পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—মাখিন, ১৩২৪ হেম তোমাকে বুঝতে না পেরে, যে কটু কথা পড়িতে লাগিল, রাজবালাও সমবেদনায় ব্যথিত হইয়া মে, যা ব্যবহার করছেন তা তোমাকে সহ করে বীরনের চেয়েও মুলিয়া-জুলিয়া চোথে আঁচল দিয়া কঁাপিতে আর একটা কথা বলব ? ছিল। বীরেন মায়ের মৃত্যুর পর একদিনও কঁাদিত্বে প্ৰায় রাজবালা টানা-টানা সুন্দর চোখ দুটি তুলিয়া বীরেনের নাই ; সে বঁাদিলেই দাদেবীর পীড়া বৃদ্ধি হইৰে বলিয়া ষ্টিচ হিল । বীরেন আবার জিজ্ঞাসা করিল — সে দয়াদেবীর সামনে কঁদিতে পারে নাই, দয়াদেবী সৰ্ব্বদা তাহাকে কাছে-কাছে রাথিতেন বলিয়া সে নিৰ্ম্মনে কঁাদি রাজবালা লজিত দৃষ্টি নত কবিয়া ক্ষুদ্ধ কণ্ঠে বলি বারও অবকাশ পাইত ন অাজ সে প্ৰাণ খুলিয়া কাদিয়া বাচিতেছে, আর-এক িন তাহার জন্য মমতাৱ বীরেন বলিতে লাগিল—এখনও তোমার অমত আছে তাহার সঙ্গে-সঙ্গে কাদিতেছে এই অ্যানদে এই সানার নেই বলতে সাহস করছি, নইলে বলতে পারতাম না আজ আর তাহ অধারা নিয়োধ মানিতে চাহিতে ইত হাতীকান্দার ব্লা-বাবুর স্বী হওয়ার প্রলোভন ছিল না। কেী ; এখন গুণময় লোকটিকে তোমার খারাপ রাজবালা যখন দয়াদেবীর ঘর্য হইতে ধীরেনের আহবানে ছে বলে তুমি তাকে বিয়ে করতে চােচ্ছ না, কিন্তু এই উঠিয়া আসে তখন হিংসায় লিতে জ্বলিতে মায়াও উঠি৷ অগাধ ঐয্যের স্কার বিপুল সম্মানের লোভ লোকটার আসিলা লুকাইয়া থাকি দেখিল উচারা কোথায় গেল । পর বিরাগ একেবারে চাপা দিয়ে ফেলতে পারে । আমার পা টিপিয়া-পিয়া সিড়ি বাহিয়া ছাদে রোধ, তুমি আমার মায়ের, তোমার দিদির, দাদেবীর উঠিা আড়াল হইতে উকি মারিয়া ধীরেন ও প্লাজবালাকে তিন হয়ে না; তিনি আর বেশী দিন বাঁচবেন ন দেখিতে লাগিল। বীরেন ও রাজবালা কঁাদিতেছে দেখিয় র মৃত্যুর পর তোমার ইচ্ছা হয় তুমি গুণময়কে বিয়ে মায়। আবার বা টপিয়া টিপিয়া নামিয়া গল কারে ঐ গুণময় তোমার িদদেিক বধ কাছে যেন গুণময় দয়াদেবীর ঘর হইতে রাগ করিয়া চলিয়া বিয়ে করে নিয়ে বাড়ীতে চকল সেই দিনই বড় আসিয়াও রাগ করিয়া থাকিতে পারিলেন না, আবার গলায় ক্ষুর দিয়ে মরলেন, সেই দেখে তার যে বুকে । রাজবালার সঙ্গলাভের লোতে দাদেবীর ঘরে বিরিয়া থা লাগল, সে ব্যথা অার সারল না ; তার পর কুমার অসিলোন দয়াদেবী একবার উৎসুক নেত্ৰে স্বামীর দিকে গলায় দড়ি দিয়ে গুণময় যখন মারলে তখন তাকে চাহিলেন । গুণময় তাহার দিকে না তাকাইয়াই মোহিনীকে দেয়াদেবী বে শয্যা নিয়েছেন এ থেকে আর উঠবেন জিজ্ঞাসা করিলেন-মোহিনী, এবা..…..ান্ধুরা কোণায় ? না তায় ময়তে বিলম্ব হচ্ছে দেখে গুণময় এখন চেষ্টা দাদেবী ঘণায় ক্ৰ কুঞ্চিত করিয়া মুখ ফিরাইয়া কাছে তোমাকে বিয়ে করে মুম্‌ স্ত্ৰীকে চট্‌ করে মেরে লাইলেন মোহিনী খতমত খাইয়া বুলিতে যাইতেছিল রাজবালা অবাক হইয়া চক্ষু বিক্ষরিত কবি৷ দাসেবী পা দিয়া নে হনীর গা টিপি তাহাকে সারধান ধীয়েনের কথা শুনিতেছিল এবং সমস্ত ঘটনা বুধিতে না। করিয়া দিলেন, মোহিনী সামলাইয়া লইয়া বলি-দিদিমণি দায়িলেও গুণমহের নিষ্ঠুরতার জন্য তাহার উপর গুণ ও ভয় আর মাসিনা ত ঐদিকে গেল তাহাৰ অন্তর ভরিয়া তুলিতেছিল রাজবালা জিজ্ঞাসা গুণময় প্লাজবালা সন্ধানে বহির হইয়া রাজবালায় কালি তোমার মা কেন গলায় দড়ি দিয়েছিলেন ? মাছের কাছে গেলেন —সে ঐ গুণময়ের জন্যে ।—বলিয়া ধীরেন আপনাদের রাজবালার মা তখন আঁচল পাতিয়া একটু গড়াইতে দুঃখের কাহিনী ও দয়াদেবীর সহ বৰ্ণনা করিতে লাগিল। ছিলেন—এখানে আসিয়া অবধি হার কাজ হইয়াছে ৬ষ্ঠ সংখ্যা দুই তার জুতার শব্দ পাইরা ধড়মড় করিয়া উঠিয়া বসিয়া মাথায় ঘোমটাইটানিয়া দিলেন হাত সরাষ্টরা যেমন মুখ তুলিল অমনি গুণময়ী ভাষায় গালে ৭ময় জিজ্ঞাসা করিলেন—মাঙ্গিমা, ব্লাজু কৈ ? বিরাশি সিকার ওজনের এক চড় মারিয়া ফান ধীি সঙ্গেই অত দয়ার ঘরের দিকে গেল ক্ৰমাগত নাড়া দিতে দিতে পাটি বাধানো দ্বাত যাবা চাপিয়া ঠকঠক শব্দ করিতে করিতে পঞ্জিতে লাগিলে —সেখান থেকে চলে এসেছে ঠাকুরের ভোগে কুকুরের দৃষ্টি ! ঠাকুরের ভোগে কুয়ে এক হড়কো পালানে মেন্তে হয়েছে ! তুমি দৃষ্টি বাবা নবীপের পণ্ডিতদের কিছু বেশী করে দক্ষিণে দিয়ে য়া বীরেনকে অত্যন্ত ভালবাসিয়াছিল, সেই বলে কিমাসে বিয়ের বিধেন নিয়ে শিগগির দুহাত এক করে তাহাকে উপেক্ষা করিয়া অপরকে বেশী তালবাসিতে ফেলো এমন সময়ে যাদের সিড়ি হইতে নামিয় মায়া বাবাকে বলিয়া মায়া হিংসার তাড়নায় বাপের কাছে গিয়া বীয়ে দেখিয়া থমকিয়া সাড়াইল । তাহাকে দেখিয়া গুণময় জিজ্ঞাসা নামে নালিশ করিয়াছিল। কিন্তু তাহারই চোখের সাধনে করিলেন- মায়া, রাজু কোথায় রে ? ধীরেনকে লাহিত পীড়িত অপমানিত দেখিয়া যায় দিতে মাথা চোক গিলিয়া বসিল—া মাসীকে বকেছে, তাই কঁাদিতে চুটিয়া আসিয়া তাহার বাবার হাত ধরিা বীরেন-দার কাছে কাছে টানিতে বলিতে লাগিল—ও বাবা ধীরেন-দাকে মেয়ো গুণময় অাশচৰ্য্য হইয়া বলিলেন-বীরেন তোমার দুটি পায়ে পড়ি ধীরেন-মাকে মেয়ো না । মাথা চোখ পাকাইয়া এক নিশ্বাসে বলিয়া মেলিল— বীরেন মাথার এক টকায় গুণময়ের হাত হইতে বাবা, তুমি ধীরেননাকে কলকাতা যেতে বলেছিলে, ও ছাড়াইয়া লইয়া সোজা হইয়া ধাড়াইল। তাহার গারো বায়নি, লুকিয়ে আছে তোলাতে, এই মেয়ে-দুটির সামনে তাকে অত্য, অপাৰ গুণময় কুন্তু হইয়া গণ্ডারের স্থা চোখ দুটা ঘুরাইয়া বলিয়া উঠিলেন—ায়নি ! কোথায় সে হতভাগা। করাতে, তাহার মাতৃবঘের সদ্য-বৰ্ণনায় উদ্বীপ্ত শোক মীয়া একবার পিছনে সিড়ির দিকে তাকাইয়া চুপিচুপি প্ৰতিহিংসা অলিয়া উঠিল ; তাহার উন্ন রক্তধারায় খুলে লিল—ওপরে চিলের ঘরে গাজন নাচিয়া উঠিল। তাহা সুন্দর কমনীয় শতা রাজবালার মা আমনি বলিয়া উঠিলেন—তাইতে পোড়া - ঋজু হুইয়া উঠিল, গৌর বর্ণ আরক্ত হইল, নিটাল সলাই কপালী এমন করে যাকে ফরকে মরছে ! আমি তাইত ও মসৃণ কণ্ঠে িশল্পী ক্ষীত হইয়া উঠিল, তাহান্ন ভাসাভাস ভাবি, আমার আমন সোনার রাস্তু মণ লোকের কুপরামর্শ উজ্জল চোখ দুটি ধারালো, দুীর ধারের মতন ভী না পেলে কি আমনি বিগড়োয় । হইয়া উঠি কিন্তু পরক্ষণেই সে শান্ত হইয়া ি গুণময় ক্ৰোধে অধীর হইয়া চটিজুতার চটপটানিতে কণি—তাহার মনে পড়িয়া গেল গুণময় তাহা সাঁতী বাড়ী কঁপাইয়া বীরেনকে শাস্তি দিতে ছুটিতেছিলেন মায়া তাড়াতাড়ি বলিল—চুপিচুপি চল বাব, সাড়া পেলে দয়াদেবীর স্বামী, তাহার গায়ে হাতু তুলিলে দায়েী

বার-বাড়ীর সিড়ি দিয়ে নেবে পালাবে । মনে বালিবে । ধীরেন সেখান হইতে একটি স্বয়াদেবী

গুণময় চাট তা খুলিয়া খালি পায়ে গিাড়িতে উঠিতে ঘরে গিয়া তাহার পায়ের উপর মাথা রাখিয়া মিয় লাগিলেন ; সেই মোটা মোটা থামের মতন পায়ের দাপে ফেলি। সে যাইবার সময় শুনিতে পাইল রাজবালা মেদিনী কম্পমান বীরেন ও রাজবালা কঁাদিতেছি মা চেঁচাইতেছেন-বামন হয়ে চাদ, ধরবার সাৰ বাবে বলিয়া সে পারে শত্ৰ লক্ষ্য কন্ধি ন সাত জন্ম তপিন্তে কর, তবে ত রাজুর মতন বেী জাগো গুণময় পা টিপিয়া-টিপিয়া ঘরের মধ্যে গিয়া একেবারে জুটবে বীরনের কান বা হাতে চাপিয়া ধরিয়া বলিয়া উঠিলেন – এই দুদিন আগে রাজবালার মায়ের কাছে বীরেন দিহি পাজি হতভাগা, যার খাবি তারই সৰ্ব্বনাশ কবি । বেরে সুপাত্ৰ ছেলেটি ছিল, আজ খুনী ডাকাত গুণময়ের তুলনা আমার বাড়ী থেকে সে অপাত্ৰ হই পড়িয়াছে