পাতা:বিটকেলের দপ্তর - বিপিনবিহারী বসু.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిపి বিটকেলের দপ্তর। বলিয়া থাকে। ডাক্তার বাবুবাও নিজ নিজ গুণানুযায়ী এই সমস্ত নামগুলি অধিকার করেন । নাম সম্বন্ধে স্কুল মাষ্টাৰ আর ডাক্তারেব কপাল সমান, সম্মুখে ছাত্রনামায় মাষ্টারকে মাষ্টার মশাই বলিব ডাকে কিস্তু পিছনে কেদাব মাষ্টার, ব্রজ মাষ্টার এই রকম মামেরই চলন, আবাব মাঝে মাঝে মিষ্টতর সম্ভাষণও হইয় থাকে। বাবু বলিলেই বাঙ্গালীব একটু কেমন মাস্ত কবা হয় । কিন্তু ডাক্তাব বাবুরা সে সুখে বঞ্চিত “অমুক ডাক্তাব” “অমুক ডাক্তাব” এই হচ্চে চলন । যদি কেহ বলেন যে সাহেব ডাক্তাবকে কেহই "মিষ্টার” বলে না, তাহাব উত্তর এই যে ইংবাজিতে ডাক্তাব নামেব যে ম’ন্ত বাঙ্গালী ভাষায় সে চলন আজও হয নাই । , ৮ । পুৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, সব ব্যবসায়ে “চালেব” দ ব কার, কিন্তু ডাক্তারিতে “চাল” না হইলে একেবারে চলে না । পূর্ণমাত্রায় ডাক্তার হওযাব দিন হইতে “পটল তোলাব’’ দিন অবধি এই “চাল” “অত্যাবস্ত্যক। ডাক্তার বাবু ষে দিন প্রথমে আসরে নাবেন সে দিন বড় ভয়ানক । রাস্তাফ গাডির ভিডে কলিকাতার নবাগত পল্লিগ্রামবাসীব যেরূপ দুন্দশা, ডাক্তার বাবুবও তদ্রুপ । কেথি যাই, কি করি, কেহ ডাকিবে কি না, এই ভাবনা লইয়া ডাক্তাব বাবু, অস্থির । গাড়ী ঘোড়া না থাকিলে মান থাকে ন—মায় কবিরাজের অবধি গাড়ী চড়িতেছে । সুতরাং নাপিতের মত পদব্রজে বাহিক হওয়া মহাদায় । এ রকম অবস্থায় গাড়ি ঘোড ভারি আবশুক—কিন্তু ঘোড়া রোজ রোজ দfন খায় মায কোচমান ও সহিস প্রতিমাসে মাছিনা লয়, মই মুস্কিল ।