পাতা:রোমিও-জুলিয়েত - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So 2 রোমওি-জুলিয়েত । ( পঞ্চম অঙ্ক শমন হয়েছে তব নিশ্বাস-পীযুষ . হরিতে তো পারে নাই সে শোভা তোমার ! কৃতাস্ত তোমারে প্রিয়ে নারে পরাজিতে । এখন (ও) উড়িছে সেই সৌন্দর্ঘ্য পতাক, তব গণ্ড ওষ্ঠ্যধরে-প্রবাল-রক্তিমা, কালের নীলিমা-ধ্বজ নাহি উঠে দেথা । হা জুলিয়ে, এতে রূপ কেনো হলো তোর, অতনু মৃত্যুও কিরে ইন্দ্রিয়ের বশ– ? সেই শীর্ণ রাক্ষস (ও) কি লাবণ্যে ভুলিয়া ম্পর্শ করে নাই তোরে সম্ভোগ লালসে! একা তোরে রাখি হেথা--জীবিতে কখনো— যাবো না কোথাও আর—যাবে! না যাবোন ! থাকিবো শ্বশানে এই--এই প্রেতভূমে ( যেখানে আজিরে তোর প্রেতিনী সঙ্গিনী ) চিরন্তন থাকিবো এ ভূমে তোর সহ অনন্ত নিদ্রায় গুয়ে ধরা ক্লাস্ত আমি ! এ দেহের গলভাগ হ’তে খুলে ফেলি অপ্রসন্ন গ্রহ-রজুফাস --দেখে নেরে শেষ দেখা, অরে রে নয়ন ! রে যুগল বাহু, দিয়ে নে রে শেষ আলিঙ্গন তোর ! ওরে ও অধর ওষ্ঠ, নিশ্বাস-দুয়ার, পবিত্র চুম্বনে তৃপ্ত হও চিরতরে। এসো, তিক্ত বিস্বাদ শরণী প্রদর্শক এসো, দুঃখ সাগরের নিরাশ কাণ্ডারী,