পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী--- আশ্বিন ১৩২৪ ৬ষ্ঠ সংখ্যা ]] কাজলী ৫৬৭ নব্য কেরা ইহাকে অনেকটা খৰ্ব্ব করিয়া ফেলিতেছে । ইহার অব্যাহত প্ৰভাব । কিন্তু জাপানী জাতির বিশেষত্ব , ভারতবর্মে ইংরেজ অধিকারের পর হইতেই এই আধু . . ঋগ বেদের ৫৮৮৩ সূক্ত প্ৰভৃতিতে, যজুৰ্ব্বেদের তৈত্তিীয় মধ্য আফ্ৰিকার বহুজাতির মধ্যে ইহােৱ বিস্তার লাভ খুবই টুকু চীনা প্ৰভাবে একেবারে ঢাকা পড়ে নাই | * যুগের আরম্ভ। রাজা রামমোহন রায়কে ভারতে ব্ৰাহ্মণে ২,…, ৫ প্ৰস্থতিতে এই মেঘের উৎসৰ বৰ্ণিত । যটিা উঠিতেছে। এই সভ্যতার ছাপ পারস্তকে বদলাইয়া সভ্যতার ধারা এখন বৰিতেছে- া প্ৰবৰ্ত্তক বলা যাইতে পারে। মুসলমান-আক্ৰমগের সেখানে মেঘের লীলা ও প্ৰকৃতির লীলাই চিত্ৰিত। ক্ৰমশঃ দিয়াছে, ইহা ভারতের উপর পড়িয়াছে, এবং মালয়, ইউরোপীয় বা আধুনিক [ ২ ) ইসলামীয় ভারতীয় ি পূিৰ্ব্ব হইতে এবং মুসলমান-যুগের অবসান পৰ্য্যন্ত তার অথর্ববেদের ৪ কাণ্ড ১৫ স্তে দেখিতে পাই আকাশ ও সুমাত্ৰ, বীপেও পহুছিয়াছে [ ] চীনা । ইহার মধ্যে প্রথমটিতেই ভয়া জোহা, আর পক্ষে মধ্যযুগ । তক্ষণ এশিয়া-খণ্ডের সকল দেশেই প্ৰকৃতির লীলার সঙ্গে পশু প্ৰভৃতির আনন্দকেও যোগ করা | পারস্য বা ঈরানী সভ্যতা। এই সভ্যতার প্রভাব সবগুলিতে যেন ভাটা পড়িতেছে ; ইউরোপের বিজনী মধ্য-যুগ ইউরোপীয় জাতির সহিত সংঘৰ্ঘে কাল পর্যান্ত হইয়াছে। মানবের সুখ-দুঃখকে গায়ক সেই গানের অঙ্গ আরবদের মধ্যেও কতক গিয়াছে, কিন্তু ভারতবাসী বাতির কাছে ইসলামী হিন্দু ও চীনার প্রদীপ যেন নিয়াত । সিা আসিয়াছে। ষাদেশে মধ্য-যুগের অবস্থা অষ্টাদশ করেন নাই। ব্ৰাহ্মণ-রচয়িতাগণ তো এই বগুলিকে মুসলমান ওভুীদের মধ্যে ইহার প্রভাব সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশী আধুনিক সভ্যতার ধারা এক খাদ দিয়া বহিয়া ম্যান্ধীর শেষ পৰ্যন্তও বৰ্তমান ছিল যজ্ঞেরই অঙ্গ করিয়া লইলেন। পুী মতে, পারসীক সভ্যতার বিশেষত্ব ফুটিয়া উঠিয়াছে। চলিতেছে—অনেক ধারা একে মিশিতে চায়। তাত চীৰ শ্ৰীসুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তার পর দেখি ৰামায়ণে প্ৰত্ৰৰণ-গিরির বা বৰ্ণন । মতের সহিত ভারতের বেদান্তের মতের অনেক মিল কৃষ জাপানের স্থিতিশীল সভ্যতার হ্ৰদ হইতে জল বাহিৰ সেখানে মহাকবি ৰাক্ষ্মীকি রামের দুঃখটুকু বৰ্ষায় স্বয়ে আছে, এবং ভারতীয় মুসলমানের ও হিন্দুর চিত্তে এই মতের হইয়া এই ধারায় মিশিতেছে মেসোপোটামিয়া ও মিসরের কাজলী জুড়িয়া দিলেন - মানুষের হৃদয়টুকু বৰ্ষা মন মোর ধারার আদিম সাতায় এই ধারার উৎপত্তি ; গ্ৰীস ও বোমের সঙ্গে আপন সুর মিলাইল ; কিন্তু কবিয়া তখনও নিজের প। ভারতীয় মোসলেম সভ্যতা। ইহার বাহন উদু সভ্যতায় ইহার পুষ্টি এবং আধুনিক ইউরোপে ইহার নিকা হৃদয় বাহির কলিন না। ব্লামের কথার উপলক্ষ্যে বান্ধীকি ভাষা। মুসলমানবহুল উত্তর-পশ্চিম ভারতে ইহার প্রভাব । বৃদ্ধি ও প্ৰসা এই সভ্যতার প্রাসাদ গড়িয়া তুলিতে কণী উৎসব মেয়ের উৎসৰ সমস্ত শ্ৰাবণ মাল আপন হৃদয় বুকাইলেন ছকটিকে এবং মোতেও ঘাতুকী মোসলেম সভ্যতা—[ ] ওসমান্‌লী তুকী— মেসোপোটামিয়া ও মিসর ভিত্তি-স্থাপনের জন্তু মা য় এই উৎসৰ চলিতে থাকে এবং ভাৱে কৃষ্ণাতৃতীয়াতে বৰ্ষার গান আছে । সেখানে নায়কের হৃদয় দিয়াই কৰি ইহা এক্ষণে বিশেবরণে ফরাসী ও দান, অৰ্থাৎ ইউ. কাটিয়াছে, গ্ৰীস ও রোম বনিয়াদ উঠাইয়াছে, ইটালী, ফণী পুৱা হয়। কালীকে “কজরীও বলে । কোথাও আপনার দয় দেখাইয়াছেন । তার পরে বৈষ্ণৰ কবিতা—- রোপীয় ভাবে ওতপ্ৰোত [ ] মধা-এশিয়ার চাঘতাই ফ্ৰাব্দ, ইংলণ্ড ও জৰ্ম্মানী সৌধ নিৰ্ম্মাণ করিয়া তুলিয়াছে। কোথাও ভাত্রের শুক য়া পৰ্য্যন্ত এবং মীরজাপুরে সে যে বৰ্ষার গানের অফুরন্ত উৎসব । সেখানেও রাধা কিন্তু প্ৰাচীন ভারত, পাঞ্জ, ইসলামের যোগান দেওয়া কম জি--দ্বাদশী পান্ত উৎসব চলে ও কৃষ্ণের মধ্য দিয়াই মানবের হৃদয়ের বর্ষার স্বয় প্ৰকাশ ভারতীয় যা হিন্দু সভ্যতা ; ইহার মূল আৰ্যা ও হয় নাই । বাবিলন ও মিসর লিপি বিদা, কল, পি, মেঘ যে কি প্রাথিত বন্ধ এবং কি সন্তাপহারী তাহা গাইয়াছে ব্ৰাধিক জাতি, এবং উত্তর ভারতে অনেকটা মুসলমান দৰ্শন, বিষয়ে পথ দেখাইয়াছে। ঐস সাধারণ-অস্ত্ৰ, পরিপূজা- র মত সৱস দেশে বুঝাই যায় না। পশ্চিমে চৈত্র একথা নিশ্চয় যে বেদের গানের পর যখন রামায়ণে, ধৰ্ম্মাবলম্বী জাতিবৰ্গ । সংস্কৃত ও সংস্কৃত-মুলক ভাষা ও দ্রাবিড় সীলতা, ভাস্কৰ্য্য ও সাহিত্য কলা, স্বাধীনতা ও সৰ্ব্বোসুখিতা তে আষাঢ় পৰ্য্যন্ত চাবি মাস লোকে আগুনে দ্য হইয়া কাবো, নাটকে, বৈষ্ণবসঙ্গীতে কবিগণ তঁহাদেৱ অন্তয়ে ভাষায় ইহায় সাহিত্য গ্ৰথিত । জাতীয় বিশিষ্টতা ধরিলে দিয়াছে ; রোম প্ৰাচীন সভ্যতার স্বত্ৰগুলি সন্নিহিত করিয়াছে, ন শ্রাবণের ঘনঘটা দেখে তখন গৃহে গৃহে উৎসব পড়িয়া এই বৰ্ষার ম্যথাটুকুকে ঘুরাইয়া প্ৰকাশ করিতেছিলেন তখন এই সভ্যতার মধ্যে এই কয় জাতি পড়ে—পঞ্জাবী,হিন্দুস্থানী, ও পশ্চিম ইউরোপকে এক করিয়াছে, বিধি-নিয়ম ও শাসন যায়। নারীরা দলে দলে ধানীরঙের শাড়ী পরিয়া নীল প্রাক্কতজন সোজাংজি ভাবে মেঘের সঙ্গে গাছিয়া, নীলাজন ( হিন্দুস্থানী, রাজস্থানী, মধ্যভারতীয়, বিহারী), বাঙ্গালী , তন্ত্ৰ দিয়াছে ; ফ্ৰান্স দিয়াছে নুতন সাহিত্য-ীতিও সামা ষয়ঙের ওড়না বা আকাশ -ব্লঙের ওড়না গান্ধ দিয়া নগরের চা-প্ৰেক্ষ পাদপের কোলে খোল খাইয়া সহজ ভাষায় ভাষায় গুজরাতী, মারাঠা, এবং তামিল, তেলুগু, কানাড়ী । সিংহলী নীতি ; ইংলায়ে দান শাসন-তত্ত্ব, জৰ্ম্মানীয়-সান দৰ্শন ও ক৪ে সব উদ্যানে ও উপবনে গিয়া মিলিত হয় । সেখানে সুখহুঃখ সাহিতেছিল। ইহাই কাজীৱ যথাৰ্থ ইতিহাস । সত্যতাও ইহার অন্তৰ্গত। ভারতীয় সাতার অধীনে বৰ্গী, বিজ্ঞান বিষয়ে কতকগুলি গভীর গবেষণা, এবং ভারতব্য গায় শাখায় দোলনা বোলাইয়া যখন তরুণীরা গানের সে হিসাবে কাজী পুরাণ, কাৰ্য, নাটক, তি, তি এবং প্রাচীন শ্বামী, ও মোন এবং রেলভ্যতা, এবং মালয়, দিয়াছে কতকগুলি বিজ্ঞানের মূল সুত্র, ও প্ৰত্যক্ষ এবং হে দোলে ও মেঘের ও নীল আকাশের গান গায় এবং হইতেও প্ৰাচীন ইহা মানবের হৃদয়ভাবের সহজ সুমাত্ৰা, যােবীপ, মাছৱা, বালির সভ্যতাকেও ধরা যাইতে পরোক-ভাবে দাৰ্শনিক চিন্তা । মুসলমান ঈয়ান ও আয়ৰ নচা হইতে অন্ত তরুণীরা পৃথিবীর নবদুৰ্ব্বাদলের ও স্বাভাবিক উচ্চাস । কাজরীতে বৰ্ষার সঙ্গে মানবের, কথায়, নানা জাতির ডাল-সপ্তার বহন করিয়া আনিয়াছে। চীন ও ধানের গান গাহিয়া গান পুৱা করিয়া দিতে থাকে সুরে, সাজে, ছনে, সোজাসুজি আলাপ । কাজরীতে আয় তিব্বতের সভ্যতা বৰ্ব্বর আদিম তিৰুতী, চীনা ও ভার তৎশিষ্য জাপানের প্রভাব এই সভ্যতার ধারায় কখনও ধনই মেহের উৎসব জমিয়া ওঠে মুরাইয়া ফিরাইয়া বলা নাই। তাই যে সব কবির একটু তীয় সভ্যতার মিশ্ৰণে । আসে নাই ; কিন্তু তাহা হইলেও চীনের এবং জাপানে মেঘের এই উৎসব তো ভারতবর্ষে নুতন নহে । গত ওজন-বোধ কম তাদের হাতে কাজী গান মূল ও অীল [৩ চীনা সভ্যতা। লগতের মুখ্য ধারার সহিত চিন্তা ও শিল্প, লগতে এক উচ্চস্থানে প্রতিষ্ঠিত আছে, ইহা লয় মাসের প্রবাসীতে ক্ ও অথর্ব হইতে কয়েকটি সুন্দর হইয়া গিয়াছে। এ গানের কোনো নায়ক বা দেবতার কৃষি ইহার বড় ঘনিষ্ঠ যোগ কখনও হয় নাই। চীনা চিত্ৰলিপি এবং অতি গৌরবের বস্তু ; এবং চীন ও জাপানের সুকুমার-রি দেৱে গান দিয়া দেখান পিয়াছে যে মেঘের উৎসব এই কোনো আবরণ নাই –কিন্তু আশ্চৰ্য্য এই, তুর চীনা সাহিত্য ও দৰ্শন ইহা বাহন। জাপানে, কোরিয়ায় ও আধুনিক শিল্প ও কলায় কতকগুলি নুতন , কথা দেশে বহু বহু সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া চলিয়া আসিতেছে । ইহা আনন্দ পঞ্জাবে, "লোড়ী” প্ৰভৃতি ৰূপে আছে, গুজরাটে কি দেশে, এবং কতকটা তিকাতে, ও মোগোলিয়া শিথাইতেছে । শের অস্থিমজ্জা নিহিত “গরবা” প্ৰভৃতি ক্ষপে আছে, বিশ্বস্থানী দেশে কাজী