পাতা:তারাচরিত.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
তারাচরিত।

আমি তারাকে ছাড়িয়া কেমন করিয়া থাকিব বল। রাজা এই রূপ কত কথাই বলিলেন। পরিশেষে অগত্যা তাঁহাকে অনুমতি দিতে হইল। এদিকে যাইবার সকল উদযোগ হইতেছে শুনিয়া পিতৃবৎসলা তারা একেবারে চিন্তা সাগরে নিমগ্ন হইলেন,এবং বলিতে লাগিলেন, আমি কেমন করিয়া পিতাকে ছাড়িয়া যাইব; আমি যে কখন পিতাকে ছড়িয়া কোথাও যাই নাই; উঃ হৃদয় যে কোন মতে প্রবোধ মানিতেছে না! কি করি, হা বিধাতঃ তোমার মনে কি এই ছিল। এই রূপ বলিতে বলিতে তারার মাতাকে মনে পড়িয়া গেল। তখন তিনি মাতৃ সম্বোধনে বলিতে লাগিলেন, হা মাতঃ তুমি যদি আমাদের ছাড়িয়া অকালে না যাইতে তাহা হইলে আজ কি সুখেরি দিন হইত। আমি এখন পিতাকে কাহার নিকট সমর্পণ করিয়া যাই। কাহারও কাছে রাখিয়া এক দণ্ড সুখী হইতে পারিব না। রে হৃদয় তুমি দ্বিধা বিভিন্ন হও, তাহা হইলে আমি সকল দিকে রক্ষা পাই। এই কথা বলিতে বলিতে আবার ভাবিলেন, আমি কি কঠিন, কেমন করিয়া প্রাণনাথকে ছাড়িতে চাহিতেছি। তারা এইরূপ পিতৃচিন্তাতে নিমগ্ন আছেন এমন সময় পৃথ্বীরাজ আসিয়া বলিলেন প্রিয়ে তোমার বদন সুধাকর রাহুগ্রস্ত দেখিতেছি কেন? যেমন নীল নভোমণ্ডল মেঘাচ্ছন্ন হইলে পূর্ণ সুধাকর লয়প্রাপ্ত হইয়া যায়, অদ্য তোমাকে তেমনি দেখিতেছি কেন? আমার কি কোন অজ্ঞাত অপরাধ হইয়াছে? বল বল, তোমার মুখ দেখিয়া আমার হৃদয় আন্দোলিত হইতেছে। এইরূপ কাতরোক্তি শ্রবণ করিয়া তারা বলিলেন, নাথ এত