পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বোম্বfষ্ট প্রবাস لاول ج অল্পস্বত্র হইতে কি বৃহৎ কার্য্য প্রস্তু ত হয় তাহ ইতিহাসের পৃষ্ঠায় নিয়তই পাঠ করা যায়। আমরা অদুরদর্শী, বিশ্ববিধাতার কার্য্যপ্রণালীর সকল দিক্‌ দেখিতে পাই না, মুদুর পরিণাম বুঝিয় উঠতে পারি না। কেবল এ কথা অসন্দিগ্ধচিত্তে বলা যায় যে ঈশ্বরের রাজ্যে সত্যের জয় অবগুস্তাবী, যাহা সত্য মঙ্গল তাহী স্থায়ী, যাহা অসত্য শীঘ্রই হউক্ বিলম্বেই হউক, নিশ্চয়ই তার পতন। যেমন গীত বলিয়াছেন, “নাসতে BBB BB BBB BBB BBS BB BBB BBS BBDSDB BB BB BBB নাই । বোম্বাই সমাজে যে সকল শক্তি অলক্ষিতভাবে কার্য্য করিতেছে, প্রার্থনা-সমাজ তাহার অন্ততর। আর আর শক্তির কার্য্য কতক আমাদের বোধগম্য, কতক বা দৃষ্টিবহিভূত। যাহা স্পষ্ট দেখা যায় তাহা ভারতের সর্ব্বত্রই সমান—সে হচ্ছে পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘর্ঘ, পাশ্চাত্য সাহিত্য বিজ্ঞানের আলোক-কিরণ, এক কথায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাব । এই শিক্ষার ফলে আমাদের সমাজে কত না পরিবর্তন হইতেছে, ভবিষ্যতেও কিরূপ পরিবর্তন ও উন্নতি হইবে তাহ আমাদের কল্পনাতীত । আমার মনে হয় আমাদের সকল প্রকার সামাজিক রোগের মহৌষধ—নরনারীর মধ্যে শিক্ষা বিস্তার। আমাদের গোড়ার অভাব সেই শিক্ষার অভাব। লোক সাধারণে শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা-বিশেষতঃ স্ত্রী-শিক্ষার অভাবে আমাদের সমাজ-সংস্কার চেষ্ট সর্ব্বৈব ব্যর্থ হইতেছে । শিক্ষা চাই, শিক্ষা চাই, এই আমাদের আর্তনাদ। যাহা হইয়াছে তাহ অল্পই, আরো অনেক দরকার । এই কারণেই হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব আমরা সর্ব্বান্তঃকরণে অনুমোদন করিতেছি। তবে এইখানে বলিয়া রাখি যে, এই হিন্দু যুনিবার্সিটির কর্তৃপক্ষেরা যেন সব দিক দেখিয়া উদারভাবে তাহাদের কার্য্যপ্রণালী নিৰ্দ্ধারণ করেন। তাহারা যদি কালস্রোতের প্রতিকুলে উজান বহিয়া যাইতে ইচ্ছ। করেন, যে সকল কুসংস্কার হইতে আমরা বহু তপস্তায় মুক্তি লাভ করিয়াছি, সে সকলকে পুনর্জীবিত করিবার চেষ্টা করেন, যে সমস্ত সামাজিক নিয়ম আমাদের জাতীয় একতার বিরোধী, জাতীয় উন্নতির প্রত্যবায়—সে সমস্ত পুনঃ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ করেন, তাহা হইলে এই য়ুনিবার্সিটি স্থাপনের ফল হিতে বিপরীত হইবে । ঘড়ির কাটা উলট দিকে ফিরাইতে গেলে ঘড়ি বন্ধ হইয়া যায়। যাহার এই যুনিবর্সিটি চালাইবার ভার লইবেন তাহারা যেন মনে রাখেন যে শাস্ত্র অপেক্ষা সত্য গরীয়ান, শাস্ত্রের দোহাই দিয়া যেন সত্যের অবমাননা না হয়, ধর্ম্মের নামে গোড়ামি প্রশ্রয় না পায় ।