পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবাদ-চর্চা & 84 ছড়াইয়া দিতে পারে। ইহাও জানা গিয়াছে যে, মাছি যক্ষ্মাবীজাণুও বহন করে। যেখানে ইহাদের জনন-যোগ্য স্থান এবং রোগবীজের সংস্পর্শ সম্ভাবনা আছে, মাছি সেখানেই অত্যন্ত ভয়ঙ্কর রোগ-বিস্তারক হইয়া উঠে । Dr. Hindle দেখিয়াছেন বাতাসের উজানে যাইবার অথবা তাহ পার হইয়া যাইবার দিকেই মাছির ঝোক । বৃষ্টিহীন দিন এবং উত্তাপ তাহাদের ছড়াইয়া পড়িবার পক্ষে অনুকূল, এবং খোলা পাড়া-গায়ে মাছিরা সহরের চেয়ে বেশি দূরে ভ্রমণ করে, সম্ভবত তাহার কারণ এই যে, সহরে বাড়িগুলি তাহাদিগকে খাদ্য এবং আশ্রয় দিয়া থাকে । 이 পীত নদীর তীরবর্তী হোনান, শানটুং এবং শান্সিতে যাহাদের আদি বাসস্থান সেই উত্তরদেশীয় চৈনিকের কানটুং এবং ফুকিয়েন নিবাসী দক্ষিণ চৈনিকদের হইতে সম্পূর্ণ পৃথক জীব। উত্তর-দেশীয়েরা সাধারণত বৃহদায়তন ; ইহারা সকল ঘটনাই অবিচলিতভাবে গ্রহণ করে, এবং গার্হস্থ্য কিম্বা রাষ্ট্র সম্বন্ধীয় কোনো বাধা নিয়মের পরিবর্তনের বিরোধী । দক্ষিণদেশীয়েরা সাধারণত আয়তনে খাটো, উত্তরের লোকদের চেয়ে তাহাদের বর্ণ কালো, এবং তাহারা সহজে উদ্বেজিত হয় । ইহারা পুরাতন প্রথ-সম্বন্ধে অসহিষ্ণু এবং তাহদের উদীচ্য স্বজাতীয়েরা যে সতর্ক গণ্ডির মধ্যে সন্তুষ্ট, ইহারা তাহ ভেদ করিয়া আপনাদিগকে অভিব্যক্ত করিয়া তুলিতে চেষ্টা করিতেছে। Գ Ջ এদিকে আহার সম্বন্ধে ইহাদের উভয়ের রুচি স্পষ্টতই পৃথক । উত্তর চৈনিকের প্রবল শীতপ্রধান দেশীয় লোক, এই জন্য যে-তণ্ডুল দক্ষিণ-দেশীয়দের পক্ষে অত্যাবশ্বক তাহাকে তাহারা উপেক্ষা করে এবং ময়দা ও গোধূমজাত অন্যান্য পদার্থ খাইয়াই প্রধানত বাচিয়া থাকে। দক্ষিণবাসীদের দেশ এত গরম যে, গুরুপাক খাদ্যে তাহাদের বিতৃষ্ণ ; তাহারা ভুট্ট এবং স্নিগ্ধকর শাক-সবজি কিছুতে ছাড়িতে চায় না। কিন্তু দক্ষিণ-দেশীয়দের প্রতি উত্তর-দেশীয়দের ঈর্ষাই বিরোধের সকলের চেয়ে প্রধান কারণ । দক্ষিণ প্রদেশগুলি অপেক্ষাকৃত অধিক পরিমাণে আধুনিক অবস্থার সংস্পর্শে আনীত হইয়াছে এবং এই জন্য যে-যথেচ্ছাচারী শাসন উদীচ্যদের প্রায় প্রকৃতিগত, তাহার বিরুদ্ধে ইহার উদ্বেজিত হইয়া উঠে । 岛冷