পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—শ্ৰাবণ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড মাত্র তিনখানা দৱা লইয়া সারাদিন ঠকঠকানি আর ব্লঙের প্রাসাদের সৌন্দৰ্য্য যেমন কাহারও হাতে সযত্ন কাঙ্গাৰ্থে গন্ধের মধ্যে থাকিতে হইবে এই বড় দুঃখ শীরটা যে গঢ়ি উঠতেছিল, টিনা কিন্তু তেমন ভাবে গড়িয়া উঠে একেবারে যাইবে । এ যেন ঠিক হেঁপোকেশে স্বামী ইয়া নাই। সে মিরেজ ফুলের মতন আপনি ফুটয়া উঠিতে ক্ৰিষ্টকার গিরির জন্তু বাথে একথানা বাড়ী ছিল ; বাগানের মধ্যে সেই ফুলটিকে দেখিয়া মালী ছণিত ভাড়া করিলেই ত পারিতেন। নেহাৎ যদি মজুর খাটাইবার মোটেই হয় না, কিন্তু তাছার জন্য সে কোনো চেষ্টা করে দুরে বাইতে না পারেন কাছাকাছিও ত’ একটা না । লেডি শেতালে তাহাকে লিখিতে পড়িতে ও নীতি, আলাদা বাড়ীর ব্যবস্থা কৱ যাইত ? প্রতিবেশিনীদের এত মালা বলিতে শিগাইয়াছিলেন । মিঃ ওয়ারেন হিসাৰে খুৰ দয়া একেবারেই অবাচিত দান । অজস্ৰ কৰুণা চিরকালই পটু ; গৃহিণীর আঞ্জামত সে টনাকে অঙ্ক শিখাইত । আপনি আসিয়া পড়ে স্বামীর এই সকল স্বাগতা খ্ৰীতির মসে শাপ শেলাইয়ের সকল রহস্থই তাহার কাছে প্ৰকাশ সঙ্গে যদিও লেডি শেভারেলের কোনো সম্পৰ্ক ছিল না, কিন্তু করিয়াছিলেন অনেকদিন পৰ্যায় টিনাকে ইহা খ্ৰীৱ কৰ্তব্য সম্বন্ধে তাহার মতামত খুব কড়া ছিল *ী কিছু শিক্ষা দিবার কথা কেহ ভাবে নাই ষ্টিফারের প্রতি শ্ৰদ্ধাও হার এত প্ৰগাঢ় যে তাহার জীবনের শেষ দিন পৰ্যন্ত বোল হয় টিনা পৃথিবীটাকে দি স্বাগত্যকে তিনি কোনোদিন কষ্টক মনে করেন নাই । জানিয়া গিাছে ; চন্দ্ৰ স্বৰ্গা গ্ৰাহ তারা গুলিই পৃথিবীর চাৰি তার জমিদার মহাশয় স্বয়ং তা সমালোচনার ধার ও ধারিতেন দিকে যেৱে এই বোধ হয় তাহায় ধারণা ছিল । অৰ না তাহার প্রতিবেশীরা বলিত, “ৰাব, লোকটা বা হো ক বলিতে কি, ইহাতে বোধ হয় বিশেষ কিছু অাসিয়া যায় খেয়ালী আর একগুয়ে । এতে দীৰ্ঘকাল বরিয়া একমনে হেলেন, ৬াইডো, ডেসডিমোন, জুলিয়েট এদের সকলো শিীর মতন একনিষ্ঠভাবে থাটিয়া তিনি যে এই স্থাপত্য বোধহয় দুগোল জ্ঞান এমনি সুন্দর ছিল। এই সামাজ রচনা করিয়াছিলেন তাহাতে তাহার প্রতিভা ও দৃঢ় কারণে আপনারা নিশ্চয়ই টনাকে নাকি হইবার অনুপ প্ৰকাশ পায় ঘরগুলির ভিতর বিলে তাহদের মনে কৰিবেন না । নোট কথা, এটা বিষয় ছাড়িা দিলে শিল-সম্পদ ও আসবাবের দীনতা একসঙ্গেই চোখে পড়ে । বলিতে হয় যে টনার এক ভালবাদিবা শক্তিটুকুই কে তিনি যে আপনার আরাম লিয়া হাতের সমস্ত অৰ্থ কিসে ছিল ; এই ক্ষমতার জ্যোতি বিদ্যায় সকলের চেয়ে পতি খরচ করিতেন তাহা সহজেই বোঝা যায়। এই বৃদ্ধ ইংরেজ রমণীও তাহাকে হারাইতে পারিতেন না । অন জমিদাররটির অন্তরে যে মহাপ্ৰাণের একটি অংশ ছিল তাহা ো বালিকা হইলেও তাহার এ শক্তি .ে দ্বারা তিনি প্ৰকৃত শিল্প ও বিলাসিতার প্রতে বিয়াছিলেন। প্রাসাদে খুব কাজে লাগিছিল ; ধনীর গৃহের সৌন্দৰ্য্যকে তিনি ভক্ত উপাসকের মত পূজা করিতেন থোকা গকুৰ আত্মী কুগাও থাকে, ধন দেীলতও ভোগ কবিতেন না কিথ টিনার নন এত অ স্তু ভালবাসার পাত্ৰ কাছা শোরেল-প্রাসাদের পহীন অঙ্গে শিীর মোহন শৰ্শে দেখা যায়ন । কী নাৱ ছোট হৃদয়খানির মধ্যে প্ৰাণ দিনে দিনে রুপের মাধুরী দুটা উঠিতেছিল, সখে স্থানটা বোধ হয় জর বিষ্কারই দখল কবিয়া সেই খুকী টনার ফ্যাকাশে রাও দিনে দিনে কৈশোরের কারণ ছোট মেয়েদের স্বভাবই এই রকম যে হাতের লাবণ্যে উজ্জল হইয়া উঠিতেছিল। বিশেষ কিছু সৌন্দৰ্য্য সকলের চেয়ে সুন্দর যে ভালোককে পায় তাহাকেই প্ৰা তাহার ছিল না, কেবল ছিল দেহে হাত্মা হাওয়া দিয়া ভালবাসি বসে। তাহার উপর ইনি আবার শাস্ক মতন এটা সুন্দর মাধুর্য ও বড় বড় কালো চোখ ছটতে টাসনের ধার ধরিতেন না, ডরকাস নামে একটি একটা গভীর দৃষ্টি । আর ছিল তাহার ভূবনমোহন স্বর। তরল নাৱ ধীির কাজে সাহায্য কতি । তাহা । সে কঙ্কণ কোমল স্বয় যেন পাপিয়ার প্ৰেমগান । এই দুটি ছিল ঠিক দুটি ফুটন্তু গোলাপের মতন। ঔষ সৌন্দৰ্য্যেই তাহাকে অপূৰ্ব্ব মণ্ডিত করিয়া তুলিয়াছিল । কিসমিলের মতন এই মেয়েট টনার কাছে মিসে শা । ৪ৰ্থ সংখ্যা] দাও খানিকটা মধুর কবিয়া রাখিয়াছিল। টনা ইহাকে পড়িল । আস্তে আস্তে আপনা-আপনিই যে পরিবারের ব ক্ৰিষ্টফাৱে সমােনই ভালবাসিত । মেয়েটি যেদিন একজনের স্থান জুড়িয়া বসিল । বি-চাকরেরা দেখি চম্যানকে বিবাহ করিয়া মস্ত একজন ভাৱিকী লোকের সাটি-দুহিতা শেষে পুরাদস্তুর মহিলা হইয়াই দাড়াইৰে । মতন স্বামীর সঙ্গে দূরে এক কোলাহলয় সহরে গিলিবান্নি মিঃ বেটস বলিল, “তা এ ত হওয়াই উচিত । দাদা চলিয়া গেল, সেদিন টিনার পক্ষে বড় েকমন ভীষণ দুদিন । কি আর খেটে খাবার মত চেহারা । আহা, ফুলের ধান হইতে ডরকাস টিনাকে একটি চীনা বা পাঠাই মত নৱম মোলামে শীল্পানি । মানুষ নগ্নত যেন এই তিচিহটর উপর লেখা দিন, “তুমি পাপিয়া পাট, ছোট শী টুকু গান গানেই যে চোখের আড়ালে গিছে বটে, কিন্তু তোমার মধু আছে ?” টি আমার মনে চির জাগরক বৎসর পরেও জীবনের এই অনেক আগেই অবস্থাটায় পোছিবার হ ক্ষুদ্ৰ ভাণ্ডাবে এই ধনটি ছিল কিন্তু জীবনে আর-এক নুতন যুগের ইয়াছিল টনার সুব্ধ । নয় িদ্বতীয় ক্ষমতা যে িক তা বােধহয় সকলেই এতিদন তাহার সঙ্গীয়া সকলেই ছিল বড় বড় ; এইবাৰ গিছেন। সেট করে মাধুরী নির আশ্চৰ্য্য একটি তরুণ সাৰ্থীর আবিৰ্ভাৰ হইল। টিনার বয়স তখন ও অতি সুন্দর গলার স্বর যেদিন ধরা পড়িল সাত বৎসর। এই সময় হইতে স্তর ক্ৰিষ্টফারের পালিত নি কল্প ষ্টিফার ও তাহার গৃহিণী দু’নেরই মেনাৰ্ড গিলফিল নামের একটি পনের বৎসরের ছেলেট ধরেন তাহার সঙ্গীত শিক্ষার িদকে তখনই তাহ সময়টা শোয়েল-প্রাসাদে কাটাইতে লাগিল। নাই বলে মদ শোরেল িটনার িশক্ষায় পড়িল। লেডি অনেক তাহার মনের মতন খেলােৱ সাখী । মেনাৰ্ড ছেলেট খুব দিতে লাগিলেন । টিন এত তাড়াতাড়ি সব শিগিয়া হেনয় শাদা খরগোষ, পোষা কাঠবিড়ালী, গিলিপি তে লাগিল যে অগত্যা কয়েক বৎসরের জন্য এক প্রভৃতির উপর তার খুব টান একটু বড় বয়স ইটালীয় শিক্ষককে তাহার গুঞ্জ পদ দেওয়া হইল তাহার এ-সব খেয়াল ছিল । সে-বয়সে সচরাচর অঙ্কণ এই প্ৰতিভাৱ অ প্ৰকাশিত প্ৰকাশে উনার সঙ্গে লোকো এসব খেলা নেহাৎ ছেলেমাৰী বলিয়াই গতিকে বাকীর সম্পৰ্কীটার যেন একটু বদল হইয়া গেল । মেয়েরা সরাইয়া রাখে মাছধরা, তোরের কাজ করা, এলৰ দিন । তোরের খুব ছোট থাকে ততদিন বিদ্যালছানা কুকুছানার দিকেও তাহার খুব বোধ ছিল কাজটা সে আদৱে আদরেই বাড়িতে থাকে ; কিন্তু তাহার পর দরকার বোধে মোেটই করিত না ; শিল্পীয় আনদের মত সময় আলেকোনাে যখন তাহদের সম্বন্ধে বিশেষ ইহাতে তাহার একিট আনন্দ ছিল। এই সকল খেলা নাইলোকের মনে আল না, িবশেষত, না মতন যদি উনাকে কৰিলে সঙ্গী পাইলে সে বড়ই খুী। আদর কি বুদ্ধির কোনো পৰিচয়ই না পাওয়া যায় তাহ তাহাকে কত নােমই দিত, তাহার যত অত প্রশ্নের উত্তর ইলত কথাই নাই। জীবনের এই অৱস্থাটা লোকে গাইত। তাহার পিছনে সারাদিনই টনা টুট, তাহাদের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে কিছু না ভাবে তবে অাশা কহেিলা ঘুরিয়া বেড়াইত। মেনাৰ্ডের বোধ হয় এত আন ইয়াৰ কিছু নাই। না যখন বড় ইয়া উঠিতে লাগিল, আর কিছুতে ছিল না। ছুটির পরে যেদিন খেলা সাৰ জাদ দেখা কাজে লাগিবারই গেল সে কোনো বিশেষ করিয়া ইস্কুলে পড়িতে যাইবা পালা আসিত, সে পানয়। কাজেই মিসেস শাপের চিনাটি কাজ দিনকার বিদায় -দৃশ্য দেখিবার মতন । একটানে সৰকাটা ঠিয়াই সে দিন কাটাইত। কিন্তু ডাহা এই শক্তিটি কথা মেনাৰ্ড বলিয়া বাইত বিত সে েলডি হইয় উঠি, বামাত্ৰ শেতাবেগের প্ৰিয় না, আমি আবার ফিরে আসবার আগে আমায়ালে জগতে সঙ্গীতই সকলের চেয়ে ভালবাদিতেন। কাজেই যাবে না ? আমরা মতগুলো চারকের দড়ি তৈরি করে ধন দেিয়মের আমােদ-আহ্বাদের সঙ্গে দাইয়া ছিলাম, সব তোমাকে দিয়ে গেলাম। হা, দেখো খিনি দশ আনন্দ সে যে