পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৭৬ প্ৰবাসী— ভাদ্র, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড মোটি দুই ধারে বরফের উপর শয়ন করিল। মনে জামায় করা দরকার বুঝিলাম। বয়ষ্ণ মাথিয় গমের টা গলাধঃকরণ করিলাম খ্যানস্থ হইয়া রাত্ৰি কাটাইয়া দিব মামার করিলাম। মেষগুটিকে তাহার কিঞ্চিৎ অংশ থাইতে দিলাম হতভাগা মেহদুটির আজ কি শোচনীয় দশা । তাহারা ক্ৰমশ বুলিাম শরীরের বর্তমান অবস্থায় পাহাড়ে উঠা আমাছ অামার গায়ে ঘোষিয়া বসিতেছে, আমার মাঝে মাঝে করণ পগো অসম্ভব । নানিতে আরম্ভ করিলাম। ভাবিলাম সেই স্বয়ে ডাকিয়া দুঃখ জানাইতেছে অামি কথন পশুর এর পৰ্ব্বতের উপতাকা কিছুদিন বিশ্ৰাম করিয়া সবল হই গাঢ় মাইল নামিয়া এক নদীর তীরে আসিলাম ভাষা শুনি নাই। আমার প্রাণের অবস্থাও তা এমন অসহায় এমন বিপন্ন আপনাকে কখন আর দেখি তুষারপাত অা হ’ল ৭ - উপর রাত্ৰিযাপনের ভয়ে ই ! আমি বসিয়া বসিয়া লবঙ্গের তৈল গায়ে মণিতে প্ৰাণ কঁপিয়া উঠিল । ঠিক সেই সময় পাৰ্থীর ডাক কৰ্ণে দাখিলাম--তাহাতে শরীরটা একটু গরম হুইল অৰ্দ্ধ প্ৰবেশ করিল। চাহিয়া দেখি ৭৮টি সার-পাৰ্থী ধীরে ধীয়ে ময়ে পর এমন ভীষণ শীত বোধ হইল, যেন আমার পা ফেলিয়া নদী গলে নাইতেছে । যেন ছবির মত মেহের র কোন সাড় নাই। ক্ৰমে যেন আমার চৈতন্য দৃশ্যটি দেখিলাম নদীটি ০ গজ চওড়া পায় হইয়া বিলুপ্ত হইল-যোের তা আসিয়া আমায় আচ্ছা করি। উপতাকার নামিয়া দেখি দুরে একপাল চমী এইটুকু আমার স্মরণ আছে , তখন মনে হইতেছিল অামি চরিতেছে । প্ৰথমে সৰহ হইল বোধ হয় দৃষ্টির ভ্ৰম হয় অন্ধকারময় রাজ্যে প্ৰবেশ করিতেছি । দেখি তাছা নয়, তাহ চারীর নিকটে গিরা দেখি কা প্ৰা চমী একজন চরাইতেছে লোকটি বলি ত্ৰয়োবিংশ অধ্যায় । নিকটেই ৫টি ভাবু, পডিয়াছে অামি সেদিকে চলিবাম বয়রে উপর রাত্ৰিাস৷ তাবু দৃষ্টিগোচর হইতে-না-হইতে একেপাল কুকুর তা বরফে আৰ্দ্ধমৃত অবস্থায় আমি স্বাগরাজ্যে বিচরণ করি: করিয়া আসিল আমি তাবু অধিবাসীর নিকট আশ্ৰয় তেছি ; কখন অনুতাপ কখন পুনৰ্জন্মের অাশা মনে উদিত ভক্ষা করিলাম কিন্তু সে ব্যক্তি পরিস্কার অসম্মতি হইতেছে ক্ৰমে সকলই যেন অন্ধকালুময় হইয়া গেল অনাইল । হয়ত অামার আকৃতি দেখিয়া তাহার এক্সপ ভা অ্যাদি চৈতন্তু হাৱাইলাম। তখন আমার আকৃতি নিশ্চয়ই হইল আমি দুইমাস চুল কাটি নাই, অনাহারে পরে মৃতের ছায় দেখাইতেছিল। হঠাৎ তন্দ্ৰা ভাঙ্গিয়া গেল, মনে কষ্টে মূৰ্ত্তি ভয়ানক হইয়াছে আমি অনেক অনুনয় বিনা ইমামা পাশেই ঞ্চি নজিতেছে । চক্ষু খুলিয়া দেখি বরিণাম কিছুতেই সে ব্যক্তির হৃদয় গলিল দা। বিষয় মনে জামাৱ মেষ ঘট দাড়াইয়া শরীর কাড়া লিয়া বরফ ঝাড়ি৷ গিীয় ভাবুর দিকে গেলাম এখানে অভ্যর্থনাটা চুড়া লেলিতেছে। আমি যেন স্বৰ্গই দেখিতেছি । ক্ৰমে তাহদের হইল।। যত কাতরভাবে পণের কষ্ট, আমার শোচনীয় অষা বয়স্ক বাড়া হইল। তথন আমি ভাবিলাম এ ত স্ব ন করিতে লাগিলাম, লোকটর ব্যবহার ততই নিয় ভাষায়ও দেহ হইতে বরফ বাড়া দরকার । কিন্তু কিছুই ইয়া উঠিল— আমায় ব ত কটু কথা শুনাইল—বধি ফয়িতে পারিলাম না। আমার সমুদায় দেহ যেন বসিল, “ডাকাতি কবিতে আসিয়া, দূর হও । আজ ভাষা আমি হাত পা নাড়িতে চেষ্টা করিতে লাগিলাম। ক্ৰমে যেন একি লাঞ্জন৷ গভীর দুঃখে প্ৰাণ ভাঙ্গিৱা পড়িতে চায়া শামার চিন্তাশক্তি ফিরিয়া আসিতে লাগিল৷ ভাল করিয়া দুণে অণমানে আজ আমার চক্ষু ফাটিয়া জল আসিলা স্বাঞ্চাশের দিকে চাহিলাম। বড় দুৰ্যোগ। কালো মেঘে আকাশ মেঘদুটি ও যেন অবস্থা বুwিা কাতরভাবে ডাবিতে লাগি আচ্ছ । সেই মেঘের ভিতর দিয়া এক-একবার সুৰ্য্য দেখা তৃতীয় তাধু কাছেই ছিল, আশ্ৰয় ভিক্ষা করিতে সাহস যাইতেছে । বড়ি খুলিয়া দেখি ১৭ টা বেলা—কোন তারিখ বরফের উপর স্থির হইয়া দাড়াইয়া ব্লছিলাম। সে স্মরণ করিতে পারিলাম না একদিন না দুদিন বরফের দুটির কাতরভাব দেখিছা, অতি কষ্টে চতুৰ্থ ঠাকুর যা উপয় মাইয়াছি তাহাও বুঝিতে পারিলাম না। কিছু আহার আশ্ৰয় ঢাছিলাম পরম সৌভাগবলে চাহিবামাত্ৰ আ ৫ম সংখ্যা ]] তিব্বতরাজ্যে তিন বৎসর আমার দেহ অবপন্ন। সেদিন সন্ধ্যায় তাবু ফায়াং আমায় দেখিয়া ঘুরপাক খাইয়া দুটিতে টিকে তির গিয়া যখন আগুনের পাৰ্থে বসিলাম, তখন মনে হইল আমার নিকট আসিল আমার মেঘ ছুটি ঘোটক ন সশরীষ্মে স্বৰ্গসুখ উপভোগ করিতেছি। পরদিন সেখানে আয়ের এই অভূত দোঁড়াদোঁড়ি দেখিয়া ভয় পাইয়া হঠাৎ শ্ৰাম করিয়া দ্বিতীয় দিন ভোর ৫টার সময় আমি সেই আমার হাতছাড়া হইয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে দোঁড়িল । জাষ্টি বুর অধিবাসীদের ধন্যবাদ করিয়া বিদায় লইলাম আমি তাঁহালের পশ্চাৎ পশ্চাৎ প্ৰাণপণে চুটিলাম । মোটিকে ও যার উত্তর মুখে যাত্ৰ করিলাম । দশ মাইল বরফময় পথ আমাকে চুটিতে দেখিয়া ঘোড়াগুলির যেন ভাৱি মজা হুই৷ , অতিক্ৰম করিয়া তৃণাচ্ছাদিত প্ৰান্তরে পদাৰ্পণ করিলাম তাহাদের নৃত্য দ্বিগুণ বাড়িয়া গেল। আমি দোঁড়িতে মুখে চাহিয়া দেখি মরভূমি দেখিয়াই বাণু দোঁড়িতে মুখ থুবড়াইয়া পড়িয়া গেলাম, তখন মোট খয়ে কথা স্মরণ হইল। কিছুমাত্ৰ বিলম্ব না করিয়া মরুভূমি দাড়াইল, ঘোড়াগুলিও স্থিত হইয়া দেখিতে লাগিল। জাৰি পাহেইরা গেলাম খন নিবে নিৰ্ব্বদ্ধিতা দেখিয়া নিজেই হাসিয়া মরি চতুবিংশ অধ্যায় কিন্তু যখন দেখিলাম একটা মেধের পৃষ্ঠের বোৱা কোথা পড়িয়া গিাছে, তখন প্ৰহসন ব্যাপারটি নিরবছিল হাস্যাস বন দেবতা ও বা গো পূৰ্ণ বোধ হইল না। বৃথা অন্বেষণ, অনেক দূৱ আসিয়াছি। পাঁচ মাইল মহ তুমি হইয় অামি শানল তৃণপূৰ্ণ সেই পুলিতে আমার ৫ টি টাকা, ঘড়ি, ফাস প্ৰায়ে উপস্থিত হইলাম তা: পার হইয়া সম্মুখে এক অন্যান্য জিনিষের মধ্যে পাশ্চাত্য সখের জিনিবই আঁকি পৰ্ব্বত দেখিতে পাইলাম শুনিলাম সেই পৰ্ব্বতে তিববত ছিল মানুষের সঙ্গে ভাৰ করিবার উপায় বলিয়া সঙ্গে যাসীদের আদিম দেবতা “বন বাস করেন । তিব্বতে লইয়াছিলাম। এখন ভাবিতেছি সেগুলি হারাইয়া গিয়া বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্ৰচাধিত হইবার পূৰ্ব্বে এই বন দেবতাই ভালই হইয়াছে। বুদ্ধিমান লোকের চক্ষে সেসব মিলে পূজিত হইতেন এখন তিৰুতে সৰ্ব্বত্ৰ বৌদ্ধধৰ্ম্মের আমার উপর সন্দেহের উদ্ৰেক করিত। ভগবান বুদ্ধ হয় প্ৰহাৰ, ‘বন’ দেবতা পূজা প্ৰায় কেহ করে ন করিয়া অামায় বিপদ হইতে রক্ষা করিলেন তার কোন মন্দির নাই, ইনি পৰ্ব্বতে দে বা ঝরণায় বা করেন, লোকের এইরুপ বিশ্বাস এই স্থানে শ্ৰীহেলাদেী । ফায়াঃ নামে এক-প্ৰকার বন্য ঘোড়া দেখিতে পাইলাম । বায়া দেখিতে অনেকটা গৰ্দ্দভের ায়, রং লালচে কটা৷ দেয় লোম কালে, উদরের বর্ণ সানা, সাধারণ ঘোড়ার তি আকারগত কোন পাৰ্থক নাই, কেবল লেজটি রাফিনাসের শ্ৰীক অনুবাদ হইতে । কট গুচ্ছের ব্লাষ । ইহারা অতান্ত দ্ৰুত ছুটতে পারে তৃষিত হয়ে প্ৰিয়ারে যাবে অনিতে বলি জল , ষ্ট্ৰীয় শক্তি যথেষ্ট । ইহাদের প্রকৃতি বড় অদ্ভুত হাজির প্ৰিয়া তামাক সাদি, হস্তে দেন নল ; না হাবিয়া থাকে না,— দ্বিতীয়ত এক মাইল দে ভোজনে বসি চাহিছু যদি একটুখানি সুন ইল দূর হইতে মানুষ দেখিলেই মুরিয়া ঘুরিয়া দোঁড়িতে স্ত হয়ে আনেন প্ৰিয়া আঙুলে করি চুন ; তি তাহাদের কাছে যায়. আর পিছন ফিরিয়া ফিরিয়া স্বধাই তারে অসুখ হৱে—“কেমন আছ, ধন ? স্বাক্ষ আড়ে দেখে। যেই কাছাকাছি হওয়া অমনি প্ৰচণ্ড বলেন হাসি—“জড়োয়া চুক্তি এবার নিতে দল । ণে দুটা পালায় । ইহাদের এই বৃত্তাকারে দেীড়ান মোদের দোছে হইলে কথা পাড়ায় প্ৰাণা, অদ্ভুত দৃশ্য। এখন এই ফায়াংএর পাল্লায় পড়িয়া প্ৰেয়সী কন্‌—“গলtট অব মেয়েী নিতান্ত । নি যে দুৰ্গতি হইয়াছিল বাহাই বলি।--তিনটা বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়।