পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(t:నిe রবীন্দ্র-রচনাবলী >レr@ ভারতবর্ষে নানাপ্রকার তালী-জাতীয় বৃক্ষ হইতে নূনপক্ষে তিন লক্ষ টন চিনি প্রতিবৎসর উৎপন্ন হয়। এই পরিমাণ চিনির মধ্যে বঙ্গদেশে প্রায় এক লক্ষ টন উৎপন্ন হয় বলিয়া উক্ত হইয়াছে। মাদ্রাজের যুরোপীয় হোসগুলি গুড় পরিষ্কার ও চোলাই করিবার অভিপ্রায়ে প্রায় পচিশ হাজার টন গুড় প্রতিবৎসর ক্রয় করিয়া থাকে । সুতরাং আমাদের এমন একটি ব্যবসায় আছে, সহজ বৎসরে যাহাতে উৎপন্ন দ্রব্যের বাৎসরিক মূল্য মোটামুটি পচিশ লক্ষ পাউণ্ড। এ বিষয়ে অতি সামান্তই অনুসন্ধান হইয়াছে। চিনির উৎপাদন হিসাবে তালী-জাতীয় বৃক্ষের শ্রেষ্ঠত এই যে, বৎসর হইতে বৎসরাস্তরে তাহার উৎপন্ন চিনির পরিমাণ সমান থাকে, এবং ইক্ষুর ন্যায় ইহার উপরে অতিবৃষ্টি বা বন্যার কোনো প্রভাব নাই। চাষের খরচ নাম মাত্র লাগে ; এবং ইক্ষু অপেক্ষ তালে দীর্ঘকাল চিনি করিবার মরসুম সম্ভব হয়। رما بوbلا অপরন্তু ইক্ষুর বেলায় গুড় তৈয়ারীর মণকরা খরচ অপেক্ষ খেজুর ও তালের বেলায় খরচ কম লাগে। উভয়ত্রই চিনির পরিমাণ নূ্যনাধিক সমান। তাল-গুড়ের রঙের উন্নতি করিতে পারিলে আরও ভাল দাম পাওয়া যাইতে পারিত। সতর্কতার সহিত সংগৃহীত হইলে তালের রস খুবই বিশুদ্ধ হইয়া থাকে এবং ইক্ষু-শর্কর ব্যতীত অন্যজাতীয় চিনি ইহাতে অতিঅল্প থাকে। বাঙ্গাল দেশে ভাল পদ্ধতিতে এই রস সংগৃহীত হয় না, কিন্তু এই পদ্ধতির উন্নতি করা যায়। এই রস পাইতে কোনো পেষণযন্ত্র লাগে না । >レ〜? ‘গুড হেলথ কাগজে সম্ভবত সম্পাদক Dr. J. H. Kellogg কর্তৃক কতকটা চমক লাগানো এই একটি উক্তি প্রকাশিত হইয়াছে যে, তারুণ্য ও বাদ্ধক্যের মধ্যবর্তী কাল সংক্ষিপ্ত হইয়াছে। অর্থাং তিনি মনে করেন, দমন প্রাপ্ত না হইলে যে সকল অবজননকর শক্তি লোক ধ্বংস করিবে, তাহাদেরই প্রভাবে এখন বাৰ্দ্ধক্যের বিশেষ লক্ষণ অপেক্ষাকৃত সকাল সকাল দেখা দিতেছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও প্রতিষেধক ঔষধের উন্নতিসাধন সত্ত্বেও দীর্ঘ আয়ুতে উপনীত হয় এমন ব্যক্তির পরিমাণ পূর্বের চেয়ে এখন অনেক কম। ডাক্তার কেলগ শঙ্কা করেন যেন যৌবনের সঙ্গে মিলিত হইবার জন্য