পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৮৪ প্ৰবাসী—অানি, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড সদর দায়া আমায় ধরে পড়ে বলে, "জিনিষপত্ৰ সব সুপাকার মন্‌টাকে চেপে বসে আছে ; কোন দুটা বিৰুদ্ধ জিনিকে হয়ে পড়ে আছে, কিছু গুছিয়ে উঠতে পারিনি। আমি সে যেন ঠিক্‌ ঠক্‌ মিিলয়ে িদতে পাচে না । আমি তাকে মাকে কিছুতেই হাত দিতে দেব না, লৰ্ণকেও না ...তাহলে নিভৃতে ডেকে জিজ্ঞেস করলুম তোমার মনটাতে একটা সৰমাটি হবে । তুমি যদি গিয়ে আমাথ সাহায্য কর তবেই কিছু তুমি পুফো, ; আমায় তা জানতে দেবে না মায় ?” তার কথা থাকে না। কালকেই একবার সময় করে হাতখানি দিয়ে চোখদুটিকে আড়াল করে সে বঙ্গে, যেৱে মিনিকে নিয়ো না কিন্তু, তাহলে আত্মা হবে, কাজ “আমার কিছু জিজ্ঞেস কোরো না, কিচ্ছ না। এমনি হবে না। লুকোচুরি করে আৱে কটা দিন আমার কাটুক।--কিন্তু কিন্তু যাই কি করে তাই তাকচি। কাল রবিবার, টাটু, ভেৰোনা আমার কোনো অপরাধকে আমি লুকিয়ে যদি জামায় বাসায় না পেয়ে ফিরে যায় তবে বঢ় লঙ্কার বেড়াছি, অপরাধ যদি হোত তাহলে লুকোতেই হোত কথা হবে, এদিকে মিনি ঝগড়া বাধিয়ে বসে আছে। সে ন, অপরাধ নয় বলেই লুকাই ; ভয় হয়, অবিচার যায় লছে “আমার সঙ্গে নিলে আছা হবে, মায়দি অমন কথা সইবে না, তাকে নিয়েই লোকে পাছে অবিচার করে ।” বলতে গেল কেন ? তাদের বান্ধী গেলেই আমি কি তার তই চৈত্ৰ । আজ ি নিজ থেকেই সে অামা বয়ে ছায়াখানি স্বেচ্ছায় মাড়াই — এই “অামি মাঝে মাকে অবাক হয়ে ভাবি, পৃথিবীতে এক ১০ই চৈত্ৰ। টাইট বসে থেকে থেকে বিকেলটা আমিই এমন ছিাড়া হয়ে জন্মাণু কেন ?” কাবার করে সন্ধ্যার মুখে মায়াদের বাড়ী গিয়ে দেখি , সে অামি কেীভূহলী হয়ে বন্ধুম, “কি কম ?” সে বলে, বেশ নিচিন্ত-মনে, বসে মায়ার সঙ্গে. ক্যার খেলচে “বাধা পণে আমি কিছুতেই চলতে পারিনে আমি বহু আমাকে দেখেই সুবৰ্ণ সে-যা থেকে ছুটে পালিয়ে গেল এতে আমি কিছু দোষ দেখতে পাইনে বরং বাবা মায়া খতমত খেয়ে দাড়িয়ে, চেয়ারের একটা হাতা বা-হাতে বধিটাই কল্যাণের নয়। ওতে করে বর্তমানের নাগপাশ মুঠো করে চেপে ধরে আরেকটা হাতার ওপর বসে পড়ল দিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎকে আমরা আপৃেষ্ঠে বাধি টাই, একটা ঘুষ্টিকে বেশ করে লক্ষ্য করতে করতে বলে সে উৎফুল্ল হয়ে উঠে বলে ঠিক কথা। আমাদের মনে চুপ সতীশ, কথ্য কোছো না ; আমাদের এখন margina প্রেরণা আমাদের যে-পথে চলতে বলে, সেই পথে না চলে otest ; আগে খেলা শেষ হোক, তারপর তোমার কাছে বাধাৰ্বাধির পথে আমরা যদি চলতে যাই, তাহলে পৃথিবীকে মাপ চাইব । আমরা হয়ত ফাঁকি দিতে পারব, ভগবানকে পারব না।” আমি তাকে-স্বদ্ধতার চেয়ারটাকে টেনে মায়ার কাছ আমি বন্ধু “আমাদের পাপপুণ্যের একটা খতিয়া থেকে কয়েক হাত সরিয়ে নিয়ে এসে গল্প জুড়ে দিলুম। তৈরি করে ত আর গৰ্গে নিয়ে যাওয়া চলবে না; সেখানে জিনিৰণ গোছাতে মায়ার মোটেই আগ্ৰহ দেখা গেল না । কিছু যদি নেওয়া চলে তবে তা এই মনটা । যিনি বিচার চার সঙ্গে গল্পগুজবে কিছুটা স্নাত কাটিয়ে আমি বিদায় করবেন, এইটেকেই তিনি দেখবেন । নিয়ে উঠতেই মায়ায় মা বলেন, “অনেকটা রাত হলো, ১৭ই চৈত্ৰ অনেকদিন থেকেই আমি লক্ষ্য করেছি, এখানেই চারটি খেয়ে যাওনা সতীশ !” আমি বাম “আমার আমার সঙ্গে মায়া আন্তবিকতাটা এক জায়গায় এসে বাবে এখনি উঠতে হবে, তা ছাড়া—” এই ‘তাছাড়াটার মানে আন কথায় কথায় সে বলে “ভালোবাসায় যখন রাণীন্দিরবার পথে নিজেই মনে মনে কতে চেষ্টা করেছি। আসে তখন বুঝতে হবে মাদকতা এসে ঢুকেচে । কি কাজগুবি মানুষের এই মনটা । মদ জিনিসটা সব অবস্থাতেই ভয়ঙ্কর আমি বাম ১৪ই চৈত্র । ধুবড়ি থেকে ফিৱেই মায়াও যেন একটু “গতি যেখানে আছে, অবিলতা সেখানে থাকবেই। মোকেমন হয়ে পড়েছে । ওকে এমন বিমৰ্ষও কোনো - একথা নিয়ে আমার সঙ্গে সে গড়া করলে। বাগানে দিন দেখিনি। কী একটা কথা যেন পাথরের মতো তার পণে আমায় যখন সে বিদায় দিতে এল, হঠাৎ তার হাত ৬ষ্ঠ সংখ্যা] টিকে চেপে ধরে আমি বাম “আমরা মৰ্ত্তের মানুষ, বিকালটা একক করে কাটে। কাল স্বৰ্ণ বাণী চলে অন্ততঃ এই হিসাবে আবিলতাটুকুকে এড়াতে ধাওয়া গেলে মায় বিছানার পাশটিতে চুপ কয়ে এসে বললুম। জামাদের সহজ হয় না।” একথা সেকথার পর মা বলেন এই সুবৰ্ণ মেযেটি যেখানে সে বলে “পৃথিবীতে থাকতে হলে কেবল সহজকে নিয়ে যাক, একটা আশীৰ্ব্বাধকে সে মাথায় ফয়ে নিয়ে যাবে। কাবায়ু চলে না । মিনি দুরে দোলের দিকে মুখ করে বলে এটা আমি তৰ্ক উঠিয়ে বাম “তা যেন চলে না ; কিন্তু সেলাইয়ের নমুনাকে তা তয় করে দেখছিল, ৰণেরক্ষা আমাদের ভেতর স্বভাবতঃই rationalityর আবরণটা উঠে পড়তেই আস্তে আস্তে আমার পাশটিতে খেলে যেখানে ফ’ক পড়ে গেছে, সেখান থেকে কেন আমরা বসল আমাদের চোখের দৃষ্টিকে — আমি বন্ধু ও বুদ্ধি কুড়িয়ে পাওয়া যেয়ে, নয় মা ? আমার হাতের মুঠো থেকে তার হাতখানিকে ছাড়িয়ে মা ব্যথিত হয়ে উঠে বলেন ছিঃ সঙ্গু, মাছৰ কি কুড়িয়ে নিয়ে সে বলে উঠল “তুমি এমন করে আমােৱ সৰ্ব্বনাশের পাওয়া জিনিব ? তাহলে তোদের যে আমি পেটে রেছি পথে ডেকে এনোনা ; তুমি জানো না, কতবড় বিরোধের তোদেরও কুড়িয়েই পেয়েছি ছাড়া আর কি ? মধ্যে দিয়ে আমার দিন কাট্‌ছে ।” আমি বন্ধু কুড়িয়ে পেলুম বলেই কি জিনিষটা ভু এইসব হেঁয়ালি অামি মোটেই পছন্দ করিনে। এ হস্ত্ৰে গেল মা ? তাহলে সোনা কেউ কুড়িয়ে পেত না হন্ত যেন আমার ও জীবনের উৎসটার গলা টিপে ধছে । একটুখানি হেসে, অত্যন্ত মুহম্বরে মা বলেন স্থল ! এর অশুভ প্রভাবটা আমার আয়গুলোর ওপর আমি দিনের সোনাই বটে।” পর দিন পরিষ্কার অনুভব করতে পাছি তায় পর তার আর সাড়া পেলুম না । তার তাটুকুয় - ১৯শে চৈত্র । মানুষকে যতই দোষ দেওয়া যাক, ফাঁকে আমি নীচে নেমে এলুম। মায়ায় যে ষ্টি । এটা হয়ত ঠিক যে কেবল সুন্দর মুখ দেখেই সে ভোলে নিদৰ্শন এতদিন ধরে আমার জয়াটাতে জমে উঠেছিল,

তার চিত্তের একটি নিকৃত কোণে কল্পনা, সুন্দর একটি একটি করে সেগুলোকে ধ্বংস করে একটা নিয়

বৃন্ময় মুখশ্ৰীয় পশ্চাতে, সেই অনুপাতে সুন্দর একখানি জয়ের গরিয়া নিয়ে বাইরের মুক্ত আলোয় এসে দাড়াসুৰ । মনের আভাসকেই সৃষ্টি পরে তোলে মায়াকে প্ৰথম চৈত্রসংক্ৰান্তি । সুবৰ্ণের সম্বন্ধে কোন কথা হলেই হিনি যেদিন দেখি সে দিন এমনি একটা তপ নিয়ে সে আমার কান পেতে এসে শোনে ওর মতো বাদেরকেউ নেই তাকে ধরা দিয়েছিল। কিন্তু কৌতুহলের স্বতােৰই এই তারা সংসারে কী িনয়ে থাকে ; একটু দেহের জয়ে সোেহা কী তার পাওয়ার গোড়ায় সেটা সে গের জন্তে তাদের মনটা কেঁদে কেঁদে গুঠে কিনা এইলা । জানে না বলেই কোথাও দ্বিত হয়ে থাকা তার পুধিয়ে প্ৰশ্ন দিয়ে মাকে নাকি সে একেবারে ব্যতিৰ্যন্ত কোয়ে ওঠে না, সংশয় থেকে সংশয়ে না-হুক্‌ খুঁজেপেতে বেড়ায় । তোলে ! তাই প্ৰথম পরিচয়ের দিনে তার যে রহস্যরস্কপ আমার মনের কাল বায়োখোপে নিয়ে গিয়ে তার কালে কানে জয় ষ্টিকে একাগ্র উৎসুক করে তুলেছিল, সেইটেই এত সুবৰ্ণ তোমার বৌদি হলে তুমি খুব খুশী হও, না মিনি দিন ধরে জমে একটা কুয়াসার প্রাচীরের মত মাঝখানে তার কাছে জবাব পেলুম না। আমার ডান হাতখানিদকে এসে পড়ে আমাদের মিলনের পথখানিকে আজ একেবারে দুটি হাতে চেপে ধরে সে বলে হুইল আমার মুখের দিকে ঘাড়াল করে বসেছে আড় চোখে চেয়ে । বাড়ী এসে না খেয়ে, আলোসা ২৫শে চৈত্ৰ । এই কদিন মায়াদের ওদিকে একে- নিবিয়েই বিছানায় গিয়ে অক্সে পড়লুম। আজ মনে এ বায়েই ঘাইনি। মিনি স্কুলের ফেরতা সুবৰ্ণকে সঙ্গে করে ব্যথা কেন ? নেিয় আসে। তার কাছ থেকে বিবাবু গান একটা শিখে হঠাৎ জেগে মাথা তুলে দেখি যিনি কখন এসে আমার