পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—অশ্বিন, ১৩২৪ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড কবি সংতরামের রচনা খুব লোকপ্ৰিয় । লোকটি যথাৰ্থ কবি “মিহরী লাল’ । ইনি মুঙ্গেরে পুখীর দোকান করেন। ‘মিহরীকে পারসীতে বলে “নবাত । ইনি নিবাস্ত” শ্যাম ঘটা বহুদিসি চঢ়ি আই নাচন লাগে মোৱ । ভণিতায় পদ-রচনা করিয়াছেন। ইনি কৃষ্ণলীলা, অৰ্দ্ধনারীশ্বর, ৰকুলাউড়ত সুহাৱন লাগৈ” কড়কড় কড়াকত যোের| ” কৃপবৰ্ণনা প্ৰভৃতি লিথিয়াছেন । কোকোন প্ৰভৃতি নেশার ৰিস্কন্ধে এবং বৃদ্ধের দ্বিতীয়বার বিবাহের বিরুদ্ধে তীব্ৰ (শ্যাম ঘটা চারিদিকে উঠিল—মর নাচিতে লাগিল । রচনা করিয়াছেন। ইহার বে-সৰ গান সত্যকার … কজয়ী, বলাকার দল কি সুন্দয় দেখাইতেছে : কাড় কড় বন্ধ সেগুলি সাধারণ রকমের । ফ ইতেছে। প্ৰভৃতি লোকাট গান অত্যন্ত লোকপ্রিয়। - এক রঘুনাথের কথা পূৰ্ব্বে উল্লেখ করিয়াছি, এখন আর শিক্ষিত নহেন, তবে বড় ভক্ত । লেখার মধ্যে গভীর একটি রঘুনাথের কথা লিখিতেছি । ইনি ব্ৰাহ্মণ, ইহার নাম কৃষ্ণানুরাগের পরিচয় পাওয়া যায়। লোকটি শুচি-রকমের পণ্ডিত রঘুনাথ শৰ্ম্ম । ইহার রচনায় কোনো বিশেষত্ব হইলেও বেশ রসিক—গলি দিয়া, চুড়ীওয়ালা যায়, মধ্যাহে নাই তাহার ডাক শুনিয়া ইহার মন উদাস হইয়া যায় ইহঁর শিষ্য লালা বাগেশ্বরী দাল । ইনি শ্ৰীবাস্তব ‘চুরিয়া বেচৈৱে মনহাৰী গালিয়া বীচ পুকার পুকার ।" শ্ৰেণীর কায়স্থ । ইনি অনেক সময় শুধু “লালা” নামের বিহাজারীলালের বাড়ী ভাংড়ী, প্ৰতাপগড় জেলায় । ভণিতা দিয়াছেন । ইনি বিন্ধান মানুষ । লালাসম্প্ৰদায়সুলভ ওস্তাদ বলিয়া তাহার নাম অাছে । তাহার শিষ্য বহল- পারসী শিক্ষা ইনি যথেষ্ট পাইয়াছেন । কাজেই ইহঁর লেখায় বাদী—সদয় রাম । গুরুশিষ্য নিজের দেশে সুপরিচিত পারীর প্রভাব খুব বেশী। নেশা প্ৰভৃতির বিরুদ্ধে ইনি হইলেও উল্লেখযোগ্য কিছু রচনা করেন নাই । লিথিয়াছেন । নীতি, আচার, দেবতায় ভক্তি প্ৰভৃতি বিষয়ে কবি মহেশ’ ও ‘গঙ্গাধৱে” রচনার বিশেষত্ব কিছু লিখিয়া ইনি পণ্ডিতগণের প্রিয় হইয়াছেন। ইহার বিস্তু মাই গণেশের রচনায় কলীয়স কিছু না থাকিলেও গান ছাপা হইয়াছে—তবে ইনি সাধারণের মধ্যে তেমন সংসারের অনিত্যতা সম্বন্ধে অনেক খেদোক্তি আছে। আসর পান নাই । কারণ ইহার লেখার কাজী ঘন ভাব ও বির লেখা অত্যন্ত ল কামনামূলক- এই দাবিশেষত্ব । হাঙ্কা চালুট নাই। ইনি রামায়ণ, কৃষ্ণচরিত প্ৰভৃতি দীৰ্ঘ “কনহৈয়া, লাল’ দেহত সম্বন্ধে কহয়ী হৱে কাহিনী কজরীর সুরে গাহিতে গিয়া আসর মাট কবিয়া ছেন । ইহঁর ছোট গান হরিরাম ছন্দের রাজা। তার শিষ্য লালাজি বলেন— “সাব চঢ়ে সোহাধন প্যারী হরিরামনে ছন্দ করোরো সাঁচে অংদর ঢাল দিয়ে।” ছায়ে ঘটা ঘন ঘোর । কিন্তু গানে বিশেষত্ব নাই । কবি হীরালালের রচনায়, ( হে প্ৰিয়ে, কি সুন্দর সাব্দ আল আকাশ ছাইয়াছে পাসা-প্ৰভাব পুব প্ৰবল। তিনি গোরক্ষপণেী ভক্ত পুৱশ বন ঘোর ঘটা চড়িয়াছে ) ঘেরাপ, সে বেশী মলের দীৰ্ঘ কাহিনী কাজী ছন্দে লিখিয়াছেন। তাহাতে গান গাইলে সিকেরা তৃপ্ত হইতেন । ভক্তদের উপকার হইলেও সিকের কোনো লাভ হয় নাই । মুরলীধরের কারণ ফায়ী গানেরই সুর। কাজী সুর ছন্দ ও ভঙ্গী “ছাই ঘটা ঘন ঘোর দীৰ্ঘ চনায় অশোভন ইয়া উঠে । দামিন দমক রহী চন্থ ওর । কৰি লছমন কাশী দ্বীপটোলায়াপী । ইনি পাতসাহের ( ঘন ঘোর ঘটা ছাইল, চারিদিকে দামিনী চমকাইতে সঙ্গে প্ৰাচীন বীর দয়ারামের বিবাদ কজরী ছন্দ্ৰে গাহিয়াছেন । লাগিল) প্রভৃতি ছোট গান বেশ উপভোগ্য । লোকটি বৰ্তমান পালোয়ানদের জয়গানও করিয়াছেন। তবে কবিত্ব চমৎকার চলতী ভাষায় লঘু সুরে ও হাফা ঢালে লেখেন। কিছু নাই । পুৰুষোত্তম, হচিংদ, সুরদাস, গিরধৱ দাস, বনারী