পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীমন্ত শঙ্করদেব ও পরবতীর্ণগণ 8 আবার দেখি— হিঙ্গলে হারিতাল তেতিক্ষণে আনিলন্ত । ষত্ন করি পটে বৈকুণ্ঠক লিখিলন্ত ॥ বন্দোবন-মথরোর যত লীলা— করিলন্ত পটতাত চিত্রক তুলিলা । অসমীয়া নাটকে সত্রধার মধ্যপথ পরিষে—গ্রীক কোরাসের মত নাটকের বিষয়বস্তু দশকদের বুঝাইয়া দেন। শ্রীযন্ত কালীরাম মেধী বৈষ্ণব ও বৈষ্ণবোত্তর যুগের অসমীয়া সাহিত্যকে কাব্যনাটক, বিজ্ঞান ও শিল্পকলা, নীতি ও লোকাচার এই চারিভাগে বিভক্ত করিয়াছেন। প্রাচীন সাহিত্যের বহুলাংশই পদ্যে এবং এই পদ্যগ্রন্থের বেশীর ভাগই ধম ও পরাণ কথা অবলম্বনে। শঙ্করদেব, মাধবদেব, অনন্ত কন্দলী, রামসরস্বতী, ভট্টদেব, সাবভৌম ভট্টাচার্য, পরে ষোত্তম গজপতি, কবি অনির্যন্ধ, পীতাম্বর দ্বিজ, বিদ্যাপঞ্চানন, কংসারি, গোপালমিশ্র প্রভৃতি ৬১ জন কবির ও তাঁহাদের কাব্যের নাম পাই । ইহাদের মধ্যে অনেকেই ‘নানাগ্রন্থ সংগ্রহ করিল এক ঠাঁই’ । মহাভারতের অল্টাদশ পব, রামায়ণের সঙ্গতকাণ্ড, হরিবংশ, ভাগবত, মাকন্ডেয় চন্ডী, সবাতত তন্ত্র, পরাণের উপাখ্যানই এইসব কাব্যের উপজীব্য বিষয়। প্রাচীন ওজাপালীই অসমীয়া নাটকের পবেরিপে। শঙ্করদেব ও মাধবদেবের নাটকের কথা পাবেই বলিয়াছি। কালীয়দমন, পারিজাতহরণ, পত্নীপ্রসাদ, রকিমণীহরণ, যে কোনো সাহিতোর নাটকের সহিত তুলনীয়। দৈত্যারি ঠাকুরের স্যমন্তহরণ, রামচরণ ঠাকুরের কংসবধ, গোপাল আটার বলিছলন, মাধবদেবের ভূমি লটেয়া, পিপরাগনচুয়া, অনন্ত কন্দলীর সীতার পাতালপ্রবেশ প্রভৃতি নাটক আজও জনমনকে আনন্দ দেয়। নিধিরামের নীতিরত্ন, পরশুরামের ধর্মপরাণ, রামসরস্বতীর ব্যাধচরিত, বিজগোস্বামীর হিতোপদেশ, বড়পাত্রের হয়গ্রীবমাধব, রামবিজের মাগাবতীচরিত শিবশমার প্রভাসবর্ণনা কবিতায় রোমান্সের স্থান অধিকার করিয়া আছে। জীবনী-সাহিত্য বা চরিত-সাহিত্য অসমীয়া সাহিত্যের আর-একটি বৈশিষট্য। গর চরিত, গারলীলা, গরেবংশাবলী, শঙ্করচরিত, গোবিন্দচরিত, সন্তমত্তাবলী প্রভৃতি ২৩টি গ্রন্থের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়। কয়েকটি নিজস্ব ভঙ্গী ও কবিত্বরসে পণ । রামসরস্বতীর গীতা, শঙ্করদেবের অনাদি পাতন ও ভট্টদেবের গদ্যগীতা, দর্শন ও তত্ত্ব সম্ববন্ধীয় প্রধান পুস্তক । জ্যোতিষশাস্ত্রে কবিরাজ সরস্বতীর ভাস্বতীর কথা পাবেই বলিয়াছি। স্বপনাধ্যায় ও কম ফল বলিয়া আরো দুটি পসেতকের পরিচয় পাওয়া যায়। জ্যোতিষ সম্বন্ধে অহমদের দিনচোয়া’ পথিকে Ahom book of Divination বলা হইত। কবিরাজ চক্লবতীর সযসিদ্ধান্তের অনুকরণে ভাস্বতী অন্যতম। অহম রাজদের সময় দৈবজ্ঞদের অত্যন্ত প্রভাব ছিল ! প্রত্যেক সেনাবাহিনীর সঙ্গে দৈবজ্ঞ গণক থাকিতেন। তাঁহারা শত্রপেক্ষকে আক্রমণ করিবার সঠিক সময় নিদেশ করিয়া কালাকাল বিচার করিতেন। অসম বরঞ্জীতে দেখিতে পাই,মাঘল আসাম সংঘর্ষের -সময় রাজা রামসিংহের সহিত যন্ধেকালে বিখ্যাত অসমীয়া বীর লাচিত । বাহিনীতে শ্রীঅচ্যুতানন্দ দলই লাচিতবাহিনীর আচার্যগণক ছিলেন।