পাতা:অপূর্ব্ব দেশভ্রমণ - প্রথম ভাগ.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবাকপুরদর্শন । や ど মধ্যবিৎ গৃহস্থ লোকদের পুত্রগণের নিমিত্ত কিম্বা বাণিজ্য ব্যৰসায়ী লোকের পুত্রগণের নিমিত্ত যে বিদ্যালয়, তাহাতেও পূর্ব্বোক্ত প্রকারে শিক্ষাদান করা হইত, কিন্তু ঐরূপ উত্তম প্রকারে নহে, কিঞ্চিৎ অপেক্ষাকৃত নূ্যন । বাণিজ্য শিক্ষাঘাঁদিগকে, একাদশ বর্ম বয়ঃক্রম হইলে বাণিজ্য ব্যবসারীর নিকটে পাঠান হইত, তথায় তাহার। পঞ্চদশ বর্ষ পর্য্যন্ত ঐ ব্যবসায় শিক্ষা করিত । বালিকা বিদ্যালয়ে ও প্রায় বালকদিগের মত বালিকাদিগকে শিক্ষা দেওয়া হইত। তাহদেরও দাসীগণের পাচ বৎসর পর্য্যন্ত পরিধেয় পরাইয়া দিত। যদি প্রকাশ হুইত যে পরিচারিকাগণ বালিক্ষণদিগের নিকট ভয়জনক গম্প কিম্বা বুথ গণপ করিয়াছে, তাহা হইলে তাছাদের তিন বার নগর ভ্রমণ করাইয়া বেত্রাঘাত করা হইত, এক বৎসর কারাগার বাসের হুকুম হইত এবং এক জনশূন্য দেশে নির্বাসিত করা হইত। এইরূপে বালিকার ভাতস্বভাবা না হইয়া পুৰুষের ন্যায় সাহসী হইত । কোন অলঙ্কণরণদি ভাল বাসিত না, কেবল ভদ্রতা ও পরিস্কার আচার ভাল বাসিত। স্ত্রীপুৰুষের শিক্ষা বিষয়ে অন্য, কোন বৈপরিত্য ছিল না, কেবল স্ত্রীলোকেরা কঠিন ব্যায়ামক্রীড়ায় অসমর্থ ছিল । তথাকার লোকদের উদ্দেশ্য যে স্ত্রীলোকেরা বুদ্ধিমতী ও সৎস্বভাবা হয় । কন্যা দ্বাদশবর্ষীয়া হইলে পিতামাতা তাছাকে বিদ্যালয়