পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१ ॐ ई আমার বোম্বাই প্রবাস ইহার পরেও কতবার বিজাপুর রাজা শিবাজীর বিরুদ্ধে সৈন্ত প্রেরণ করেন কিন্তু, র্তাহার সমুদায় চেষ্টা ব্যর্থ হয়, পরিশেষে নিতান্ত নিরুপায় দেখিয় তাহার সহিত সন্ধিবন্ধনে পরিত্রাণ পাইলেন। ফলে কল্যাণ হইতে গেওয়া পর্য্যন্ত সমুদায় কোঙ্কণ প্রদেশ এবং ভীম হইতে বারণা নদী পর্য্যন্ত ঘাটশ্রেণীর প্রদেশসমূহ, দক্ষিণে ১৬০ মাইল, এবং পূর্ব্বে ১০০ মাইল ব্যাপিয়া শিবাজীর অধিকারভুক্ত হইল । এখনো কিন্তু সকল সঙ্কট দূর হয় নাই—বিজাপুরের আক্রমণ হইতে রক্ষা পাইয়া আৰার মোগলের কোপচক্রে পতিত হইলেন। এক ফড়ি গিয়া আর এক ঘোরতর ফীড়া উপস্থিত। এই বিষম সঙ্কট হইতে শিবাজী কি কৌশলে উদ্ধার পাইলেন তাহ। বর্ণনাযোগ্য । ১৬৬২ সালে মোগলের সহিত র্তাহার যুদ্ধারম্ভ হয়। অতঃপর দক্ষিণের মোগল প্রতিনিধি সায়েস্ত থ। শিবাজীকে শাসন করিতে সৈন্তসমস্ত সমভিব্যাহারে বাহির হইলেন। শিবাজীর সৈন্ত ছিন্ন ভিন্ন করিয়া নবাব পুণায় আসিয়া অড করিলে শিৱাজী তাহার সিংহগড় দুর্গে প্রবেশ করিলেন। নবাব তাহাকে লিখিয়া পাঠান— “তুমি মৰ্কট বানরের মত পাহাড়ের উপর বসে থাক-যুদ্ধের বেলায় কেল্লায় বন্ধ থেকে এগোতে সাহস কর না, এবার আমি তোমাকে গ্রেপ্তার না করে ছাড়ব না।” শিবাজী উত্তর করিলেন—“আমি বানর সত্য কিন্তু সেই রামসৈন্ত বানরের জাত যার রাবণ বধ করে লঙ্কা জয় করেছিল। আমি তোমাকে এমন জব্দ করব যে পালাবার পথ পাবে না।” বাস্তবিক তাহার কথাই ঠিক হইল। নবাব যে বাড়ীতে ছিলেন তাহা এক সময়ে শিবাজীর বাসগৃহ ছিল, নাম লাল মহল, তিনি তাহার অন্তর বাহির অন্ধি সন্ধি সকলি ভাল করিয়া জানিতেন । সায়েস্তা খা সেনা-পরিবৃত-বাহির হইতে শত্রুর আক্রমণ নিবারণের জন্ত যাহা কিছু করা যাইতে পারে কিছুই ক্রটি করেন BBB S BBBB BBBB BBBBB BBB BBB DD DDBB BBB DDDS BBBB স্থানে স্থানে সৈন্যদল স্থাপন করিয়া ২৫ জন মাওলীর সঙ্গে এক বিবাহের বরযাত্রী দলে মিশিয়া নগরে প্রবেশলাভ করেন। কেহ কিছু সন্দেহ করিবার পূর্ব্বে পিছনের এক দ্বার দিয়া নবাবের গৃহে প্রবেশ করিলেন । সায়েস্তা খাঁ এইরূপ আকস্মিক বিপদ দেখিয়া পলাইবার পথ পাইলেন না। শেষে আপনার শয়ন গৃহের গবাক্ষ হইতে বাপ দিয়া নীচে লাফাইয়া পড়িয়া খঙ্গাঘাতে দুইটি মাত্র অঙ্গুলি হারাইয়া কোনমতে পার পাইলেন । এই উপপ্লবে নবাবের পুত্র ও অনুচরবর্গ মারা পড়ে। শিবাজীর চকিতের স্থায় উদয়-চকিতের ন্তায় অন্তর্ধান। তাহার অনুচরগণের জয়ধ্বনি ও মসালের আলোকের মধ্যে তিনি মহাসমারোহে স্বীয় দুর্গে পুনঃ প্রবেশ করিলেন। এই অদ্ভুত