পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৰনাথ । ૨૨૯ তৃতীয় গর্ভাঙ্ক । عمسمسبوسعينياجنتينية تتشتتخييتصميمتد নীলনলিনীর পিতৃ আলয় এবং অমরনাথের বাটীর পথ । ( গোবিন্দ মুখুয্যের প্রবেশ ) গোবিন্দ । কি কুকর্ম্মই করিচি ! আমি গিইচি একেবাবে ! জামৃতে পাচ্ছি—দেখতে পাচ্ছি যে প্রেয়সী আমার হৃদয়ের মধ্যে গাড়ীর উপরে বোসে গাজন দেখচেন, আর এক একবার চক্ষু দুটি যেন রাহগ্রস্ত অদ্ধ গ্রাসিত শশধরের ন্যায় আমার দিকে ঘুরে আসচে। এ সব জেনে শুনেও আমি সেই গাড়ীর পাশে দাড়ায়ে এমন কথা বোল্‌লেম ! ঐ, ঐ দেখতে পাচ্ছি প্রেমময়ী বদন ভারি কোরে যেন গম্ভীর ভাবে আছেন । আর মুখে হাসিও নেই কথাও নেই । দুর্জয় মান । এ মান সীমান্য কথাতে যাবে না। তবে পায় ধোর্ত্তে হল । (চারুকমলের প্রবেশ ) চারু । ( গোবিন্দ মুখুয্যের পশ্চাতে ) একুটু পথ দিন তো গা ! গোবিন্দ । ( চমকিয়া উঠিয়া চারুর মুখাবলোকন করিয়া চরণ ধারণ ) ও প্রেয়সি ! তুমি আমার হৃদয় ত্যাগ কোরে কোথায় যাও ? প্রেয়সি ! আমার অপরাধ ক্ষমা কর । আমি আর এমন কর্ম্ম কোরব না। এখন অবধি তোমাকে হৃদয়ে ৰেখে তোমার চরণ সেবা কোরব। এসে আমার হৃদয়ে চারু । ( সত্বর বস্ত্রের দ্বারা শরীর আবৃত করিয়া বসিয়া উভয় হস্ত দ্বারা গোবিন্দের হস্ত ছাড়াইবার চেষ্ট্র ) ওমা একি জ্বালা ; ওমা কি হল ! একি বিপদে পোড়লেম আমি ! ওমা আমি গেলেম ষে ! ওগো তোমরা কেউ নিকটে থাক তো জামাকে বাচাও !