পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t: আমার বোম্বাই প্রবাস বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করিবেন, তখন গণৎকারের গণিয়া বলে ষে এই যাত্রাই তাহার শেষ যাত্রা, আর তাহাকে দেশে ফিরিতে হইবে না। তাহদের কথায় প্রত্যয় করিয়া তিনি পূর্ব্ব হইতেই গৃহ কার্য্যের ব্যবস্থা করিয়া যাইতে কৃতনিশ্চয় হইলেন। তাহার সপ্ত সপ্ততি বেগম ছিল, তাহাদের গতি কি হইবে ? তিনি এক উপায় স্থির করিলেন, বেগমদের পুষ্করিণীর জলে ডুবাইয় পুকুরের ধারে তাহদের সারি সারি গোর দিয়া, নিশ্চিন্ত হইয়। যুদ্ধ যাত্রায় নিস্ক্রান্ত হইতে পারেন, এই ভাবিয়া তাহাই করিলেন। গল্পটা সত্য কি না ঠিক বলা যায় না, কিন্তু সারি সারি একই ধরণের এতগুলি স্ত্রীলোকের গোর দেখিয়া ইহা নিতান্ত অমূলক বলিয়া বোধ হয় না। সাহাপুরের পশ্চিমে নেীরসপুর। দ্বিতীয় ইব্রাহিম বিজাপুব ছাড়িয়া এই এক নুতন রাজধানী পত্তনের সংকল্প করিয়াছিলেন। ঐ উদ্দেশে ঐ স্থানে ১৬০০ অব্দে অনেক বড় বড় ঘর বাড়ী নির্ম্মাণ আরম্ভ হয় । স্থানটি গিবিকানন পরিবৃত, বিজাপুর অপেক্ষ দেখিতে সুদৃশু। ইব্রাহিমের সাধ কিন্তু অপূর্ণ রহিল। আবার সেই গণৎকারের অন্তরায় । তাহারা তাহাকে রাজধানী পরিবর্তনে অমঙ্গল বলিয়া সতর্ক করাতে তিনি সে পরামর্শ অগ্রাহ করিতে আর সাহস করিলেন না। র্তাহার সে সংকল্প পরিত্যক্ত श्झेल ? বিজাপুরের সুখ সম্পদের পূর্ণবস্থার মধ্যে এক একজন পরিব্রাজক আসিয়া বিস্ময়ানন্দ উচ্ছাসে যে সহরবর্ণনা করিয়া গিয়াছেন, তাহ হইতে সেকালের অবস্থা কতকটা অবগত হওয়া যায়। দৃষ্টান্তস্থলে আসাদবেগের লিখিত বিবরণ দেওয়া যাইতে BBB S BBBBBB BBBS BB BB BBS BBBB S BBBBS BBB BBB ইব্রাহিম আদল সা ও সম্রাট আকবর—ইহাদের মধ্যে এক সন্ধিবন্ধন হয় । সেই উপলক্ষে সম্রাটের পুত্র রাজকুমার দানিয়েলের সহিত ইব্রাহিম স্বীয় কন্যার বিবাহ দিতে প্রতিশ্রুত হন । এই সময়ে আসাদবেগ মোগল সম্রাটের দূত হইয়া বিজাপুর আসেন। তথায় সুলতান যথোচিত আতিথ্য সৎকার সহকারে অভ্যর্থনাপূর্ব্বক বহুমূল্য উপহার দিয়া র্তাহাকে রাজকুমারী সমভিব্যাহারে বিদায় করেন । সুপ্রসিদ্ধ ইতিহাস-লেখক ফেরিস্তাও কস্তাযাত্রী দলে ছিলেন । এই সঙ্গে মোগল সম্রাটের জন্ত বহুমূল্য মণি রত্ন ও বাছ বাছ হস্তী উপঢৌকন প্রেরিত হয়। এই বিবাহে রাজকুমার র নিজের ইচ্ছা ছিল না । তিনি ভীম তীর পর্য্যন্ত আসিয়া ফিরিয়া যাইতে চাহিলেন । রাত্রে এক প্রবল ঝড় উঠিল, তাম্বু কানত ছিন্নভিন্ন হইল ও রক্ষকের ছড়িভঙ্গী হইয় পড়িল ৷ এই অবসরে রাজকুমারীও পলায়ন করিলেন। সকালে আবার তাহাকে ধরিয়া অনা হয় এবং আসাদবেগ যথানির্দিষ্ট স্থানে তাহকে পৌঁছিয়া দেন। এই আসাদবেগ বিজাপুর