পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী— ত্ৰ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ৪৭২ ইহা শৰ্কৰাখাও। (১) লোকশিক্ষাই এক উপায় । কিন্তু শিক্ষা দাৰ্থ -কোথাও কোথাও ইহা “লাল আলু বঙ্গবিদ্যালয়, ইংরেজী ইল, কিংবা কলেজ খোলা নহে। ও বাট সাহেব লিপিয়াছেন - দাদা আলু নামে খ্যাত। , বঙ্গে বিদ্যালয়ের অভাব যত না হউক, শিক্ষালয়ের অভাব ইহাতে ০.২ ভাগ শৰ্করা এবং ১৬ ভাগ পালো আছে। আছে । এই শিক্ষা কি-রকম হইতে পারে, তাহা এখানে আমি ভাল আলু পাই নাই । যাহা পাইয়াহিদাম তাহ শ্ৰাবণ মাসে তেমন মিঠা নয় । বাথা করিবার স্থান হইবে না ভাগ, ইহাতে ঘন ৫৩৩, জল । খf দেখুন তবে, ভাল আখ, গ, দ্বিা, ভাগ মাত্ৰ শৰ্করা, ( তাহাও উন-শর্করা) পাইয়াছি । ‘ভারতবৰ্ষ অতএব গড়ের পক্ষে যোগ মনোর পক্ষে যোগ্য বোধ লুম্বা লইয়া হাট হাটে দেখাইয়া বেড়াইতে পালি লোকের চিন্ধ উদবুদ্ধ হইবে । কি ক্ৰমে সে-সব উৎপ তঃ এমন গাছ চাই যাহার সে কেৰল শৰ্কৰা নহে হইয়াছে, তা বুঝাইয়া বলিলে লোকে হয়ত পরীক্ষা করিত্বে ইক্ষুশর্করা আছে শুনিয়াছিলাম, কাটোয়ার নিকট পাতিবে এখন সেকাল আর নাই ; এখন গড়ে জল এক নাটা শাগের চাষ হয়, তাধার ডাটা গাদ রাখিলে ধরে কম হয় *ী চানি বলিয়া গ্ৰাহক এই সব কথা সোজা গুড়ের মতন মিঠা । কিন্তু ডাটা আনাইতে পারি নাই লাইতে পাৱ৷ কঠিন হইতেছে হাত তাহাতে ইক্ষুশর্করা আছে, এবং কবিশ্বাঝা শকরা ভাষায় পাইয়া হাট চাটে বিতরণ কৰিলেও কিছু ল্যে গৰিমাণ বাড়াইতে পাৱা যায়। সম্ভাবনা। একস্থানে ভাল আছে, অন্ত স্থানে নাই। সব প্ৰবন্ধ দীৰ্ষ হইয়া পড়িতেছে, নামে গড় হইলেও মিষ্টতা স্থানে ভাল হইলে গড় চিন্তা লঘু হইবে ন হইতেছে। কারণ কোন সে কত , কিংবা কোন { ২) পুড়ের ব্যবসায়ে শূচি যে ক ও আবক, তা গাছে কত ব্লগ, তাহা না জানিয়াও দিন বেশ চলিতেছে খেজুৱা গড়ে পাওয়া যাইতেছে ধনীর চলিতেছে ; নিৰ্ধনীর চলিতেছে না, পূরে দল এ কথাও অনেকে জানে না। প্ৰতি গাছে চৰিয়াছে, চীন অগ্নিমূলা হইয়াছে। ইরোপে শান্তি ধৰিলেও কয়টা থাছে এক বি৷ জমির খাজনা পোৱা স্থাপিত হইলে গড়-চিন্তা থাকিবে না । তবু যদি কাহার ও তাহা জানিলে পড়া-বাগান পগার-পাড় পড়িয়া থাকিছে চিত্ত হয়, তাদের িচন্ত সুচনা করিলাম। ইতি- লাগবের না, ব্যবসায় |” কিন্তু করিতে গেলে কৰ্মবিভাগ আবশ্যক দখে মধ্যে নানাস্থানে সূচনা করিয়াছি ; এখানে বস সংগ্ৰহ ও পাক একজনের ধারা কয়েকটা অবায়ু করিতেছি । হইবে না | কাটোয়ার ডেপুটি মাজিষ্টেট ৩) বিকৰ্মে মূল ক্ষেত্ৰ ও বীজ, এই যুক্ত স্বতীমোহন বা খায় হিতোয় তাহার বীজ পাইয়াছিলেন । মনে aিাচিলাৰ দেশের কৃষক ক্ষেত্রের গুণ যেমন বোকে, বীজের গুতে নিজে গাছ ৰবি শক্যতা পরীক্ষা কৰিব । কিন্তু, এই দে কারণ উত্তম বেংকে না৷ বীণ উৎপাদন তাহার সােথ ৰামস্কার বালিয়া মাটিতে খাছ ৷৷ বাণি না, মিঠা হইল ন নয়। বিলাতে কেবল বীজ উৎপাদনের কৃষক আহে) ও দাকি জানা আছে বালি-মাটিতে কুল দিয়া হয় না মাটিতে, অৰ্থাৎ বটির কোন উপাদানে হয়, তাহা পরীক্ষা কত বা এদেশে এই বিভাগ অবশাক হইয়াছে এত কথা আছে যে সে এখানে বার স্থান হইবে না। সে যাহা হাক, শ্ৰেষ্ঠ বীজ চাই ; গানের বীজ, কলাই বীজ কাপাসের ধী ধীল ৰালিথিয়াছিলেন, এখন নাজিয়াৰে সে নটা হয়না, কা ইতে ৭ মাইল বুয়ে আলমপুরে হয়। কলিকাতা এক খ্ৰীবিতোৱ প্ৰভৃতি হইতে ফুলের বীজও চাই । খেজুর-সের জল্প হে হিট হইতেও কাটোয়ার মটিয়াধীল” আনাইয়াছিলাম খেজুর-বীজ চাই ঠিা হয় নাই তাছা হইলে মাটিাই দোষ । কিন্তু, পুনায় এক বীজ পিতার নিকট হইতে অন্য শাখবীজের সঙ্গে পাল: লাগ দও ( s ) আখ ও খেজুৱ ছাড়াও কোথায় কি গ দাইছিল। বেশি শিকড় দিই। বিমান কতিয়া দেখি যা আছে তাহার পরীক্ষাও চাই। আসামের যে দুইটা থা ৩াপ শৰ্কৰা, এবং সবাই ইশারা । ইহা বীট-পালা নহে। জানি স, এই বীজ কাটোগা মাটতে গলি কমিীি:ইত বনে জন্মিতেছে, গ্ৰামে কবিয়া রসে গুড় করিলে বহু সঙ্গ এখন } ম সংখ্যা ]] তিব্বতরাজ্যে তিন বৎসর ইবে । কেন না, তত রস খজুৱ-গাছে মিলিবে না। সবই তিত-রাজ্যে তিন বৎসর দি গভৰ্ণমেণ্ট করিবেন ? এই যে-সকল সমবায়ু-উদ্ধার পানী শ্ৰম যুক্ত একাই কাণ্ডাগুচির মণবৃত্তান্ত ) দিতি (Go-operative Credit Society ) হইয়াছে , ভাষাত নিশ্চয়ই উযোগী পুৰুষ আছেন । তাহারা বস্তু একবিংশ অধ্যায় । দিলে প্ৰজার কিনা হিত করিতে পারেন শ্ৰীযোগেশ রায় লের প্রত্যাশার দ্বিতীয়বার চুটিয়াও যখন জল পাইলা তখন আমার দেহমনের অবস্থা কি হইল তা এক অবৰ্ণনীয়। পিপাসায় ছাতি ফাটিয়া গেল বলিলেও সে স্বজনের কোন ক্ষণে অনাদি গে কষ্টের বর্ণনা হয় না সে যে কি পিপাসা রস বলিয়া একেলা ভাসি মহাসাগর-বুকে যে জিনিষ তা যেন আমার অস্থি-মজ্জাৱ ভিতর হইতে একেলা অাপনা লগে আপনি থেণা, পাইয়া গেল। এ পিপাসা দেহের সমুদায় অণুপৰমাপুর কিছু নাই, কেহ নাই, আকাশ মেল পিপাসা । হার হে জল দল না জীবন ; জগতে যায় এত একেলা মেলিয়ে আঁখি আপনা দেখি বিকট অসীম খেলা ভীষণ কি ছড়াছড়ি— অাদ তার একৰিপুর জন্ত আমার প্রাণ বাহির ই, নাই, কেহ নাই ; তীরে হইবার উপক্ৰম হুইল এই অবৰ্ণনীয় যন্ত্ৰণ ত আমায় হাসে, পেলে কত লোক ”সাবে চুটি নিশ্চেষ্ট হইয়া থাকিতে দিল না—জল না পাইলে আমার হাতে ধরে কেহ ণ, কেহ বা বুকে নিশ্চিত মৃত্যু ! জলের জন্য আবার ছুটিলাম । কিন্তু আশা কত খেলা, মিশামিশি। কত না সুখে সাগরের ডাক আসে দু'দিন পরে কবিবার সাহসটুকুও যেন আমার প্রাণে নাই। দ্বিতে হেসে গিয়ে ভেসে যাই সে জানা ধরে বিতে প্ৰায় ১১ টার সময় এক উপত্যকা দৃষ্টিগোচর হইল । কত কুলে কতবা কতনা ওঠা অস্তুৱে অনুভব কহিলান এবার জলু একটু পাইব । আঁখিজল, মধু হাসি কত না লোটা বাস্তবিক জল পাইলা বটে। কিন্তু হারে সে কি জল । -- কেউ বলে থাকে, থাকো, যে ও না ফিরে’ সে বস্তু জল বটে পাৰ হন্তে উষ্ময়ে আমি ব—িদেখা হবে পুনঃ এ তীরে ভেসে যাই, ভেসে যাই, কেন কে জানে ? মত নীচে চুটিলাম—-পাত্ৰপুৰ্ণ করিয়া জল তুলিলাম, এ কি অসীমে মায়ার সরে পরাণ টানে । ং সুরকি-গোলার স্নায়, ঘন, অসংখ্য পোকা একা যাই, একণ যাই, কেহ না থাকে তাহাতে কিলকি করিতেছে । কত ধু হইতে এ জল ন রাখিতে পারে মায়ার পাকে পচিতেছে ! পিপাসায় অ্যাজ মরিতে বসিয়াছি, তবু তা কুলে কুলে সবে বলে—তোমারে চাঁহি ভাসিয়ে ফিরিয়ে চাই, কে ২ ত নাহি মুখে তুলিতে পারি না । বৌদ্ধ শ্ৰমণ হইয়া আজ অসংখ্য কালি যাৱে ঢেকেছি প্ৰণয় ভাৱে, জীব উদস্থ কহিব ? তা ত পারি না মোটা কাপ আজি সে ফিরায়ে মুখ চিনিতে না:ে ; বাহিত করিয়া জল ঢাকিলাম –দেখিলাম পোকা অার বলে শুধু--দিব তোমা বলে গে শুধু, নাই বটে—ং রক্তবৰ্ণ। কি করি, আজ প্ৰাণ ভরিয়া সেই একাকী ভাসি ধাই, অসীম ধু যুগযুগায়ের পচা জল পান করিলাম । সে জলে অস্বাদ একা আমি, একা অানি-বিপুল সুখী, ভালবাসা মিছা কথা, কেন বা দুধী ? আজ যেন স্বৰ্গের অমৃতের স্নায় আমার বোধ হইল। কিন্তু এক যাই, একা এই সৃজন প্ৰাতে দ্বিতীয় বার অার পান করিতে পারিলাম না। অগ্নি জালিয়া সাগরের সাদা ঢেউ আমারি সাথে । সেই জলে চা করিতে প্ৰবৃত্ত হইলাম । তখন প্ৰায় ১২টা শ্ৰীপ্যারীমোহন সেনগুপ্ত । বাজে—১২টার পর জাহার করা আমার নিয়ম-বিকৃ- তাড়াতাড়ি ১২টার পূৰ্ব্বে অহা করিলাম। কি মিষ্ট সে