পাতা:তারাচরিত.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তারাচরিত।
৩৩

শারদীয় চন্দ্র শোভা, বাসন্তি কুসুম বিলাস, ও মকরন্দ পূর্ণ প্রস্ফুটিত শতদলের সুস্নিগ্ধ মধুর ভাব এই রমণী রত্নে শোো পাইতেছে। এইরূপ নানা কথা সভাস্থলে সকলে আন্দোলন করিতে লাগিলেন। তাহার পর যখন রাও সুরতন কনা সম্প্রদান করেন তখন সকলে জয় জয় শব্দ কবিয়া উঠিল। মঙ্গলবাদ্য বাজিতে লাগিল। তখন সুরতন পৃথ্বীরাজের করে তারার কর সংলগ্ন করিয়া বললেন, বাবা পৃথ্বী আমি তোমাকে স্বরাজ্যের সহিত আমার নয়নতারা দান করিলাম এবং পরম দেবতাদিগের নিকট এই প্রার্থনা করি তুমি রজঃপূত কুল তিলক হইয়া বংশোচিত কীর্ত্তি লাভ কর এবং তোমরা উভয়ে দীর্ঘজীবী হইয়া পরম দাম্পত্য প্রণয়ে পরস্পর সুখী হও; আর নির্ম্মল যশের আলয় জন্মভূমি ভারতবর্ষ উজ্জ্বলকর। এই বলিবামাত্র তারা ও পৃথ্বীরাজ উভয়ে ভূতলে লুটিয়া সুরতনকে প্রণাম করিলেন।



পঞ্চম পরিচ্ছেদ।

 বিবাহের কয়েক দিবস পরে নব দম্পতীর মিওয়ারে যাইবার কথা রায় সুরতনের নিকট প্রস্তাবিত হইল। ঐ প্রস্তাবে তিনি নিস্তব্ধ হইয়া দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে পৃথ্বীরাজকে বলিলেন, বৎস তুমি তোমার দেশে যাইবে তাহাতে আমার কোন আপত্তি নাই; কিন্তু বৎস