পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে-যে লেখা দিয়াছেন, এবং এখনও যেগুলি অামার হাতে মজুত আছে, তাহার প্রত্যেকটি আমি আনন্দের সহিত গ্রহণ করিয়া নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করিয়াছি । “বৃক্ষবন্দন৷” ও “বৰ্ষশেষ? অামার ত খুবই ভাল লাগিয়াছে, আমার কোন সমঝদার মফঃসলস্থ বন্ধু শ্ৰীযুক্ত জ্ঞানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ঐ গুলিকে আপনার আগেকার সব লেখার চেয়ে ভাল বলিয়া লিখিয়াছিলেন । এই রকম আরও appreciation এর বিষয় আপনাকে জানান আবশ্যক মনে কবি নাই । “ধর্মবোধ” লেখাটিও আমি খুব সারবান মনে করি, এবং ইহাতে যে বৰ্ত্তমান সময়ের সবর্ণগ্রীন শিক্ষাদানের একটি সমস্যার আলোচনা আছে, তাহাও বুঝিতে পারিয়াছি । সুতরাং আমি আপনার কোন একটি লেখারও প্রতি অনাদর জানাইবার জন্য কি স্ব তৎসম্বন্ধে অামার মনে তাচ্ছিল্যের ভাব থাকার জন্ত “পাত্রাবশিষ্ট” কথাটা ব্যবহার করি নাই । আমি ইহাই বলিতে চাহিয়াছিলাম, যে, আগে অস্যেরা আপনার লেখা বাছিয়া লইবে, এবং যাহা বাকী থাকিবে, আমি তাহ পাইব । আপনিও আমাকে এখানে মৌখিক বলিয়াছিলেন, যে, “বিচিত্রার” লোকেরা যে রকম করিয়া আপনার সব কবিতা গুলি দখল করিয়া লয়েন বা লইতে চান, তাহা আপনার ভাল লাগে না । কার্যাতও দেখিতেছি, যে, তাহারা পর্য্যাপ্তেরও অধিক লেখা পাইয়াছেন । আমি ইহা অভিযোগের ভাবে বলিতেছি না। আমার যাহা ধারণা, তাহা কেন জন্মিয়াছে, তাহাই বলিতেছি । কিন্তু আবার ר ו ס\