পাতা:উপকথা.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : কেন যে ধনদাস বলিয়াছিলেন যে “ আমি পুরন্দরের नइन হিরণের বিবাহ দিব না,”তাহ কেহ জানিত না । তিনি डुङ् কাহারও সাক্ষাতে প্রকাশ করেন নাই। জিজ্ঞাসা করিলেখলিছেন, " বিশেষ কারণ আছে।” হিরন্ময়ীর অষ্টান্ত জনেক সম্বন্ধ আসিল—কিস্ত ধনদাস কোন সম্বন্ধেই সন্মত হইলেন না । বিবাহের কথামাত্রে কর্ণপাত করিতেনয় । “ কস্তা বড় হইল” বলিয়৷ গৃহিণী তিরস্কার করিতেন, ধনদাস শুনিতেন না। কেবল ৰলিতেন, “গুরুদেৰ আমুন—তিনি আসিলে এ কথা হইবে।” পুবন্দর সিংহলে গেলেন । র্তাহার সিংছল যাত্রার পর স্কুই বৎসর এই রূপে গেল । পুরন্দর ফিরিলেন না । হিরন্ময়ীর কোন সম্বন্ধ হইল না । চিরণ, অষ্টাদশবর্ষীয়া হইয়া উদ্যান মধ্যস্ত নবপল্লবিত চুতবৃক্ষের ন্যায় ধনদাসের গৃহশোভা করিতে লাগিল । হিরন্ময়ী ইহাতে দুঃখিত হয়েন নাই । বিবাহের কথা হইলে পুরন্দরকে মনে পড়িত ; তাহার সেই ফুল্ল কুসুমমালা- ৷ মণ্ডিত, কুঞ্চিত কৃষ্ণ কুন্তলাবলীবেষ্টিত, সহাস্য মুখমণ্ডল মনে পড়িত; তাহার সেই দ্বিরদ শুভ্র স্কন্ধদেশে স্বর্ণ পুষ্পশোভিত নীল উত্তরীয় মনে পড়িত ; পদ্মহস্তে হীরকাঙ্গুরীয়গুলি মনে পড়িত : , হিরন্ময়ী কাদিতেন । পিতার আজ্ঞা হইলে যাহাকে তাহাকে বিবাহ করিতে হইত। কিন্তু সে জীবন্ম তু্যবৎ হইত। তবে । তাহার বিবাহোদ্যোগে পিতাকে অপ্রবৃত্ত দেখিয়া, আহলাদিত হউন বা না হউন, বিশ্মিষ্ঠা হইতেন । লোকে এত বয়স অবধি কন্যা অবিবাহিত রাখে না-রাধিলেও তাহার সম্বন্ধ করে। তাহার পিতা সে কথায় কণপৰ্য্যন্ত দেন না কেন ? একদিন অকস্মাৎ এবিষয়ের কিছু সন্ধান পাইলেন।