পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরনাথ । 发8@ করবার যত্ন করিছি। কিন্তু যে দিন আমাকে বিয়েপাগল ঠাকুরের হাত থেকে বাচালেন, সে দিন ঐ কৃতজ্ঞতার ষোগে সেই আকর্ষণ দ্বিগুণ হয়ে, যেমন নৌক স্রোতের সঙ্গে বাতাসের যোগ পেলে গুণ ছিন্ন করে চলে যায়, তেমনি আমার মন লজ্জাভয়ের ভুরি ছিন্ন করে গেল। তখন আমার এমনি বোধ হল ষে, ইনি আমার পরম বন্ধু—আমার পতি। এমন কি আমি তার হাত ধল্লেম ; কিন্তু তখনি আবার জ্ঞান হল, আর লজ্জিত হয়ে ছেড়ে দিলেম । তৰু ওখান থেকে চোলে যেতে পারিনে—ইচ্ছে কোত্তে লাগল যে একটু দেখি, দুট চারটে কথা কই । তার পর তিনি যখন আমাকে ওখান থেকে যেতে বোন্ত্রেন, তখন যেন আমার মনে একটা চোট লাগল। আমার বোধ হল যে আমার যত ভালবাসা, ওঁর তত নয় , কেন না তা হলে উনি কোন না কোন ছলনা কোরে নিদেন দু চণরটে কথা কইতেন, তার পরে যেতে বোলতেন । উনি অতি সুশীল, সেই জন্যে আপনার মনের ইচ্ছে নিবারণ কোরেও পাছে আমার কোন হানি হয় এই ভয়ে আমাকে যেতে বোলেছেন তাও বুঝতে পাচ্ছি, তবু মনের সন্দেহ যায় না । তার পরে যখন ঘরে গিয়ে স্থির বিবেচনায় আমার বিপদের বিকট মূর্ত্তি পরিস্কার দেখতে পেলেম, যখন দেখলেম যে পিতা উপস্থিত না থাকাতে বিবাহ হতে পারে না, তখন আমার হৃৎকম্প হল । আমি মন ফেরাতে যত্ন কোত্তে লাগলেম। কিন্তু যেমন স্রোতের বিপরীত সাতার দিতে গেলে কখনো এগিয়ে ওঠা যায় না, আর আপনিই হীনবল হয়ে পোড়তে হয়, তেমনি আমি যত যত্ন কোত্তে লাগলেম, ততই নিজে ক্ষীণ হতে লাগলেম, আর যাকে দমন কোভে চাই সে প্রবল হতে লাগল। পরে যখন আমার প্রণয় আর আমার বুদ্ধির বশে থাকল না, বরং আমার বুদ্ধি সেই প্রণয়ের বশ হয়ে তারই সুবিধের পথ দেখাতে লাগল, তখন আমার মনে উদয় হল যে আমার পিতার যখন আমার বিবাহ দেবার ইচ্ছা আছে