পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাওয়া খুব প্রবল বেগে বইছিল। সেইজন্যেই এমন মূঢ়ের মত কথা দেশের আবালবৃদ্ধবনিতার মুখে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হওয়া সম্ভবপর হয়েছিল যে, অন্য সব কিছু চিন্তা চেষ্টা আলোচনা পরিত্যাগ করে” কেবলমাত্র চরকা কেটে ও খদ[দ]র পরে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশ স্বরাজ লাভ করবে । সে স্বরাজটা যে কি তা স্পষ্ট করে প্রশ্ন করে জিজ্ঞাসা করবার ভরসা বা ইচ্ছামাত্রও কারো ছিল না । দেশের শিক্ষিত এবং বুদ্ধিমান লোকেরাও বলত, এটাই আমাদের creed, আমাদের ধৰ্ম্মমত, অতএব এর সম্বন্ধে তর্ক চলবে না। দেশের অধিকাংশ লোকই বিনা বিচারে এমন অদ্ভূত কথা বেদবাক্যের মত মেনে নিতে পারলে এর চেয়ে স্বরাজ সিদ্ধির বিরুদ্ধ প্রমাণ আর কি হতে পারে । তার পরে সমস্ত দেশ জুড়ে একটা চোখরাঙানী, একটা মুখ-চেপে-ধরার ভঙ্গী । এই মানসিক অত্যাচারের চোরাবালির উপরে একরাত্রে এরা স্বরাজের অভ্ৰভেদী দুর্গ গড়ে তুলতে চেয়েছিল। বাংলাদেশে সবাই যে বিশ্বাস করেছিল যে, কোনো বিশেষ উপায়ে ৩০শে ডিসেম্বরের মধ্যে ভারত বন্ধনমুক্ত হবে তা নয়—কিন্তু অনেকেই মনে করেছিল সাধারণকে ভোলাবার এ একটা ফন্দী---এমনকি মহাত্মাজিও সেইরকম বেণের মত হিসাব করে এইরকম চাল চালছিলেন তা বিশ্বাস করবার মত প্রমাণ আছে। তিনি এগুঞ্জকে পত্রে লিখেছিলেন, সাধারণ লোককে এমনি সুনির্দিষ্ট আশ্বাসবাক্য না দিলে তাদের א• • אס\