পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিবা ডাটা আমাদেরও হাড়েমাসে জানো, তাই যেখানে আমাদের বলিবার আরো কথা আছে। কতৃপক্ষা সীতায় চলিতে পাৱে সেখানেও মন চলে না। অভিমন্যা এ কথাও স্মরণ কথাইতে পারি যে, আজ তোমা আৰু মায়ে গৰ্ডেই হে প্ৰবেশ কৱিবাৱ বিদ্যা শিখিল, বাহির কত্বের মোটরগাড়ি চালাইতে, কিন্তু একদিন রাত ইবার বিদ্যা শিথিল না, তাই সে সৰ্ব্বাঙ্গে সপ্তরণীর মারটা থাকিতে যখন গোরুর গাড়িতে ধারা সুক হইয়াৰ্ছল তখন খাইয়াছে । আমরাও জন্মিবা পূৰ্ব্ব হইতেই বাধা-পড়িবার খাল-খন্দর মধ্য দিয়া ঢাকা-দুটো আৰ্ত্তনাদ ঠিক জয়ধ্বনির বিয়াটাই শিখিলাম, গাঠ-পুলিবার বিদ্যাট নয় ; তারপর মত শোনাইত না পালামেণ্ট বরাবরই ডাইনে বাবে মাত্ৰই বুদ্ধিটা হইতে স্বয় করিয়া চলা-ফেরাটা পৰ্য্যন্ত প্ৰবল কানি ধাইয়া এক নজির হইতে আর পাকে পাকে জড়াইলাম, আর সেই হইতেই জগতে যেখানে নজিরের লাইন কাটিতে কাটিতে আসিয়াছে, গোড়াগুচি যত ধী আছে, এমন কি পদাতিক পৰ্যন্ত, সকলের মা মরোলা-টানা পাক ব্ৰাপ্ত পায় নাই। কত ঘূষণা, খাইয়া মরিতেছি। মানুষকে, পুথিকে, ইসাৱাকে, গণ্ডীকে ঘুষাগুলি, দলাদলি, অবিচার এবং অব্যবস্থার মধ্য দিয়া সে বিনাবাক্যে পুৰুষে পুৰুষে মানিয়া চলাই এমনি আমাদের হেলিয়া হেলিয়া চলিয়াছে কখনো রাজা, কথনো গিৰ্জা , , জগতে কোথাও যে আমাদের কত্ব আছে তাহ কখনো জমিদার, কখনো বা মদ ওয়ালারও স্বাৰ্থ বহিয়াছে চোখের সামনে সশরীরে উপস্থিত হইলেও কোনোমতেই এমন-এক সময় ছিল সদর যখন জরিমানা ও শাসমো ঠাৱ হয় না, এমন কি, বিলাতী চষমা পৰিলেও না ভয়েই পালামেণ্টে হাজির হইত অার গলদের কথা দি মানুষের পক্ষে সকলের চেয়ে বড় কথাটাই এই যে, বল, কবেকার কালে সেই আদালত আমেরিকা সম্বন্ধ কৰ্ত্তরে অধিকারই মনুধায়ে অধিকার নানা মহে, নানা হইতে আরও কবিয়া আজকের দিনে বোয়ার-যুদ্ধ এবং গোকে, নানা বিধিবিধানে এই কথাটা যে-দেশে চাপ ভাৰ্ডনেলি মেসোপটেমিয়া পৰ্য্যন্ত গলদের লম্বা খ পড়িল, বিচায়ে পাছে এতটুকু ভুল হয় এইজন্য যে-দেশে দেওয়া যায় ; ভারতবিভাগের ফটোও নেহাৎ ছোটো নয় মানুষ আচাবে আপনাকে আৈেপিঠে বাধে, চলিতে গেলে কিন্তু সেটার কথায় কাজ নাই পাছে দুরে গিয়া পড়ে এইজন্য নিজের পথ নিজেই ভাঙিয়া কুবের দেবতার চলগুলি যে-সকল কুকীষ্টি করে সেগুলাে দেয়, সেই দেশে ধৰ্ম্মের দোহাই দিয়া মানুষকে নিজের পরে ফুেসের নিৰ্য্যাতন উপলক্ষো স্নালো অপৰিসীম অশ্রদ্ধা করিতে শেখানো হয় এবং সেই দেশে হাইছে সৈনিক প্রাধাৱে যে অস্থায় প্ৰকাশ পাইছি দাস তৈরি করিবার জন্তু সকলের চেয়ে বড় কারখানা তাতাতে বিপুর অক্ষশক্তিবই ত হাত দেখা যায়। এসয়া খোলা হইয়াছে সত্বেও আজকের দিনে এ-কথা কারো মনে সন্দেহ লেশ আমাদের রাজপুঙ্কদেরাও শাস্ত্ৰীয় গাম্ভীৰ্য্যের সঙ্গে এই কথাই বলিয়া থাকেন মাত্ৰ নাই যে, আত্মকতৃত্বের চির-সচলতার বেগেই মাছ তোমরা দুল করিবে, তোমরা ভুলের মধ্য দিয়াই তুলকে কাটার, অন্যায়ের গর পাহিবে না, অতএব তোমাদের হাতে কতৃত্ব দেওয়া চলিবে না।” মোড় ভাঙিা পড়িয়াও ঠেলাঠেলি করিয়া উপরে ওঠে আর যাই হোক, মনু-পরাশরের এই আওয়াট এই গল্প মানুসকে পিছমোড়া বাধিয়া তার মুখে পায়সা ইয়েদি গলায় ভাৱি বেহরে বাজে, তাই আমরা তাদের তুলিয়া দেওয়ার চেয়ে তাকে স্বাধীন ভাবে অল্প উপাৰ্থমে যে-উত্তরটা দিই সেটা তাদেরই সহজ সুরের কথা অমর চেষ্টায় উপবাসী হইতে দেওয়াও ভালো বলি, ভুল করাটা তেমন সৰ্ব্বনাশ নয় স্বাধীনক না. এর চেয়েও একটা বড় কথা আমাদের বলিবার আছে, পাওয়াটা যেমন । ভুল করিবার স্বাধীনতা পাকিলে তবেই –সে এই যে, রাষ্টা আত্মকতৃত্বে কেবল যে সুধাৰাব সত্যকে পাইবার স্বাধীনতা থাকে। নিৰ্ণ নিভুল হইবার দায়িত্ববোধ জন্মে তা নয়, মানুষের মনের আয়তন বড় হয়। আশা যদি নিয়শ নিজৰ হইতে হয় তবে তার চেয়ে কেবল পীিসমাজে, বা ছোটোছোটো সামাজিক শ্ৰেণীবিভাগে সা-য় ভুলই করিলাম যাদের মন বন্ধ, রাষ্ট্ৰীয় কৰ্ত্তত্বের অধিকার পাইলে তাৰেই সামান্ত নয় ৫ম সংখ্যা] কৰ্ত্তার ইচ্ছায় কৰ্ম্ম কে বড় পরিধির মধ্যে দেখিবার তারা সুযোগ পায় উপরওয়ালার হাতের সঙ্গে আমাদের হাতের একটা যোগের অভাবে প্ৰত্যেক মানুষ মানুষ হিসাবে ছোটো অবিচ্ছিন্ন যোগ আছে চৌরঙ্গী এই কথা মানে বলিয়াই ইয়া থাকে। এই অবস্থায় সে যখন মনুষাতের বৃহৎ জগৎটাকে হাত করিয়াছে, আয় চিৎপুর তাছা মানে স্না দায় উপরে আপন জীবনকে না ছড়াইয়া দেখে তখন বলিয়াই জগৎটাকে হাতছাড়া করিয়া দুই চকু তার চিন্তা তার শক্তি তার আশাভরসা সমস্তই ছোটো ইয়া উটাইয়া শিৰনেত্ৰ ইয়া হিল । মানুষের এই আত্মার খৰ্ব্বতা তার প্রাণনাশের আমাদের ঘর-গড়া কুণো নিয়মকেই সবচেয়ে বেড় চেয়ে ঢের বেশি বড় অমঙ্গল অতএব চুকে সম মনে করিতে হইলে চোখ বুজিতে হয় চোখ চাহি জাশঙ্কা মানিয়া লইয়াও আমরা তাক চাই । আমর দেখি, বিশ্বের আগাগোড়া একটা বৃহৎ নিয়ম আছে। দক্ষিত পড়িতে চলিব—দোহাই তোমার, আমাদের এই নিজের চেষ্টায় সেই নিয়মকে দখল করাই শক্তিলাভ দিকেই তাকাইয়া আমাদের চলা দিকে বাধা সন্ধিলাভ, দুঃখ হইতে পরিত্ৰাণলাভ—এই নিশ্চিত ন বোথটাই বৰ্তমান যুরোপীয় সভ্যতা পাকা চিৎ। ব্যক্তি এই জবাবই সভা এবাৰ । যদি নাছোবান্দা হইয়া বিশেষের সফলতা কোনো বিশেষ বিধানে নয়, বিশ্ববিধানে কোনো একগু’য়ে মাস এই জবাব দিয়া কতৃপক্ষকে —এইটে শক্ত রিয়া জানাতেই শক্তির ক্ষেত্ৰে রোপের যোগ করিয়া তোলে, তবে সেদিক হইতে সে ermcd এতবড় মুক্তি ইতে পারে কিন্তু এদিক হইতে বাঁহবা পার অথচ ঠিক আমরা কিন্তু দুই হাত উটাইয়া দীৰ্ঘনিশ্বাস ফেবিয়া এই জবাবটাই যদি আমাদের সমাজকৰ্ত্তাদের কাছে দাখিল বলিতেছি—কৰ্ত্তার ইচ্ছা কৰ্ম্ম সেই কাটকে,-য়ে বি, যদি বলি, “তোমরা বল, যুগটা কলি, আমাদের বাপদানা, বা পুলিসের দারোগ, বা পাণ্ডা পুরোহিত, যা টিা কম, স্বাধীন বিচারে আমাদের ভুল হয়, স্বাধীন স্মৃতির, বা শীতলা, মনসা, ওলাবিবি, দক্ষিণা, শনি, ব্যবহারে আমরা অপরাধ করি, অতএব মগজটাকে মঙ্গল, বাহু, কেতু, প্ৰতি—হাজার-রকম নাম দিয়া নিজে ধা করিয়া পুথিটাকে শিরোধাৰ্য্য করিবার জৱই শক্তিকে হাজার টুকরা করিয়া আকাশে উড়াইয়া দিই আমাদের নতশিরটা তৈরি, কিন্তু এতবড় অপমানের কালেঞ্জী পাঠক লিবেন—আমরা’ত এসব মানি না। আমরা মানিব না তবে চণ্ডীমণ্ডপের চক্ষু রাঙ আমরা ত বসর টীকা লই ; ওলাউঠে৷ হইলে সুলের ইয়া গুঠে এবং সমাজকৰ্তা তখনি সামাজিক internmen পিচ কিরি লইবার আয়োজন করি ; এমন ফি, কুম জারি করেন ধারা পোলিটিকাল আকাশে মশা-বাহিনী মালেরিয়াকে আজো আমরা দেবী বলিয় ফিবার জন্তু পাখা কট্‌পট্‌ করেন তারাই সামাজিক খাড়া করি নাই, তাকে আঁমরা কীটস, কীট বলিয়াই গুণী ড়ের উপর পা-দুটোকে শক্ত শিকলে জড়াইয়া রাখেন করি — এবং সেই সঙ্গে-সঙ্গে মারা ভাবিজটাকে পেট ডাসল কথা, নেীকাটাকে ডাইনে চালাইবার ও যে ভরা পিলের উপর কুলাইয়া রাখি ল, ধাৱে চালাইবার জন্ম ও সেই হল একটা মূলকথা মুখে কোনটাকে মানি বা নাই মানি তাতে কিছু আসে আছে সেইটেকে আয়ত্ব করিতে পাৰিলেই সমাজেও মানুষ যায় না, কিন্তু ঐ মানার বিষে আমাদের মনের ভিতরটা সম্ভ হয়, রাষ্টব্যাপারেও মানুষ সত্য হয় । সেই মূল কথাটার জারিত এই মানসিক কাপুরুষতার ভিত্তি একটা ঘণ লইয়াই চিৎপুরের সঙ্গে চোঁৱঙ্গীর তফাৎ। চিৎপুর চরাচরবাপ ভয়ের উপর অখণ্ড বিশ্বনিয়মের মধ্যে কোৱেই ঠিক করিয়া আছে যে, সমস্তই উপরওয়ালার প্রকাশিত অখণ্ড বিশ্বশক্তিকে মানি না বলিয়াই হাজা হাতে। তাই সে নিজের হাত খালি করিয়া চিৎ হইয়া রকম ভয়ের কল্পনাৰ বুদ্ধিটাকে আগেভাগে বরখাস্ত দিব । চৌরঙ্গী বলে, কিছুতে আমাদের হাত নাই এ. করিয়া বসি । ভয় কেবলি বলে, কি জানি, কাজ কি ! দি সত্যই ইত তবে আমাদের হাতছুটাই থাকিত না ভয় জিনিষটাই এইরকম। আমাদের রাজপুরে