনেক গান পেয়েছি অনেক যন্ত সে হামি সবার বিহারে করেছি দান, বেছি শীতল বলেছি যে কথা বয়েছি যে কা, বিধিৰ চাগে । সাতো পঞ্চাশের ক্ষমতাই ইয়া। গ এক ! ইলে ও জগত নাইতে পারেন, মানবজাতিয়ে নবীন পথে চালাইতে পারেন তাহারা এক-একটি যুদ্ধ রাজা কাক লাতি, দেশ হইতে নিৰ্বাদিত, পুরোহি পাশ ক ক ধিক ত বৃদ্ধ ভলটেয়ার ক্ষু ফাণিগ্রাহে মাকে অবণাবাস কবিতে লখা পুষ্প পা: ময়েী নগর হইতে পশ্চিম পাং লিওন পাচধানী পাস বা বিপ্লব দাইল চিতো বা ক্ষুদ্ৰ হইলেণ্ড হাতে থা বলা করিবার শক্তি আছে দ’ অগ্নি স্বৰ্গ ই: { -ক বা দেবতাদের বাবহাৰ্য্য , তবে সাহি শক্তি ও দৈবশক্তি, সাহিতাস এই ৰোগ চালনা এক বিশেষ প্ৰণালী আছে, ইয়াতে পাসী বা কে এক বিশেষ স্থান, বিশেষ প্ৰবাসী বঙ্গ সাংব নিকট বঙ্গসাহিত্য কি কি পানে ইহা অামাদের ভাবা উচিত প্ৰথমশ্ৰেণী কাং বা গান রচনা করিতে পারি, কারণ বিশুদ্ধ কণি বাগলার শ্ৰোত অামাদিগকে বিভ নাই, অন্যাসাৰ্থীদের মধে আমাদের জন্ম, শিক্ষা বসতি । অথচ কাবোর ভাষার মাধপোচ এমন যে, বদদেশের দণ ও বাতাসে বঙ্কিত না হইলে আমাদের বাদ বল হয় না। এখানকার বাধা ধাঠীর কাছে ঘুম পাড়ান মাসপিসি গান না, বৃষ্টি পড়ে চাপুরটুপুর শুনৈ না ; সে শিশু শো ‘গঙ্গা মাইয়া চূড়া দিয়া ীেড়া দিয়া বামা” । সুতরাং তা হিলা স্বামদেব না বলিয়া স্বভাবতঃই রামদেও ৩য় সংখ্যা] প্ৰবাসী বাঙ্গালা ও বঙ্গসাহিত্য ইৰে, ঠাকুরমশায় না বলিয়া “বাবাজী বলিবে । তাহার সাহিত্যে এক, নুতন তাল, এক নুতন জীবন-জোত আনিয়া ঠিত বাঙ্গলা কাবো ব্যাকরণ দোষ থাকিবে না বটে, দিয়াছেন। প্ৰবাসী বাঙ্গালীদিগকে তাছাই করিতে হইবে । ভাষায় দ্বারের মধ্যে একটু বিদেশী সুর থাকিবে , আমরা স্থানীয় জীবন সমাজ ও প্ৰকৃতি হইতে নৰ নৰ একটু খট্‌কা থাকিবে তাহা চোখে বাবে না, কিন্তু বঙ্গ উপকরণ সংগ্ৰহ করিয়া দিয়া ব্ৰঙ্গমাতার নিকট, দাৰায় বানে বাধিৰে তাহার। বেই টা শুনিবেন নিকট নিজ গণতা কতক পরিমাণে লাঘব কৰি t বা রিয়া ফেলিবেন এবং বণিবেন ঐ রে ওটা মনুষ্য বাসীগণের সহিত আমাদের আদানপ্ৰদানের সাজ । কোন প্ৰবাসী হইবে আমরা শুধু লইব না, দিতেও পাবি সুতরাং কাৰা মহাকাব্য ভিন্ন অক্সাণ্ড বিভাগে বঙ্গ. এই সব সুজন-পরিষদ-গৃহ সেই শোধেয় কণ্যাগ বাহিতা পুষ্ট করিবার জগ মোদের চেষ্টা করিতে হইবে হইবে । কিন্তু এই কাৰ্য্যালয়ে এই যাবসায়ের হাট কাৰ্যা ইয়াতে আমাদের একটি বিশেষ সুধিলা আছে । এত প্ৰণালী অনুসরণ করিতে হইবে, নচেৎ প্ৰথম দিয়ে দাৰ্থীয় ক্ৰমাগত চেষ্টার বলে বাঙ্গলাদেশে সাহিতো আনন্দধ্বনি থামিয়া যাইবার পর চাইতেই এই ব্যাঙ্ক ফেল মসলা প্ৰায় ফুরাইয়া গিয়াছে, আর কিছুই নুতন নাই ইবে, দেন। শোধ হইবে না এই বাসারে বা প্ৰণালী যে সব দৃশ্যই বৰ্ণনা করা হইয়া পিয়াছে, যেন সব ভাবই বি, একটু ভাবিয়া দেখা যাউক প্ৰাণিত হইয়া পিাছে, যেন সব গল্প-গুলিই বলা হইয়াছে এই যে সাহিতা-পরিষদ-গৃহকে আমরা বাণীয় যদি বলি, এই যে আমরা নিজকে সাহিতা-সেবক যদি মুখে যেন অল্পচি পরিচয় দিই, এ যদি শুধু মুখের কথা না হয় তৰে অহা কি বঙ্গের বাহিরের প্রাকৃতিক দৃশ্য, আচারব্যবহাৱ, দিগকে চ পণ করিতে ইৰে যে, আমাদের সাহিত্য কথউপকথা, মানবহরের সনাতন ভাবগুলির প্রকাশের আলোচনা-গৃহ, আমাদের পাঠাগার, যেন সেই সত্য ক নয়তি, বঙ্গবাসীদের পক্ষে এখনও নুতন । এই অজস্ৰ শ্বেতাঙ্গ সরস্বতীর মন্দির থাকে, যেন ইহা কৰ্ত্তা ভাত্তার হইতে নূতন উপক বণ সংগ্ৰহ করিয়া দিয়া আম সম্প্ৰদায়ের জন-গৃহে পরিণত না হয়। যেন আমি সাহিত্যকে ধনী করিতে পারি, সেই সুরে শরী: আমাদের মন্দিরে আমাদের রচনায় নয়ঙ্কণী ক্ষো তাহাকে সরস্বতীকে পূজা করিয়া দেবী সরস্বতীকে অপমানি করিতে পারি, আবার নবীন করিতে পারি আমরা যেন সাবক থাকি, চাটুকা ন হই হাতত্বে দেখা দায় যে, যখন সাধু ভাষার কথা গুলি দেবী সৰস্বতীর পুত্ৰগণ এ জন্মে মাতার প্রদত্ত পুত্ৰ মাগত ব্যবহারে গল্প পাইয়া দায় থন প্ৰাদেশিক পান না । নরক্ষণী সরস্বতীর পুরস্কার হাতে-হাতে পাঞ্জা বুলি ও অপকথা ( san ইতে শব্দ তাকে নুতন বল দেওয়া হয় । ইহাক নাম dialectiº একস্থলেও বিক্ৰমাদিতো অতিবাদ করেন নাই । আমাদের eneratio মণো বাহারা কলি কালিদাস চাইতে ব্যাপ্ত তাছায়াজি মহাসমুদ্রগুলির সুপারে ইংলেণ্ডের যে-সব উপনিবেশ কলির বিক্ৰমাদিতোর হোৱা গান করিতে থাকে আছে, যাহাকে বৃহত্তর লিটন বলা হয়, সেখান ইতেও তবে অঁাহারে ও সেই প্ৰাচীন কালিদাসের মধ্যে একটু ঠিক এইপে ইংরেজী সাহিতা পুষ্ট হইতেছে । ভারতে প্ৰভেদ হইবে, এই ভাবিয়া আমার দুঃখ হয়। আয় প্ৰতিপালিত ব্লাভিয়াৰ্ড কিপলি ৪. দক্ষিণ-আফ্ৰিকার ব্লাইভার সাধারণতঃ মনে কবি যে মুসলমান-রাজত্বকালে গোসায় ৰাগা, অষ্ট্ৰেলিয়ার রালফ, বলাউ, আৱৰ মিশরের যুগ ছিল। কিন্তু তখনও বাণীর বরপুত্ৰগণ কিছু সান্ধী সামাটিক পিক্‌থাল, স্থানীয় প্রকৃতি ও স্থানীয় চরিত্র ও স্বাধীনচেতা ছিলেন তাহার একটা দৃষ্টান্ত দিতেছি। স্বৰ্থন কবিয়া তাহাদের উপন্যাসগুলির দ্বারা ইংরেজী ভাষাই শব বৎসব হইল বিহারে মুসলমানরাজা মীৰ্জা