পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বাল্যকথা جمال ছিলেন তিনি নির্লিপ্তভাবে দূরে দূরে থাকতেন—তার সঙ্গে খাবার টেবিলে যা আমাদের দেখা হ’ত। আমাদের সব নিজের নিজের গোছগাছ কবে নিতে হ’ত । ফু একটি ছাত্রের সঙ্গে আমাব খুব হৃদ্যতা হয়েছিল। তাদের মধ্যে এখন কেবল একটির নাম (Schwanne) দেখতে পাই, যিনি এক্ষণে পালামেন্টের মেম্বর । দ্বিতীয় পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে আমার দেশে ফেরবার সময় এল । তখন আমবি বন্ধুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কবির আশীর্ব্বাদ সহকারে ভারত অভিমুখে যাত্রা করলুম। মনোমোহন ‘মন্ত্রের সাধন কিম্বা শরীর পতন’ পণে সে দেশেই পড়ে রইলেন । কবিব অtশীর্ব্বাদ – সুরপুরে সশরীরে, শুরকুলপতি অৰ্জুন, স্বকাজ যথা সাধি পুণ্যবলে ফিরিলা কাননবাসে ; তুমি হে তেমতি যাও সুখে ফিরি এবে ভারত মগুলে, মনেদ্যানে অশালত! তব ফলবতী ! ধন্য ভাগ্য, হে সুভগ, তব ভবতলে ! যাও দ্রুঠে, তরি নীল মণিময় পথ অপথ সাগরে । অদৃষ্ঠ রক্ষার্থে সঙ্গে যাবেন হুমারী ৰঙ্গলক্ষ্মী। যাও, কবি আশীর্ব্বাদ করে * আমি আগেই বলেছি যে ছেলেবেলায় বাবামশায়ের কাছে আমরা অল্প সময়ই থাকতুম। একালে যেমন পিতাপুত্রে অপেক্ষাকৃত স্বাধীনভাবে মেলামেশা দেখি, তখনকার কালে তেমনটি ছিল না, ছোটর বড়দের অত্যন্ত সমীহ করে চলতো । আমাদের যা কিছু আমোদ আহলাদ মেলামেশা সে পিতার পারিষদবর্গের সহিত, তাদের কাছেই মনখুলে কথা কবার সুযোগ হ’ত। { দেবেন্দ্রসভা দেবেন্দ্রসভায় নানা লোকের সমাগম ছিল, তার মধ্যে কতকজন খাস-দরবারের লোক । আম-দরবারে যে সব লোক যাওয়া আসা করত তাদের কথা পাড়বার আবখ্যক নেই। এইমাত্র বলে রাখি যে, এক সময়ে ব্রাহ্মসমাজে যারা ঘন ঘন যাওয়া আসা করতেন তাদের মধ্যে অনেকে ছিলেন সন্ত্রান্ত স্বর্ণবণিক শ্রেণীর লোক। এখন আর সে দলের লোক দেখতে পাই না—এমন হ’তে পাবে যে, এক্ষণে কাঞ্চন-দেবতার • মাইকেল মধুসূদন দত্ত-চতুর্দশপদী কবিতাবলী ।