পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[১৭শ ভাগ, প্ৰবাসী-অশ্বিন, ১৩২৪ স্মৃতির সেীরভ কিছুতেই চলিবে না। কাণ্ডেন উইরো সামনেই বসিয়া, কাল সকালে ?—ও, মনে পড়েছে বটে। জান না। নিজের ব্যবহারটা ভদ্ৰোচিত বলে সে তার মাত্ৰ নজর না দেওয়াতেও গু-ই তোমার ভালবেসে হাতে একখানা খবরের কাগজ । আপন মনে নিতান্ত আমি যে ওকে যথন-তখন গিলফিলের নাম ফরেক্ষাপাই ঐীকে কখনই মেনে নিতে বলবে না ; তাকে জানতে ফেলেছে।” সহজভাবে একটু একটু পড়িতেছেন ;- মিস আশার যে সে যে না ছাড়া চোখে আর কিছু দেণেই না। বে সতাই সেটা তাই ; মহাশয়, আমায় এখন অনুগ্ৰহ “লক্ষ্মীটি, আমায়ু ওসব বলতে জোর কোৱো না অবজাভারে চুপ করি আপনার পুথির কাজ লইয়া ব্যস্ত বোধ হয় ওকে খুব পছন্দ করে, তাই ওরকম যেতে দিন আমি যে তোমায় ভালবাসি, তোমার একান্ত অনুগত, তাহাতে তাহার খেয়ালই নাই। ইচ্ছো, করিয়াই কাথোন করলেই চটে মায় । আমি এখানে আসবার অমেৰু সে উঠিতে চেষ্টা করিল। কিন্তু অ্যাণ্টনি তাহাকে এইটুকু জানাই তোমার পক্ষে যথেষ্ট। ওগো হুটুরাণ উইন্দ্ৰো অাজ উদাসীন । অনেকক্ষণ ধরিয়া কাগজখানা আগে থাকতেই ওরা দুটি খেলার সাথী ছিল ; আর সা হাত দিয়া জড়াইয়া ধরিয়া আট্‌কাইয়া রাখিল। অত্যন্ত জানোই ত তোমার রাজা জয় করে নেবার আর কায়, সুরে সে বলি, “আছা, বিয়েছিল, তুমি কি সাধ্য নেই। নিজের ক্ষমতা দেখাবার জন্তে কেন বৃথা কাণ্ডেন উইলো, তুমি মোটেই খাঁটিলোক নাও তা ও বোনা দে এমন অনেক জিনিস থাকতে পারে যার আমার যন্ত্ৰণা দাও । অত নিষ্ঠুর হোহো না জানোই । হইল । সেই সময় মিস আশার বলিয়া উঠিলেন রাৰে তুমি টনার চেয়ারে ঠেস দেওয়াতে সে যখন গ মানুষের কিছু বলা শক্ত ? - সেগুলো নিজের জন্তে লোকে বলে, প্ৰেমরোগ ছাড়া আমার আর-একটা ধদরোগ তোমার সঙ্গে মিস, সাট বড় বেশী রকম ভাব হয়ে উঠল তার সঙ্গে ত এর কোনো সম্পৰ্ক নেই হ’লেও অষ্ঠের খাতিরে গোপন রাখতে সে বাধ্য। আছে, এমন দুটো চারটি ব্যাপার ঘট্‌লে সে রোগটা আয়ো দেখা যাহে ।” নিজের মন যদি ঠিক না হয়ে থাকে, তবে দয়া করে নি যায় সম্বন্ধে সব কথাই তুমি আমায় গিগেৰ কতে পাৱ, বেড়ে যায়।” টয়ার সঙ্গে ? ও চ্য, তা বটে। জানোই বোধ হয় উপর অত্যাচার কোরো না । মিস সাটির অাকৰ্যৰে অন্যের গোপন কথা বলতে জোর কোরো না। । মিস আশার একটু নরম হইয়া বলিল, “কিন্তু একটা ও চিরকালই বান্ধীৱ সকলের আছরে। আমরা ত ঠিক শ্ৰেষ্ঠতার কাছে আমি হার মানতে রাজি আছি। আশা কথাটা বুঝলেন ?” কথার উত্তর তোমার দিতে হবে । অতীতে কি বৰ্তমানে দিক থেকে আমি তোমায় সম্পূৰ্ণ মুক্তি দিছি। যে বো মিল আশার নাক সিটকাই বলিল, “হ্যা নিশ্চয় তুমি কখনো মিস সাটিকে ভালবেসেছ কি না ? তা বৈকি। তুমি যখন কোনো মেয়ের সঙ্গে প্ৰেমালাপ কথা শোনার আমার কোনো দরকার নেই, কিন্তু তোমার হয়ে ওঠে বলে ত শুনিনি । নেই, তার ভালবাসার সামান্য ভাগও আমি চাই না।” বা, তখন সেটা হয় তার গোপন কথ, কাজেই তার জন্তে কথা জানবার আমার সম্পূৰ্ণ অধিকার আছে। লাল হয় নাকি ? আমি ত কোনো দিন লক্ষ্য কবি এই বলিয়া মিস আপার উঠিয়া দাড়াইল । গন্ধে তামার সেটা গোপন রাখাই উচিত কাণ্ডেন উইব্ৰো, টিনাকে আমার খুব ভাল লাগে ; আমন সোজা ক্ষুদে নি। কিন্তু ও বড় ভীর যেয়ে । মাথা উচু করিয়া ঘরের বাহিরে চলিয়া সাইবার উপক্ষা কম মিথ্যা বাক্যব্যয় করা কিন্তু বৃথা । তোমার আর মিস মেয়েটিকে কার না ভাল লাগে ? তাকে আমি অপােছ কানে উইরো, আপনি আর ভণ্ডামি না করলেই করিতেই কাণ্ডেন উইরো তাহার সামনে আদিয়া থাকাইয টির সম্বন্ধটা যে সাধারণ বন্ধুত্বের চেয়ে বেশী সে ত করি এটা বোধ হয় তুমি চাও না। কিন্তু ভালবাসা সম্পূৰ্ণ ৰোধ হয় ভাল হয় আমি ঠিক জানি তোমাদের মধ্যে হাতখানা ধরিয়া ফেলিল, বিষ্কার বোঝা যাচ্ছে । সেটা যে কি তা ধখন তুমি আলাদা জিনিষ । টিনার মতন মেয়েকে লোকে ভাইএর কিছু একটা আছে। মিস সাটি কাল যে -রকম চটেমটে - “বিয়েস লক্ষ্মীট, একটু ধীর হও । অমন বাগোলাতে পােৱছ না, তখন আর তোমার সঙ্গে কথা বলা মতো স্নেহ করতে পারে, কিন্তু ভালবাসতে পারে যাদে তোমায় কথা শোনালে, তুমি কোনো বিশেষ অধিকার না মাথায় আমার বিচার কোৱো না কোনো দরকার দেখছি না।” ছিলে কথন ওর অবস্থার মেয়ে তা সাহসই করত না ।” বোসো, মণি এই বলিয়া অনেক অনা বিনয় কবি আঃ কি আপদ! বিয়েটিস তুমি দেখছি আমায় শেষ কথাটা বলিয়া অ্যাণ্টনি মিস আশারের মুখের দিকে মাছা বিয়োটু, একটু বুঝে সুজে কথা বলো ; আন্ধা আণ্টনি তাহার দুইহাত চাপিয়া ধরিয়া সোনায় বসাইলা গধ করে ছাড়বে। কোনো মেয়ে যদি কাউকে ভাল. মেহমু দৃষ্টিতে চাহিল ও ‘তাহােৱ যে হাতখানি এতক্ষণ তেবেই দেখ না, িক এমন কারণ থাকতে পারে যার জন্যে নিজেও তােহােৱ পাশে বসিল । হাতে ধৰি ফিয়ান , তাহলে সে বেচার কি করতে পারে বলে তা রিয়া থিয়ছিল তাতে একট চুম্বন মুতি করিয়া দিলা আমি বেচারী টিনার সঙ্গে অয়ন কিছু করতে যাব । ওর কি কোনো নিবেদন শুনানোতে মিস আশারের মনেৰে ৰঘটনা ত অহরহই ঘটে থাকে ; কি লোকে তো কাজেই কথাটার অৰ্থ বেশ পরিষ্কারই বোঝা গেল। মিল বে কি মানুষকে আমন ভাবে আকৰ্ষণ করার মতন িকছু কিছুমাত্র আপত্তি ছিল না, িকন্তু হার সেই উদ্ধত উদাসী তার কথা বলে বেড়ায় না কোনো ভিত্তির বেশ মাশারের পরাজয় হইল সত্যই তো অ্যাণ্টনির পক্ষে আছে ? ষ্ট্ৰীলোক না বলে ওকে শিশু বলেই ত চলে। মুক্তি অচল অটল। অ্যাণ্টনি বলিল না থাকলেও অমন মোহ মানুষের মনে জাগে, বিশেষতঃ টনার মতন নগণ্য তুচ্ছ বিবৰ্ণ মেয়েকে ভালবাসা যে স্বগেও ছোট মেয়েটির মতো একটু নিয়ে খেলা করা অাদর দেওয়া বিটে, তুমি কি আমার কথা বিশ্বাস করতে পা ৰে পুরুষমাৰ প্ৰায় দেখতেই পায় না, সে যাকে পায় সম্ভব নয় —মিস আশারের মতন সুন্দরীকে পূজাকাই ছাড়া ওর সম্বন্ধে ত লোক আর কিছু ভাবতেই না ? অনেক কথা হয়ত এমন আছে, আর িঠক কৈদি কে ভালবেসে বসে। কোনোরকম নাই না পেলে তো তাহার পক্ষে সম্পূৰ্ণ সম্ভব তাহার এই সুন্দর পারে না আমি দিতে পারি না, কিন্তু তা সত্তেও কি তুমি আ জ আপনি আবার সেরে যায়। তোমার যদি আমার উপাসকােটর জন্য যে অকাল্প তক্ষণীয়া নিরাশায় স্নান হইতে অনুগ্রহ করে একটি কথা বনে কি ? কাল যখন উপর বিশ্বাস রাখতে পারো না । লাগতে পারে, তা হ’লে অল্প কারও লাগলে থাকিবে সে তো আরো আনন্দেরই কথা। বাস্তবিক, আমি হঠাৎ ঘরে ঢুকে পড়তেই তার মুখ লাল হয়ে উঠলে যার কৈঞ্চিৎ দিতে পারো না, এমন জিনিস থাকবেই তোমার অতটা আশ্চৰ্য্য হওয়া ঠিক নয় তার জন্যে বর যে ভগবানের অপূৰ্ব্ব সৃষ্টি । আহা বেচাল্পী মিস সাঞ হাত দুটো, ঠকঠক করে কেঁপে উঠল, তখন আপনাদের বা কেন ? কোনো ভদ্ৰলোকের এমন স্নায়ার তাদের ভাল বলাইউ উচিত । আর হইবে, সময়ে মোহ কাটিয়া যাইবে । কিসের খেলা হচিল ?” ঠিক নয়, যার কৈফিয়ৎ সে তার ভাবী জী/কাছে, ফানে উইক্সে এইবার সুযোগ বুদ্ধিয়া বলি, “আর ও, তোমার ব্যাটা তা হলে এই , যে তুমি কিছু