পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথ সাময়িক পত্রে লিখে দক্ষিণ পান প্রবাসীতেই প্রথম । একথা রবীন্দ্রনাথ পরবর্তীকালে স্মরণ করেছেন। প্রবাসীর দক্ষিণা দেওয়া নিয়ে ভারতী পত্রিকা কটাক্ষ করলে রবীন্দ্রনাথ লেখেন – ‘এমন সময় প্রবাসী-সম্পাদক স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে আমার প্রবন্ধের মূল্য দিয়েছিলেন। মাসিকপত্র থেকে এই আমার প্রথম আর্থিক পুরস্কার । তারপরে এই ইতিহাসের ধারা অার অধিক বর্ণনা করবার প্রয়োজন নেই । Q প্রবাসী-সম্পাদক যদি সেদিন আমাকে অর্থমূল্য দিতে পেরে থাকেন, তবে তার কারণ এ নয় যে, তিনি ধনবানের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন । তার কারণ এই যে, ন্যায্য উপায়ে পত্রিকা থেকে লাভ করতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন । তাতে কেবল যে তার সুবিধা হয়েছে তা নয়, অামার ও হয়েছে ; এবং এই স্ববিধা দেশের কাজে লাগাতে পেরেছি । কিন্তু অর্থই ত একমাত্র আমুকুলোর উপায় নয়। প্রবাসী-সম্পাদক সর্বদা তার লেখার দ্বারা, নিজের দ্বারা, পরামর্শ দ্বারা মমত্বের বহুবিধ পরিচয়ের দ্বারা বিশ্বভারতীর যথেষ্ট আহুকূল্য করেছেন। আমি নিশ্চিত জানি সেই আমকুলা দ্বারা তিনি আমার এই অতিভারপীড়িত আয়ুকেই রক্ষা করবার চেষ্টা করেছেন । দুঃসাধ্য কৰ্ত্তব্যভারে অর্থদানের চেয়েও সঙ্গদান, প্রতিদান অনেক সময়ে বেশি মূল্যবান। স্বদীর্ঘকাল জামার ব্ৰতযাপনে অামি কেবল যে অর্থহীন ছিলেম তা নয়, সঙ্গহীন ছিলেম ; ভিতরে বাহিরে বিরুদ্ধতা ও অভাবের সঙ্গে সম্পূর্ণ এক সংগ্রাম করে এসেছি । এমন অবস্থায় যারা আমার এই দুর্গম পথে ক্ষণে ক্ষণে অামার পাশে এসে দাড়িয়েছেন, তারা আমার রক্তসম্পর্কগত আত্মীয়ের চেয়ে কম আত্মীয় নন, বরঞ্চ বেশি । বস্তুভ আমার জীবনের লক্ষ্যকে সাহায্য করার সঙ্গে সঙ্গেই আমার দৈহিক জীবনকেও সেই পরিমাণে আশ্রয় 88 (t