পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१● रे রবীন্দ্র-রচনাবলী The third said, “Father, the kingdom is mine. I am so lazy that if I were going to be hanged and had the rope round my neck, and some one were to give me a sharp knife to cut it with, I would sooner be hanged than raise my hand to the rope.” When his father heard that, he said, “You certainly carry your laziness furthest, and you shall be king.” ৪ । ব্যাখ্যা (ক) বর্তমান সভ্যতা সম্বন্ধে কোনো জাপানী লেখকের নিম্নলিখিত মস্তব্যের সরল ব্যাখ্যা কর – “জগতে যুদ্ধ কবে নিরস্ত হইবে ? যুরোপে ব্যক্তিগত ধৰ্ম্মবুদ্ধি জাগ্রত আছে বটে, কিন্তু সেখানে জাতিসাধারণের ধৰ্ম্মবুদ্ধি সে পরিমাণে সচেতন হয় নাই । লুন্ধস্বভাব জাতিদিগের ন্যায়পরতা থাকিতে পারে না এবং দুর্বলতর জাতিদের সহিত ব্যবহারকালে তাহারা বীরধৰ্ম্ম বিস্মৃত হয় । এ কথা চিন্তা করিতেও হৃদয়ে বেদনা লাগে যে আজিও বাহুবলই জগতে প্রধান সহায়। যুরোপে এ কি অদ্ভুত বৈপরীত্য দেখিতে পাই ? একদিকে হাসপাতাল, অন্যদিকে লোকহননের নবনব কৌশল ; একদিকে খৃষ্টধৰ্ম্ম-প্রচারক, অন্যদিকে রাষ্ট্রবিস্তারের বিপুল আয়োজন । শান্তি-রক্ষার উপায় সাধনের জন্য এ কি নিদারুণ অস্ত্রসজ্জা ! এসিয়াখণ্ডের প্রাচীন সভ্যসমাজে এরূপ বৈপরীত্য কোন দিন স্থান পায় নাই। জাপানের প্রথম আভু্যদয়ের দিন এরূপ আদর্শ তাহার ছিল না এবং এই আদর্শের প্রতি অগ্রসর হওয়া তাহার বর্তমান রাজনীতির লক্ষ্য নহে। এসিয়াকে দীর্ঘকাল যে মোহরজনী আচ্ছন্ন করিয়াছিল, জাপানের দিক্‌প্রান্তে তাহার আবরণ যখন কথঞ্চিং উন্মোচিত হইল, তখন দেখা গেল জগতের মানবসমাজ এখনো কুহেলিকায় আবিষ্ট । যুরোপ আমাদিগকে যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা দিয়াছে, কবে সেই যুরোপ শাস্তির কল্যাণ নিজে শিক্ষা করিবে ?” অথবা— (খ ) নিম্নোদ্ভূত যে কোনো একটি কাব্যাংশ গদ্যে প্রকাশ কর | বাক্যগুলিকে পূর্ণতর করিবার জন্ত আবশ্বকমত পরিবর্তন বা নূতন কিছু যোজনা করিলে অবিহিত হইবে না। (১ ( যজ্ঞশালায় গোপনে প্রবিষ্ট লক্ষ্মণের দ্বারা আক্রান্ত নিরস্ত্র ইন্দ্রজিৎ বিভীষণকে দ্বাররোধ করিতে দেখিয়া কহিলেন ) ,