পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যে কল্পনা করতে মন বাধা পায় না, কিন্তু পিতামাতাকে, ভাইকে, বন্ধুকে যে জানি, সেই জানার মধ্যে সত্যের ধৰ্ম্ম আছে—সেই সত্যের ধৰ্ম্মই নিত্যতাকে দেখিয়ে দেয়। অন্ধকারে আমরা হাতের কাছের একটুখানি জিনিষকে একটুখানি জায়গার মধ্যে দেখতে পাই । একটু আলো পড়বামাত্র জানতে পারি যে, দৃষ্টির সঙ্কীর্ণতা এবং তার সঙ্গে সঙ্গে যা-কিছু ভয়ভাবনা, সে কেবল অন্ধকাব থেকেই হয়েচে । সত্য সম্বন্ধ আমাদের হৃদয়ের মধ্যে সেই অালো ফেলে এবং এই আলোতে আমরা নিতাকে দেখি । হৃদয়ের অালো হচ্চে প্রীতির অালো, তা প্রীতি হচ্চে অন্ধকার । অতএব এই প্রীতির আলোতে আমরা যে সত্যকে দেখতে পাই, সেইটিকে শ্রদ্ধা করতে হবে ; বাহিরের অন্ধকার তাকে যতই প্রতিবাদ করুক, এই শ্রদ্ধাকে যেন বিচলিত না করে । সত্য প্রীতির কাছে অল্প বলে কিছু নেই, সত্য প্রীতি ভূমাকেই জানে। সংসার সেই ভূমার বিরুদ্ধে সাক্ষা দেয়, মৃত্যু সেই ভূমাব বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে থাকে, কিন্তু প্রেমের অন্তরতম অভিজ্ঞ তা যেন আপনার সত্যে আপনি বিশ্বাস না হারায় । আমাদের যে অতি প্রিয়, প্রিয়দর্শন ছাত্রটি এখানে এসেছিল—না-জানার অতলস্পর্শ অন্ধকার থেকে জানার জ্যোতিৰ্ম্ময়লোকে—এল তার জাগ্রত জীবস্ত ঔৎসুক্যপূর্ণ চিত্ত নিয়ে, আমাদের কাজে কৰ্ম্মে সুখে দুঃখে যোগ দিলে—আজ শুনচি সে নেই। কিন্তু যেই শুনলুম সে নেই, VIVL O