পাতা:তারাচরিত.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তারাচরিত।

 অমূল্য রত্ন বিধাতা তাহার নিমিত্ত পথি মধ্যে রাখিয়াছেন। পরিশেষে রাজপুত্র জয়মল খানিকক্ষণ তারার রূপরাশি দর্শন করিয়া মুগ্ধ হইয়া কহিলেন সুন্দরি তুমি আমাকে স্বামিত্বে বরণ কর আমি তোমার পাণি গ্রহণ করিয়া মানব জন্মের সার্থকতা লাভ করি, তোমার নয়ন প্রীতিকর রূপে আমি মুগ্ধ হইয়াছি এবং বীরত্ব দর্শন করিয়া চমৎকৃত হইয়াছি। তারা এই সকল কথা শুনিয়া ক্ষণকাল অবিচলিত নয়নে গম্ভীরভাবে রহিলেন কিছু বলিলেন না। পরে গুণবতী সুশীলা তারা এই উত্তর করিলেন যে, হে মহাত্মন যদি তুমি স্বীয় বাহুবলে টোডা নগরের উদ্ধার সাধন করিতে পার তাহা হইলে আমি তোমার সহধর্ম্মিণী হইতে পারিব, তাহা হইলে তুমি অনায়াসে আমার পাণি গ্রহণ করিতে পারিবে। রাজপুত্র জয়মল তারার মুখনিঃসৃত মধুর বাক্যপরম্পরা শ্রবণ করিয়া অসীম আনন্দরসে নিমগ্ন হইলেন এবং মনে মনে আপনাকে বহুভাগ্যশালী জ্ঞান করিতে লাগিলেন। তিনি যে এত অল্পকাল মধ্যে এরূপ সর্ব্বগুণ সম্পন্ন রমণী রত্ন লাভ করিবেন তাহা তাঁহার হৃদয় মধ্যে একবারও উদয় হয় নাই। যাহা হউক তিনি ক্ষণবিলম্ব ব্যতিরেকে যুদ্ধ যাত্রায় গমন করিলেন। তাহার যুদ্ধ সজ্জা দেখিয়া লোক মাত্রে এই বলিতে লাগিল যে এইবার বুঝি রায় সুরতনের রাজলক্ষ্মী প্রসন্ন হইলেন; এমন সুন্দর বীর্য্যশালী বীর পুরুষ কোথ। হইতে আসিল। এদিকে জয়মলের সহিত আফগানদের যুদ্ধ হইতে লাগিল। যুদ্ধের কথা কি বলিব, এমন যুদ্ধ কেহ