পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28 আমার বাল্যকথা কত পাগলামী ছড়া আওড়াতেন সব মনে নেই। দুএকটা বলি– অজস গরস দুই সপ—এই কালীয়দমনের দুই সর্দাব রাম ও শ্রাম— ধন্য ধন্য রাম শুiম তোমাদের কার্য্য তোমাদের কার্য্য সকলের অনিব{র্য্য যখন তোমরা গিয়া চড় যার ঘাড়ে অজস। গরস আদি সবে তারে ছাড়ে । অজস গরসা যেন ছাড়ল, এখন রামগ্রামের হাত থেকে রক্ষা কবে কে ? সাপ ও বেণ্ডের কথোপকথন সাপ—“জিহা লিড়ি বিড়ি দিড়ি কিচড়ি মিচড়ি করি কুপ—” (আমি যদি কুপ কবে তোকে খেয়ে ফেলি ? ) ব্যাঙ—“হম যদি পানিয়ে ডুব গয়া তুসম ভূসড়ি খায় গুজড়ি মুঙ্গরি করি গুপ—” ( আমি যদি গুপ করে জলে ডুবে যাই ? ) নবীনবাবু চার রকম ভিন্ন প্রকৃতি লোকের কথা বলতেন— বেগবেগ, বেগচের, চেরবেগ, চেরচের । স্মরণশক্তির তারতম্যে এই চার রকম লোক হয় । বেগবেগী,-যে শীঘ্র শেখে শীঘ্র ভুলে যায় ; বেগচেরা,-যে শীঘ্র শেখে চিরদিন মনে রাখে ; চেরবেগ,—যে দেরীতে শেথে শীঘ্র ভুলে যায় ; চেরচের,--যে দেরীতে শেখে দেরীতে ভোলে । এর মধ্যে অবশু বেগচের হওয়াই প্রার্থনীয়। তার নীচে চেরচের । চেরবেগাই অধম । উপরে নবীনবাবুকে বিদূষকরূপেই চিত্রিত করে দেখান গেল, কেননা তার ঐ দিক্টই আমাদের চোখের সামনে থাকত ; কিন্তু তা ছাড়া আর আর দিকেও তিনি ব্যাখ্যানগেল । সাহিত্য-সমাজে তার প্রতিপত্তি সামান্ত ছিল না । কেবল আমাদের ঐ বয়সে তার বিদ্যাসাধ্যের সর্বাঙ্গান মর্য্যাদা আমরা বুঝতে পারতুম না। খ্রীযুক্ত অক্ষয় কুমার দত্ত প্রথমে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি অবসর নেবার পর নবনবাবু সম্পাদকীয় ভার গ্রহণ করেন ও দক্ষতাসহকারে কয়েক বৎসর সেই কার্য্য সম্পাদন করেন । তত্ত্ববোধিনী ভিন্ন তথনকার অন্তান্ত সংবাদপত্রেও র্তার প্রবন্ধাদি প্রকাশিত হ’ত। ঐতিহাসিক তত্ত্বাবলীতে তার বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল এবং বিশ্বকোষের পাতা উণ্টে দেখলে তার পাণ্ডিত্যপূর্ণ অনেকগুলি লেখা দেখতে পাওয়া যায়।