পাতা:রোমিও-জুলিয়েত - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9/. ভূমিকা । উপাখ্যানাংশে মূলের গল্পটি এইরূপ। ইতালী দেশের অন্তগীত “ভেরোনা” নামক নগরে, মহা ধনাঢ্য ও প্রতাপশালী দুই সন্ত্রান্ত বংশ বাস করিত। এক গোষ্টির নাম “ক্যাপিউলেত, আর এক গোষ্টির নাম “মন্ত্যাগিউ” । ইহাদের মধ্যে পুরুষ পরম্পর বৈরভাব চলিয়া আসিতেছিল। এমন কি, উভয় পরিবারের কোনও ব্যক্তি বা ভূত্যের পরস্পরের সহিত পথে ঘাটে দেখা সাক্ষাং হইলেই, এক্ট দাঙ্গা হাঙ্গামা উপস্থিত হইত। উহাদের দৌরাত্ম্যে সহরগুদ্ধ লোক তিক্ত বিরক্ত হইয়া উঠিয়াছিল। যে সময়ের কথা নাটকে উল্লিখিত হইয়াছে, সেই সময়ে “ক্যাপিউলেত” গোষ্টির কর্তা, বুদ্ধ “ক্যাপিউলেতের” জুলিয়েট নামে এক কন্ত ও “মন্ত্যাগিউ” গোষ্ট্রর কৰ্ত্তা, বৃদ্ধ “মন্ত্যাগিউয়ের” রোমিও নামে এক পুত্র ছিল । ইহা ছাড়া মন্ত্যাগি উয়ের ভ্রাতপুত্ৰ বেনভেলিও তাহার সহিত একত্রে থাকিত, এবং ক্যাপিউলেতের পত্নীর ভ্রাতুপুত্র তৈবলন্ত ও ক্যাপিউলেত পরিবারভুক্ত হইয়া থাকিত। বেনভোলিও ধীর প্রকৃতির লোক এবং রোমিওর বড় বন্ধু । মাকু শিও নামে রাজার একজন জ্ঞাতি ও রোমিওর পরম সুহৃদ ছিল। তৈবলত অতিশয় উদ্ধতস্বভাব এবং রোমিওর মহাশত্ৰু । ঐ ভেরোনা নগরে সাধুদিগের একটি প্রসিদ্ধ আশ্রম ছিল । সেই আশ্রমের অধিকারী বা মোহান্তের নাম "ফ্রাইয়ার লরেন্স” । তিনি রোমিওর আশৈশব পরম হিতাকাঙ্খী ও উপদেশদান্ত । ইনি একজন বহুদশী, বিজ্ঞ ও ভৈষজ্যভিজ্ঞ ছিলেন। ইহার নুনাবিধ ঔষধি সংগ্রহ করা ছিল। দৈববশতঃ, রোমিও ও জুলিয়েতের মধ্যে প্রগাঢ় প্রণয় জন্মে। র্তাহীদের পিতামাতা এ প্রণয় কখনো অনুমোদন করিবেন না জানিয়া, তাহারা গোপনে বিবাহ করা স্থির করেন, এবং ফ্রাইয়ার লরেন্সের দ্বারা বিবাহ সম্পাদন করিয়া লয়েন । ঐ সময়ে