পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্রসঙ্গ \89> খানিকটা জামাতে আসিল, আমার খানিকটা তোমাতে গেল, আমার একটা গুণ হয়ত হারাইলাম, তোমার একটা গুণ হয়ত পাইলাম ও তাহা আমার আর একটা গুণের সহিত মিশ্রিত হইয়া অপূৰ্ব্ব জাকার ধারণ করিল। এইরূপে মাহুযে মানুষে ও তাঁহাই শৃঙ্খলবদ্ধ হইয়া সমস্ত জাতিতে ও অবশেষে জাতিতে জাতিতে যোগ গুণ ভাগ বিয়োগ হইয়া মন্থন্তজাতি-নামক একটা অতি প্রকাগু অঙ্ক কষা হইতেছে। firin (Revolution)-ats of veto Matthew Arnold on co "ston যখন মর্ত্যলোকে আসিবার উদ্যোগ করিল তখন ঈশ্বর তাহাঙ্গের হাতে রাণীকৃত অক্ষর দিলেন ও কছিলেন, এই অক্ষরগুলি যথারীতি সাজাইয়া এক একটা কথা বাহির কর । মানুষেরা অক্ষর উন্টাইয়া পাণ্টাইয়া সাজাইতে আরম্ভ করিল ; "গ্রীস" লিখিল, “রোম” লিখিল, “ফ্রান্স” লিখিল, “ইংলগু” লিখিল। কিন্তু কে ভিতরে ভিতরে বলিতেছে যে, ঈশ্বর ষে কথাটি লিখাইতে চান সেটি এখনও বাহির হইল না । এই নিমিত্ত মানুষেরা অসন্তুষ্ট হইয়া এক একবার অক্ষর ভাঙ্গিয়া ফেলে ; ইহাকেই বলে বিপ্লব।” কবি বাহা বলিয়াছেন আমি তাহাকে ঈষৎ পরিবত্তিত করিতে চাহি । আমি বলি কি, ঈশ্বর মর্ত্যভূমির অধিষ্ঠাতৃদেবতাকে মন্থন্ত-নামক কতকগুলি সংখ্যা দিয়াছেন ও পূর্ণ স্বথ ( যাহার আর এক নাম মঙ্গল)-নামক অঙ্কফল দিয়াছেন। এবং পৃথিবীর পত্রে এই অঙ্কফলটি কষিবার আদেশ দিয়াছেন। সে যুগ-যুগান্তর ধরিয়া এই নিতান্ত দুরূহ অঙ্কটি কষিয়া আসিতেছে, এখনো কষা ফুরায় নি, কবে ফুরাইবে কে জানে। তাহার এক একবার যখনি মনে হয় অঙ্কে ভুল হইল, তৎক্ষণাৎ সে সমস্তটা রক্ত দিয়া মুছিয়া ফেলে। ইহাকেই বলে বিপ্লব। নৌকা মানুষের মধ্যে এক একটা মাঝি আছে— তাহাঙ্গের না আছে দাড়, না আছে *ांज, मा चांटरू ७१ ; डांशंरक्ब्र ना चां८छ् बूकि, मी श्रां८छ् ●थंदूखि, मा चांदरू অধ্যবসায় । তাহার ঘাটে নৌকা বাধিয়া স্রোতের জন্ত অপেক্ষা করিতে থাকে। মাধিকে জিজ্ঞাসা কর, “বাপু, বলিয়া আছ কেন ?” সে উত্তর দেয়, “আজ্ঞা, এখনো জোয়ার আসে নাই।” “গুণ টানিয়া চল না কেন ?” “আজ্ঞা, সে গুণটি নাই।” “জোয়ার জালিতে আসিতে তোমার কাজ বমি কুরাইয়া ৰায় ?” “পাল-তুলা, দাড়