পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধীনে চলিয়া গেলে গুণময় আদর করিয়া রাজবালাকে নিশ্চিন্ত নিয়পদ্মবে ছিল, কোথা হইতে রাজবালা আসিয়াই লেন , তুমি অজ ৰাদে কাল রাজরাণী হবে, তাহা বীরেন-দানাকে বে-দখল করিয়া বসিল, ইহা তাহার লৰা হোলোকদের সঙ্গে এত মাথােমাথি কি তোমার অসহ কগণ দাড়াইয়া থাকিয়া-থাকিয়া ভয়ে-ভয়ে এস তুমি আমার সঙ্গে চল, চার ঘোড়ার গাড়ী চারিদিকে চাহিতে-চাহিতে মায়া একটু-একটু করিা রিতে-সহিতে গিাড়ির কাছে গোল তারপর ‘বাবাগো লিঙ্কা চীৎকার করিয়া সিড়ি দিয়া এক ছুটে নীচে নামিয়া উপর কি নৃশংস অত্যাচার এই গুণময় করিয়া গেল, নীচে নাদিয়া সে কাহাকেও কোথাও দেখিতে সিতেছে তাঁহা সে এইমাত্ৰ বীরেনের মুখ হইতে পাইল না তাহা ননে হইতে লাগিল নিশ্চয় বীরেন পা নিয়াছে; এখন তাহার চোখের সামনে বীরেন ধে লাঞ্জন আবার সিনার সঙ্গে কোনো ঘরে লুকাইয়া গল্প করিলা তাহা তাহারই জয়-ভয়ের কারণ সত্বেও মায়া মতান্ত কাহা গাইতে লাগিল । সে বীৰেন যে কলিকাতা না গিয়া এই বাড়ীতে লুকাইয়া ছিল আছড়াইয়া পড়িয়া কাদি৷ বেশিবার স্ক একেবাৱে প্ৰস্তুত তা তাহাকেই দেখিবা লোভে অতবড় ছেলে হইয়াই চুটিয়া কাছে গোল রেনকে যে লোক মারিতে দ্বিধা বোধ কলি না সেই মায়ের ঘরে কিয়াই সে থমকিয়া দাড়াইল, তাহার শাধ আসিয়াছে তাহাকে প্ৰণয় দেখাইতে । সেই প্ৰণ তা ঐ হইল না। সে দেথিল বীরেন তাহার মায়ের পাগল লভিয়ানক লোকটা তাহা স্ত্ৰীকে যে কত ভালবালে পারে উপর উপুড় হইয়া পড়িা ফুলিয়াদুলিয়া কঁাদিতেছে সন যত্ন করে তাহাও ত সে ধীয়েনের কাছে এই মাত্ৰ আয় তাহার মা ঠাখার দুৰ্বল ক্ষীণ হাতখানি বাড়াইঃ শুনি স্বচকেণ্ড ত দেখিতেছে তাছাকে স্বামী বলিয়া মমতাভ রা রে তাহাকে ডাকিতেনে— বীর, বাবা, তোর কহিবে কিসের লোডে ? ঐশ্বৰ্য ? ধিক্ । এই মুপে পা লাগছে, আমার হাতের কাছে সরে আয় মালিকায় বিলাস-আড়ম্বরের ভিতর নিষ্ঠু জমিদারের শত নায়া আস্তে আস্তে সরিয়া, সরিয়া গিয়া ধীরেনের কাছ কলা-সামীর মধ্যে একটা ইয়া থাকার চেয়ে নিরাশ্ৰয় ঘোঁসিয়া গাড়াইয়া ভয়ে-ভয়ে মদ্য স্বরে ডাকিল—বীরেন-দা হাত ধরিয়া পথে ধাড়ানো ঢের গৌরবের ঢের বীরেন কোনো সাড়া মাথা ঠোঁট লাইতে নিদের চের কল্যাণের । লাইতে বলিণ—আমি আর কখনো করব না ভাই, রাজবালালক্ষিপ্ৰ পদে গুণময়কে এড়াই নীচে অামার মাটিয়েছে মিছা দিয়া একটা ঘরে চুকিয়া পড়িয়া দরজার খিল বীরেন কান্না খামাইয়া মাথা তুলিবার চেষ্টা করিতে লসিয়া বেতে উপুড় হইয়া পড়িয় কাদিতে লাগিল ছিল, কিন্তু পালি না । বীরেন তখনো কোনো সাড়া তাম্বায়ু পত্ৰিাণের উপায় কি, তাহার গতিই বা ন। পাছয় মায়া ৰলিং-—তোমার ইষ্ট পায়ে পড়ি বীদা ইবে? তুমি ন হয় আমার খুব করে মারো, আমি কঁদব না চিলের ছাদের ঘর হইতে সবাই চলিয়’ আসিল ; মায়া বলিয়াই মায়া কঁপিয়া ফেলি নড়িতে পারিতেছিল না এক লাটি সেই প্ৰকাণ্ড ধীরেন মুখ না । তুলিয়াই হাত, দিয়া মায়াকে বেষ্টন যা তের ঘরে থাকিতে মায়ার অত্যন্ত ভয় হইতেছি, ধরিয়া আপনার গায়ের সঙ্গে চাপিয়া পালি কিন্তু সে নীচে নামিতেও পারিতেছিল না—সে যে অন্যায় দয়াদেবী বলিলেন—কি হয়েছে রে মান্না ? তুই দাদাকে করিয়াছে, ইহার পর সে ধীরেনের সম্মুখে যাইবে মেয়েছিল বুধি । কেমন করিয়া । মায়ার অত্যন্ত রাগ হইতেছিল রাজবালার মায়া কান্নার মধ্যে স্থাপাইতে -হাপাইতে বলিল—ৰায়ে উপর এতদিন ত সে তাহার বীরেন-দামাকে লইয়া দিব্য আমি কেন ? আমি বাবাকে বলে দিলাম যে বিদায় সদে কাদছে, তাইতে বাবা গিয়ে মেরেছে দয়াদেৱী জেদ রিয়া বলিলেন না যাকালে কি ধীরেনা। আমায়ু মাক না, শোধবোধ যাবে কথা ! ওকালতি পাশ করে তুইয়োজার ৱৰি, সলামী দয়াদেবী আশ্চৰ্ঘ্য হইয়া বলিলেন—উনি এত করেও হবি । তোর যে-সংসার জামরা তেঙেছি সেইসলায়েন্ত্ৰ প্ত হননি, শেষকালে গাতে হাত তুললেন লক্ষ্মীকে আমার গায়ের গয়না দিয়ে সাজাৰ এই যোদ্ধা দয়াদেবীর চোখ দিবা গুরষ্ণৱ করিয়া দল গড়াইয়া মানত ছিল বীরেনও জোরের সঙ্গে বলিল—ওকালতি এবারা তে লাগিল। তাহা দেখিয়া মায়া চীৎকার করিয়া দিয়া ফেলিল তাহাকে কিন্তু হেই তপন লক্ষ্য কলি করবেই মা, কিন্তু রোগার করে সংসারী হায় জলে নক্স , কৈহ একটি সানার কথাও বলি না নিজে ভুগে দেখেছি, গরিব দুঃখী—ার পর বিলো বীরেন মাথা তুলিয়া দয়াবেীর দিকে চাহিয়া বলিল অত্যাচার হচ্ছে—তার হয়ে লড়বার লোক উকিলদের মধ্যে দা, আমি কাণ ভোরে কলকাতা যাব নেই, তারা সবাই শুধু চেনে টাকা । আমি যেন, অত্যা তোমাকে স্নার আমি দেপতে পাব না এই আমার চরম শান্তি চারের বিদ্ধে গাড়াবার ব্ৰত নিতে পারি — এই আশী দয়াদেবী চোখের জল মুছিতে-মুছিতে বললেন-- আর আমায় করো মা , আমায় স্বাৰ্থপর হতে বোধো না দি এ বাড়ীতে তোকে থাকতে বলতে পারিন, তুই যা বীরেন দয়াদেবীর পায়ের উপর মাথা ঠেকাইয়া প্ৰণাষ জাদার ও দিন শেষ হয়ে এসেছে । অামার আশীৰ্ব্বাদে করিল। দয়াদেবী হাত বাড়াইলেন, ধীরেন নিকটে সরিয়া তার কোনো অমঙ্গল হবে না। বড় আশা করেছিলাম গেল, দয়াদেবী তাহার মাথায় হাত রাখিয়া তাহা চিবুক বাবা, মায়ার সঙ্গে তোর বিয়ে দেবো—সে সাধ আমার স্পৰ্শ করিয়া চুম্বন করিলেন। তারপর বলিলেস- আৱে না আর-একটা কথা তোকে রাখতে হবে বাবা । আমি কি টাকা জমিয়ে রেখেছি, তা তোকে নিতে হবে। মায়া কাছার মধ্যে বলিয়া উঠিল— আমি আর কখনো বীরেন একটু ভাবিয়া বলিল—আগা দাও দা, অ্যাদা কাজ করব না বীরেন না, তুমি আমাকে বিয়ে চেয়েও গরিবদের সেবায়ু লাগবে । দোরো মায়া এই কথায় দয়াদেবী ও বীরনের কান্না যেন থলিয়া উঠিল । ধীরেন দুইহাতে মায়াকে জড়াইয়া বুকে রাত থাকিতে উঠিয়া বীরেন দয়াদেবীৱ-কাছে বিদায় পিয়া ধরিল লইয়া চোখের জল মুছিতে-মুছিতে ঘর হইতে বাছির হইয়াই দেখিল অন্ধকারে রাজবালা চুপ করিয়া দাড়াইয়া আছে দয়াদেবী অনেকক্ষণ চোখ বুজিয়া থাকিবা একটু শান্ত ইয়া বলিলেন— বীরেন, আমার লোহার সিন্দুকে এক তাহাকে দেখিয়া চমকিত হইয়া বীরেন জিলাসা কল বায় গহনা আছে, সে তোর বেীকে দেবে। বলে মানত তুমি এখানে কি করছ ? ৱে তুলে রেখেছি ; তুই সেই বাল্লটা নিয়ে আয়, কল রাজবালা অতি মৃদু স্বরে বলিল—তুমি যে বাছ তার ব্যাঙ্কে সেফ-ডিপজিট করে রেখে দি বীরেনের সমস্ত অন্তর আলোচিত হইয়া উঠিল। সে মা, আমি বিয়ে করব না । বিয়ের অাশা আমার অার কোনো কথা বলিতে পালি না : গেছে। ও গহনা আমি মায়াকে দিলাম । জবালা আবার বলি—কবে ফিরবে রাজবালার স্বর বড় কম্পিত, বড় আন্দ্ৰে। মায়া উৎফুল্প হইয়া বীরেনের গলা স্নাইয়া ধরিয়া লি—আমি তোমার বোঁ বীরেনা, তাইতে আমাকে বীরেন আবেগ সম্বরণ করিয়া কঠিন ইয়া বলি এই আমার অগস্ত্যযাত্ৰা, তোমার সঙ্গে আর কখনো দেখা বীরেন স্নান হাসি হাসিয়া বলিল— —না ভাই, তুমি আমার রাজবালা ইতস্তত দ্বিতে-করিতে বলিল-আমায় বলে বলে তোমাকে দিলাম । ধাও আমি কি করব ?