পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—আশ্বিন, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ৬ষ্ঠ সংখী। ] ডায়েী তাৰ ? সে চিঠি তার হাতে পড়তে পায়নি। এখনো পেলেই বুকে যেন সে জোর আর পাওয়া যায় না যেখানে খানে..সকলে আমার দরজার বাইরে বাড়িয়ে কানা- দিন পরে একদিন হঠাৎ আমার মনে হলো জীবনের এক আমার হাতালে সেটা বন্ধ করা রেছে।” তারপর এক টু বিরোধ সেই খানেই ত মাধুৰ্য্য ! সবার সঙ্গে নিবনা বানি কাছে, আমার লক্ষা লুকোবায় ঠাই কোথায় ? মুহূৰ্ত্ত থেকে তোমাদের দুজনকেই একসঙ্গে এক খালি চুপ করে থেকে যেন নিজের মনেই সে বলে যেতে করে ভিক্ষালব্ধ আহ আহার করার চেয়ে, লুটপুটে রোজ অায় এ.কী রহস্তের আবৰ্ত্ত ? কিন্তু এ ত নুতন নয়...এ সমানভাবে আমি ভালোবাসছি। প্ৰথমটা খুব ভয় হলো, লাগল আজন্ম যে ভালোবাসা কাকে বলে জান্‌লে না, কার করে খাওয়াটাই যে বেশী আরামের ঙ্কের সঙ্গে আমার পরিচয় তো বহু দিনকার...তত্ত্ব কেন ভাৱলুন আমার সুখে আম্বাদ পেলে না, তার জীবীকে এমন ভাবে ২২শে আধা । সকলে হয়ত মনে করছে তাড়াতাটিাে জদি তাকে পুরোপুরি বুঝতে চাইনি, তার মিনতিটাই মন সে কথা মানলে নী সে তৰ্ক উঠিছে বলে আমারই মন্তে হচ্ছে । ধুবড়ি থেকে বিয়ের খবর পেয়ে আমার কাছে বড় হলো কেন, তাকে ভালো করে না বুঝে ভালোবাসাই তো নিৰ্ম্মল নিষ্কলঙ্ক ; আলাদা কয়ে দেখলে তাকে ভালোবাসনি, কখনো না। আমাদের সুখী করবার আজ আমায় ডেকে তিনি নেই কেন আমি তাদের মধ্যে কোনো খুবই তো চোখে পড়ে না , ঐ তুমি তাকে গ্ৰহণ করতে প্ৰস্তুত হয়েছিলে, তোমার বলেন “তোমাকে আর মায়াকে একসঙ্গে দেখ, এর চেয়ে । ১লা প্ৰাবণ। এমনি এক বাদল দিনে তার সঙ্গে আমার অবস্থায় একত্ৰ হলেই বুঝি তাদের যত দোষ । কিন্তু ফৰামিটার পর তার মন অমূলা জীবনটাকে তুমি বলি আকামার আমাদের কিছু নেই কিন্তু তোমাদের শুধ জানাশোনা মা আর মিনিকে এ দিৰিশন দেখাতে এসব কথা আমি ভালো বুবিনে বলেই তোমাদের মধ্যে দিতে উদ্যত হয়েছিলে, মনে কয়েছিলে নিজেদের তৃপ্তির দুজনের মধ্যে একটা কোথাও অমিল একটুখানি আছেই। নিয়ে গিয়েছিলুম। হঠাৎ কৃষ্ণ কয় করে বৃষ্টি নামল। বায়াদা একজনকে ভুলতে উঠে পড়ে লাগলুৰ । ভাবতে চেষ্টা আছে তার সমস্ত জীবনের সুখকে আমরা তুচ্ছ কব ; খোলাখুলি ভাবে তোমরা মিশতে পােরনি, লোকে এটাও যেকে দুটোছুটি করে আমরা যে-ঘরে ছিলুম সেই ধরে তারা করলুম তুমি যেন আমায় জয় করে নিয়ে যেতে এসেছ আশা বিবেচনা তোমায় করেছে এ অবস্থায় আরও কিছুদিন সময় নিয়ে মা মিনিকে চোখ টিপে চাপা গলা বলে তোমাকে অমান্ত করার শক্তি যেন আমার নেই। হাতে আমি অনেকক্ষণ কোনো কথা কইলুম না । মনের তোমাদের মাঝখানকার জটিলতাটুকু, দুৰ্ব্বাধ্যতাটুকু লেন “সুবৰ্ণ ! আমি মায়াকে দেখলুম, মনে কলুম সব বাধাবি সরিয়ে স্বপ্নাহতের মতো অগ্রসর হতে লােগ লু বিলোটা একটু কাটলে আস্তে আস্তে তার কাধে হাত মিটিছে নেওয়া কি তোমার ভালো বলে মনে হয় না ? ক্ষেই বুলি সুবৰ্ণ । ভার পর পরিচয় হলো, এ সত্তেও আমার —এরই মধ্যে দিদি এসে উপস্থিত হলেন, আমার সমস্ত রেখে ঢাকলুম মিনি । কিন্তু সে হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে মায়াকে ঐ কথা বলতে সে মিনতি করে বলে দিদেিয় বৰ্ণ হয়ে রইল সে-ই মনটাকে কেবল তিনিই ছবিটির মতো স্পষ্ট দেখতে পেলেন । ওয়া প্ৰাণ মায়ার মা আজি এসেছিলেন মা ক্ষোভে অঙ্গদ্যের মধ্যে স্থির নিবন্ধ তার দৃষ্টিখানির ওপর একটা কথা তুমি একটুও কানে নিয়ো না একটা কিছু দায়িত্বের প্ৰথমটা তারও বিজুড়ে আমি বিদ্ৰোহ করলুম, শেষে হঠাৎ দষ্ট অঙ্গর আভাস, আর কি একটা গভীর বেদনার ছায়া মাঝে পড়লেই, এই রকম দোল খাওয়া তার স্বভাৰ । সন্ধায় তার সঙ্গে কথা বন্ধ করেছেন । অামায় এসে তিনি একটি মুহূর্তে সাৰ্থকতার কাছাকাছি এসে আমার এতদিন ভাই মধ্যে তার হয়ে ফুটে উঠেছে চারিদিকে মনগড়া সংশয় দেখে, বিভীষিকা দেখে অকাণে ' ৱেন তোমরা বিশ্বাস করো আমাকে, আমি এর বিদ্মবিসৰ্গ কার সাধনার ইমারত গুড়ো গুড়ো হয়ে ধূলার ওপর দুষ্ট মিনি, স্মৃষ্টিছাড়া মিনি । তিনি ভয়ে আঁৎকে ওঠেন ।” হানি সতীশ। ধুবড়ী থেকে আমার বড় মেয়ে এসেছিল, ধ্বসে পড়ল ! বুঝলুম-টাইকে আমি ভুলতে পারিনি। ই আবাদ । আজ যেদিকে চোখ বা কেলি অত্ৰ । ২৩শে আষাঢ় । বিকেলের দিকে মিনিকে সঙ্গে করে ঠাৎ তাকেও কিছু না বলে-কন্ধে তার সঙ্গে সে ধুবড়ি আমার এ পাপকে তুমি ক্ষমা কোরো না, কিন্তু বুঝতে মায় অ, দ্বিনির অশ্ৰ, মায়ার অশ্ৰ, সুবৰ্ণে অঙ্ক । মায় এসে উপস্থিত। একেবারে আমার পড়বার ঘরে এসে গেছে। কী মনে করে গেছে,কিছু জানিন। বড় চেষ্টা কোৱো, কত অসহায় হয়ে, কত নিয়পায় হয়ে বা তার এই পাগলামোকে প্ৰশ্ৰয় দিলে কেন, নিকা স্কন্ধ অস্ত্ৰ আজি হঠাৎ পথ পেয়ে অসংযত, হয়ে সে বলে “আমি জানতে এলুম, দিদির কথায় তুমি কিছু মনে তোমার মনে আমি কষ্ট দিয়ে চলে এসেছি ; লোকে ভাও জানিনে উঠেছে, সমস্ত থিৰী তাতে বেছে, আছে কেবল কারা করেছে কি না..এখন যদি না হয়, তবে হরত আর হয়েই চোখে তোমা হাস্যাম্পদ করে রেখে এসেছি ! যা কয়ে লোকে ত আমার কাছেই জানতে চাইবে, জানাটা ত উঠবে না। বল, তুমি দেৱী করবে না ; যে ব্যবধানকে এত জামারই দরকার ছিল ফেলেছি তার তো আর তারা নেই ? এ অবস্থায়ও আসল ১৪ই আধা । কাঁল মাছার কাছে গিয়ে তার দুটি হাত চেষ্টা আমরা ভেঙে দিতে পেরেছি আৰাৱ নিজ হাতে এই শ্ৰাবণ মায়া আহু ধুবড়ি থেকে চিঠি লিখেছে কথা লুকিয়ে তোমাকে যদি আমি বিয়ে কতুম ভৰে স ণ চাইর মনে করেছি। আমার কাছে যার যা তাকে গড়ে তুলবে না খিছে — আমি তোমার কতদূর লক্ষা এবং ক্ষোভের আমার সে কপটতা তুমি সইতে, না ধৰ্ম্মে সইত-? পাওয়ার তা দম্বন্ধটিয়ে দিয়ে আমি খালাস । কে হাসলে আমি বাম “আমার এ অনুরোধ করার প্রয়োজন আর একটি কথা। আমায় ভালোৰাসতে বলেই ৰায়ণ হয়েছি, তা মনে করে আমার অনুতাপের সীমা ো দলে, সে গোজে আমায় কাজ কি ? আছে মনে করেছিলে, তাই বলে তুমি নিজে কেন এলে লিখছি, আমার মুখের দিকে চেয়ে আমার স্মৃতিটাকে নেই। কিন্তু সব কথা শুনলে তুমি নিশ্চয় আমায় ক্ষমা ২০শে আষাঢ়। মিনি কাল সমস্ত দিন মায়াদের ওখানে মায়া ? কৰে এই ভরসায় তোমা এই চিঠিখানা লিখছি । তোমার মন থেকে তুমি দুর করে দিছো । যদি দেখি আমায়ই ছিল। সকালে মাও ঘণ্টা দুয়েকের জন্তে একবার গিয়ে লজ্জা মুখটিকে নীচু করে সে আস্তে আস্তে বেরিয়ে প্ৰথমেই আমার বলা উচিত হচ্ছে, সব দোষ আমারই অন্তে তোমার জীবনটা ব্যৰ্থ হচ্ছে, তবে অামি হয়তো ছিলেন। এই আষাঢ় মাসেই মায়াকে বিয়ে করে চলে গেল থােক, সে-কথা বলে লাভ নেই। আমি জানি তুমি ঘাষার এ পাগলামোতে দিদির কিছু হাত ছিল না ; কেবল জানি হয়ত মৃতম করে সংসার পুতয় । মায়ার জাগ্ৰহে ২৫শে আষাঢ় । মা মায়াকে আজ আশীৰ্ব্বাদ করে আমার ওপর নিষ্ঠুর হবে না) এই বিদায় আমাদের চি ং মনটা খুব কাচা বলে আমার ব্যথার পরিমাণটা তাকে তাড়াতাড়ি হছে সব কাজেই সে ঐ-রকম বাস্তবাগীশ এসেছেন আটাশে আমাদের বিরে। এত শীগগির শৰ্শ করেছিল বিদায় হোক।--মায়া কিন্তু এই, তাড়াতাড়িটা আমার কেমন যেন ভালো ২৭শে আষাঢ় । এই বেশ হয়েছে, খুব ভালো হয়েছে আদি এর আগে দেবার এখানে আসি, সেইবার দিদিই ৭ই শ্ৰাবণ । বিদায়, চিরবিদায় ! তায় প্ৰতি আমি লাগছে না। একটা জিনিষকে একবায়ে নিজের করে উঃ আর কোনো িদ কি বাইরের মুক্ত আলোয় সৰা সঙ্গে আমার পরিচয় করে দিয়েছিলেন। তারই কিছু নিষ্ঠুর হব না, আকে মনে করে রাখৰ না, আজ থেকে এই