৩৪২ প্ৰবাসী-আষাঢ়, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড আমি বৌদ্ধ-পুরোহিত, তীৰ্থ দৰ্শন কবিয়া বেড়াইতে যেন অবশ হইয়া আসিল, জল একেবারে বরফ আপনার খ্যাতি শুনিয়া ধৰ্ম্ম শিক্ষার জন্তু আপনার নিকট বুঝিতে পারিলাম এ নদী পা হইতে হইবে না, আসিয়াছি।” পথেই আমার মৃত্যু হইবে তংগক্ষণাৎ জল হইতে উঠি কি-প্ৰকার শিক্ষা ? কিন্তু বল ফজলে আমার শরীর অবশ হইয়া আপনি শত শত ব্যক্তিকে মুক্তি দিতেছেন, তাতার গৃঢ় আসিয়াছে, এবং সেই সঙ্গে কম্প ও আসিল অামার নিকা সঙ্কেত কি তাহাই জানিতে চাই । লবঙ্গের তৈল ছিল, মাপে তাহা সৰ্ব্বাঙ্গে মাখিলাম। বন্ধু, তুমি নিজের মনেই তা জান, বৌদ্ধধৰ্ম্মে সমুদা টু ীেও ছিল, তেল ঘঁসিতে লিতে যেন উন্নত শিক্ষা আমি তোমার মণো দেখিতেছি, আমি আবার সুস্থ হইলাম, তাহার পর আবার নদীতে নামিলাম তোমার কি শিক্ষা দিতে পারি ? আমার একখানি ধৰ্ম্ম-পুস্তক ৰক্ষপণা, অৰ্দ্ধপথে যাইতে না যাইতে দেহের নিৰ্দ্ধি অসা ছে, তাহার সাহায্যে মানুধের মুক্তির উপায় বলি দিয়া ইয়া অ্যাসিল, আমি লাঠিদ্বয়ে তার কৱিা কোনমতে তনী পার হাম নদীর লে কটদেশ পৰ্যাপ্ত ছিল, এবং কোণার সে ধৰ্ম্ম-পুস্তক, আমি কি একবার দেখিতে নদী পাব হইয় দেখিলাম আদেৱ দেহ বাস্তবিক অসা ইগাছ । বুৰি কলা এখন নিশ্চয় পরিবে” বলিরা গুহা হইতে একখানি পুস্তক ক্তে চলাচল ওয়া মাৰক, দেহ উত্তনক্ষপে জানিয়া আমার হাতে দিলেন আমি সেদিন গুহায় হইবে সি কি, হাত চি এ:েক বাবে অবশ !—াছে আসিয়া সারাদিন সেই পুস্তকখানি গঢ়িলাম অামার দুটি পণ্টার পরিচার ‘ব দেহ সবল হইল বেলা দুইটাৰ বোধ হইল সূত্ৰ-সন্দৰ্ভ-পুণ্ডরীক' বইতে সেখানি রচিত সময় ঐ আর করিলাম, তপন পা টির এমন অবস্থা যে, ইয়াছে তৎপর দিন পাকা সংস্কার কাৰ্য্যে কাটাইলাম মনে হইতে লাগিল যে কিবা পা চুটি শরীর হইতে খসিয় পর দিন সাধুর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া পুস্তকখানি ফিরাইয়া পঢ়িবে পৃষ্ঠের বোকা একেবারে অসহনীয় হইয়া উঠিল দিলাম এবং তাহার সহিত তিব্বতের এবং জাপান ও চীনের অ কষ্টে অব মাইল উঠিয়া অার এক মাইল বৌদ্ধধৰ্ম্মে পাৰ্থক্য সম্বন্ধে অনেক কণা হইল কটি নদীর তীরে অসিয়া পড়িলাম তখন বেলা প্ৰায় ৭ই জুলাই সাধু নিকট বিদায় গুণ করিলা । তিনি ১৯ ৰায় প্রায় দশ সের অাহা— গমের স্বী মাখন ইত্যাদি—উপহার দিলেন। বলিলেন এ সকল পণের সম্বল কহিলা কোন-প্ৰকা: একটু আগুন করাই লইয়া গেলে তুমি অনাহারে পথেই মরিবে কাঠ ও সে দেশে নাই থাকিবা বিপুল বোঝা লইয়া সাধুর নিকট হইতে দিলাম । পে: মীর ও বলা ঘোড়া কী, তাই চারিদিক হইতে সংগহ করিয়া বেশ কবিয়া সামাই লাম দেশলাই ত পঞ্চদশ অধ্যায় । এখন আগুন মালি কিপে । লোহাব সহিত পাথর কিয়া দুৰ্দ্দশার একশেষ অনেক চেষ্টা গণ অা গুন ও মণি এইবার চা সাধু গুহা ত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পরে আমি ১৮০ গ চা ফুটতে প্ৰায় ই গণা লাগিল, তাহার পর চওড়া এক নদীর তীরে আসিয়া উপস্থিত হইলাম । তপন তাতাতে একটু মাথন ও ধাৰণ দিয়া পান করিলাম । জাগুন প্ৰায় ৰেলা ১১টা হইবে নদী পার হইবার পূৰ্ব্বোই এ কটু একটু সালাৱাত বাপিৰাম । কিন্তু শীত এমন প্ৰাতাশ সমাধা করিয়া লইলাম । আহারান্তে পাকা যে কার সাধা নিদ্ৰা যায় কোনমতে রাৰি যাপন করি, , লিয়া কাপ উপরে তুলিয়া মুদী পার হুইবার উদযোগ ভোর হইবামাত্ৰ আবার স্নান দালাইয়া আহারের আয়ো কৱ নদীর জলে অবতরণ কহিবামাৰ সমুদাহ দেহ জন করিলাম বাং নদী পার হইতে গিয়া দেখি ৩য় সংখ্যা] তিব্বত-ব্লাজো তিন বৎসর জীৱ উপর দল জমিয়া গিয়াছে। নদীকি রুপে পার হইতে জানি না। আমার মুখের উপর চাব ড় কৱিা শিল যে সে সম্বন্ধে যে উপদেশ পাইয়াছিলাম তা লিয়া পড়িতেছে দেখিয়া জাগিয়া পড়িলাম, ঠিবার চেষ্টা কহিলা, গেলাম। নদী পাৱ হুইবার সময় পাহাড়ে বুদ্ধের এক শীলে দারুণ বেদনা—কোনমতেই উঠিতে পারি না ; দেখে প্ৰস্তক-মুক্তি দেখা যাইবে শুনিয়াছিলাম । পার হাইবার সময় অনেক চেষ্টার পর উঠিয়া বসিলাম। কিন্তু আবায়ু পথ চা সেখানে কিছুই দেখিলাম না । দেখিব কি, আমি ত দুণ পথে বা কীষ সংগ্ৰহ করা অসম্ভব হইল আমি মেচন্ধে আসিয়াছি। পাচ মাইল গিয়৷ একে বিস্তীৰ্ণ উপতাকায় আসিয়া উপর বসিয়া ধানে মগ্ন হইলাম । তখনও রাজি অব দিলাম তাহা ১৮ মাইল দীৰ্থ, ৮/৯ মাইল প্ৰশস্ত হয় নাই, আকাশে চঞ্জ ক্ষীণ জোৎস্থা ী ৰ্ণ করিতেছে তাহার মশা দিয়, এক নদী প্ৰবাহিত । কম্পাস দুরে উচ্চ পৰ্ব্বতমালা দৃষ্টিগোচর হইতেছে, চারিদিকের কি বুঝিলাম উত্তর-পশ্চিম মুখে যায়। কবিতে হইলে এই মান সুগম্ভীৰ তাৰ । আমি সেই উন্নত ডিমাচল শিখ পার হইতে হইবে অবগাহন নির্ণনে একাকী বসিয়া কত কি ভাবিলাম। কিন্তু শারীরিক ভাষায় নিকট বিকম বলিয়া বোধ হইল । নদীর দিকে যগুণ অামার এই প্ৰকৃতির বিরাট দৃশ্য উপভোগে দিয়া ইতস্তুত করিতেছি, এমন সম দেখি এক ব্যক্তি নদী হইতেছিল । বাহোক অনেক চেষ্টার পর ভাৰসাগরে চি সর হইয়া আমার দিকে আসিয়েছে নদী পার হইলেই তন্ময় হইল - তখন মনের আনন্দে কবিতা আবৃত্তি কবি ডাকিলাম নিলাম সে বাঢ়ি ধাম হইতে গিলা লাগিলাম, এ কষ্টের ভিতরও পরম সুখ সম্ভোগ কৰিলা নিপোচি সাধু দৰ্শন মানসে যাইতেছে তাহাকে কিছু প্ৰভাত হইল শু অাঙর থাইয়া আজ প্ৰাতাশ স পাঁচ ও গম চূৰ্ণ দিয়া আমায় নদী পার কবিয়া দিতে করিলাম। তার পর সচিত্তে আবার যাত্ৰা খায় স ব্যক্তি অংশ অতীত দাক্ষিণা দেখিয়া অান কলাম একটি ছোট নদীর তীরে আসিয়া আমি আ দেয় সহিত আমার জিনিষপত্ৰ নিগে বতিয়া হাত বিয়া জালিয়া আহারের উদ্যোগ কৰিলাম । চা পান কৰি আমায় কবিয়াদি । পার আমার গন্তব্য পণ দেখাইয়া নদী পার হইয় পাহাড়ে উঠিয়া দেখি সমুখে একটি স্যা বিল, দুই দিন যাত্ৰা পৰ লোকালয় মিলিবে । সে আবার আর কয়েকটি কাল রংএর তার পাতা হিয়াছে । তিকাতে নদী পার হইল । আমিও নিষ্টি পথে যাত্ৰা করিলাম সাদা ভাবু হয় না, আমি এই সাদা ভাবুর অৰ্থই বুধিতে পারিলান না। অামার আর ভাবিবার সময় নাই, ষোড়শ অধ্যায় । মত মগ্ন পারি পেছতে পারলে বাচি । অতি কষ্ট বড় ভঁৰ বিপদে পূৰ্ব্বাভাস কাছাকাছি উপস্থিত হইয়াছি- আর এটা ভীষণ কুকুর জানায় তাড়া করিয়া আসিল ; আমি চলছক্তিরহিত, তবুও সেদিন যা আর করিবার কিছুক্ষণ পরেই নিঃশ্বাসের আরম্ভ হইল এবং বমনের উদ্বেগ হইতে লাগিল কু শক্তি অবিশিষ্ট ছিল তদাৱা কোন-মতে লাঠি খুৱাই প্ৰাণ ব্লগা করিলাম আমি পূরে বোক নামাইয়া বসিলাম, বোঝা বহিয়া আমার হেমলতা দেবী। অত্যন্ত বেদন ই ইয়াছিল, যেন কোন ভীষণ ক্ষত । সুস্থ হইবার জন্য ঔষধ সেবন করিলাম। ঔষধ খাইবার মই আমার মুখ দিয়া অঞ্জলি-পরিমাণ রক্ত উঠিল অামি মহতের নিন্দ৷ বড় ভীত হইলাম—আমার ত কোন-প্ৰকার পীড়া নাই ৰ্ব্বল বোধ করিলাম যে উঠিয়া আর চমরীর কী হতের নিন্দা শুনি রেগো না হে কেউ —- অন্বেষণ করিতে পারিলাম না, জ্বালান হইল অগ্নি না। শুইয়া বাথেরই পিছনে সম্বা ডেকে থাকে যে পড়িলাম এবং শুইতে না-শুইতে গভীর নিদ্ৰা আসিয়া জ্ঞানীজন চট্টোপাধ্যায় ঘামাকে অচেতন কলি । কতক্ষণ নিদ্ৰা গিয়াছিলাম