পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

հ, ১. অসমীয়া সংস্কৃতির রপে ঋগ্বেদের ঋষি বলিলেন—অজনয়ৎ সযং বিদদগা, অন্ত্যনাহ্লাং বয়নোনি সাধ্য— ইন্দ্র জন্ম দিলেন সর্যের, ফিরিয়া পাইলেন জ্যোতির সমটি, রাত্রির মধ্য হইতে দিনের প্রকাশ ঘটাইয়া। সংস্কৃতির একটি মল সত্র এই তথ্যের মধ্যে নিহিত। ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্যে, দানপ্রদানের মধ্যে, সংস্কারের পুনরাবতনে ও বিবতনে জীবনের রূপান্তর ঘটে—রপং রপং প্রতিরপো বভূব । সেই রূপান্তরের পথ বাহিয়া সাহিত্য ও শিল্পের মাধ্যমে জাতীয় সত্তা শুধ প্রকাশিত নয়, বিকশিতও হয়। প্রাণশক্তি সন্টিশীল—সটির পথ সে নিজেই খুজিয়া লইয়া নিত্যসমন্ধ ও রপান্তরিত হইয়া উঠে। ব্যটির জীবনে যে ক্রমবর্ধমান ও ক্রমসঞ্চয়ী নিয়ম, সমটির জীবনেও সেই চিরন্তনী প্রাণলীলার প্রকাশ। যুগে যাগে দেশে দেশে সাহিত্য সেই চলমান জীবনধারার রসমতি প্রকাশ করিয়া সাথক হইতেছে। চলিষ্ণ সমাজ ও গতিশীল মানবচিত্তের সহিত সমতা রাখিয়া যে সাহিত্যিক রস রচনা হয়, তাহাই জাতির জীবনে তার সপশ রাখিযা যায়। হঠাৎ যেন একদিন নিঝ"রের স্বপ্নভঙ্গ হয়, যদিও তার প্রস্তুতি বহুদিনের। দকল পলাবিয়া সেই মননস্রোত চলে । সাহিত্যের ইতিহাসকেও তাই বলা চলে চলমান জীবনধারার বিভিন্নমুখী প্রকাশের কাহিনী। সাহিত্য শুধ বহিরঙ্গের নয়, অন্তরঙ্গেরও, অন্তদ্বন্দ্বেরও। ভাবে, ভাষায়, ইঙ্গিতে, ভঙ্গীতে গদ্যে পদো কাহিনী যখন রসোত্তীর্ণ হয় তখনই তাকে আমরা সাহিত্যের পদমর্যাদা দিই। সাহিত্য বা ইতিহাস শুধু অতীতের কওকাল নয়। প্রকৃত সাংস্কৃতিক ঐতিহাসিক জীবনকে উপলব্ধি করেন তার সমগ্রতার মধ্যে। শিল্পে, রাষ্ট্রগঠনে, কম প্রচেষ্টায়, ধম সংঘটনে যেমন তার প্রকাশ, তেমনি বিকাশ লিখিতভাবে—ভাষায়, কাব্যে, গল্পে, কাহিনীতে, নাটকে, উপাখ্যানে। শধে তাম্রশাসন, শিলালিপি, শাসক সম্প্রদাযের কাহিনী, সাল, অব্দ জীবনের গতিশীল রসের সম্যক পরিচয় দেয় না, সেইজন্য যুগে যাগে রসসমদ্রে লীন সেই সতাকে কলপনার রঙে প্রতিফলিত কবিয়া দেখানো হয়। প্রাচীন ইজিপ্টের সম্রাটকবি ইখনাটোন হইতে আজিকার দিনের কবিসম্রাট রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এই রসানভূতিপ্রবণতাতেই সাহিত্যের সম্মিট করিয়াছেন। যে কোনো যাগের সত্যকার সাহিত্যকে খুজিয়া পাইতে হইলে সাহিত্যের ঐতিহাসিককে ডুব দিতে হইবে গভীরে। যিনি যে যুগের বা জাতির রসসটির কাহিনী লিপিবদ্ধ করিবেন তিনি সেই যুগের মনটিকে খুজিয়া বাহির করিবেন। স্রস্টার পাশে তিনি দুটো। তাঁকে অনুসন্ধান করিতে হইবে সেই যুগের ধ্যানময়, রসময়, ভাবময় মনটিকে—তার অখণ্ড সত্তাকে—যে মন নড়ে, যে মন গড়ে, সটি করে, দটি দেয়, যে মৃত্যুঞ্জয় মন বাঁচিয়া থাকে ধারাবাহিকতার মধ্যে, যার প্রকাশ শুধু কথার প্যাঁচে প্যাঁচে দাদার চৌপদীতে নয়, নানা ভংগীতে, রাপে ও রপান্তরে। সাহিত্যের ইতিহাস একটা জাতির প্রবহমান ভাবধারার ইতিহাস, সেটা শুধু একটা সমষ্টিচেতনা বা কৌলিক চেতনা নয়, সহস্র হৃদয়ের রম্য পন্দন। প্রাচীন সাহিত্য শুধু অতীতের কাহিনী নয়, বতমানের পটভূমি, ভবিষ্যতের ভিত্তিভূমি—একটা অসমাপ্ত ধারা। তাই