পাতা:তারাচরিত.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
তারাচরিত।

বিশ্ব রাজ্যের প্রণয় সম্পাদন করিতেছে; চাতক চাতকিনী নবধনকে না দেখিতে পাইয়া উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতেছে; দেখ দিবস “অত্যন্ত গভীর ভাব অবলম্বন করিয়াছে; নিদাঘ সময়ের কোলাহল আর কিছুই এত হইতেছে না; কাক সকল ককশ রবে বিরত হইয়া অটবির ঘন শাখায় বসিয়া চতুর্দ্দিক অবলোকন করিতেছে। এস আমরাও এই সময়ে কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করি। এই বলিয়া পৃথ্বীরাজ বাহকদিগকে এবং অন্য অন্য সমভিব্যাহারিবর্গকে বিশ্রাম করিতে অনুমতি করিলেন। সকলে সন্নিহিত এক আম্র কাননে শ্রমাপনয়ন করিতে লাগিলেন।

 দিবসের পরিণাম উপস্থিত হইল। সকলে পুনর্ব্বার গাত্রোত্থান করিলেন। কিয়দ্দূর গমন করিলে পর পৃথ্বীরাজ তারাকে সঙ্গোপন করিয়া বলিলেন, প্রেয়সি দেখ দিবস কি রমণীয়তা ধারণ করিয়াছে! দেখিলে বিশ্বনিয়ন্তার বিশ্বকার্য্য সকল মনোমধ্যে কি অদ্ভুত প্রতীয়মান হয়! তাঁহারা এই রূপ কথা কহিতে অস্তাচলাবলম্বী হইলেন। পৃথ্বীরাজ বলিলেন, দেখ দেখ প্রিয়ে সন্ধ্যাদেবী কি মনোহর রূপই ধারণ করিয়াছেন! দেখিলে মনোমধ্যে কি আনন্দ রস উচ্ছলিত হয়। কুমুদিনী নায়ক স্বীয় প্রিয়তমাকে প্রস্ফুটিত হইতে দেখিয়া যেন হাসিতেছেন; নক্ষত্রমালা তাঁহার চতুর্দিকে কি মনোহর ভাবেই শোভা পাইতেছে; কুমুদিনী স্বীয় সপত্নীগণকে স্বামীর পাশ্ববর্ত্তিনী দেখিয়া ঈর্ষায় বদন উত্তোলন করিতেছেন না; প্রিয়ে প্রকৃতির ও কি সপত্নীভাব আছে! শুনিয়া তারা ঈষৎ হাস্য