পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३७● প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৬ [ ২৯শ ভাগ ২য় খণ্ড পথে টাকা ছড়াবে। শেজতোলানি না দিয়েই পালিয়েচে । আমরা কান ধরে এক শো টাকা শেজতোলানি আদায় করে নেব। কেহ ইস্কুলেখাকে স্বাকড়িয়া ধরে, কেহ জোর করিয়া তাহার মুখ তুলিয়া ধরিয়া বলে—তোর মুখে আহলাদ ফুটে বেঙ্কচ্চে, লুকিয়ে রাখবি কোথায় ? কেবল ঐ রকম সব কথা। ইন্দুলেখা কি বেহায় যে ঐ সব কথা-কাণ পাতিয়া শুনিবে ? ছি । সে সঙ্গিনীদের কথার মধুৰিষের জালায় মাতার কাছে পলায়ন করিয়া গিয়া নিস্তার পাইত । কিন্তু মেয়েণ্ডল কি তাহাকে মিছামিছি জালাতন করিত ? সেই ছিল এক ইন্দুলেখা ৰখন অজানিত আশঙ্কাবিষাদের কালিমা তাহার অনিন্দ্য মুখখানি আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিয়াছিল, আর এখন ? সে ছায়া অপস্থত হইয়াছে, দুর্ভাবনার রাত্রি অতীত হইয়া নিৰ্ম্মল কোমল পূৰ্ব্বাকাশে প্রভাত অরুণের আলোক विकीब्रिउ इहेर७८छ । ?ञ्चबाजाक्कल्ल श्रशिनौ टैंलवानभ्रूङ হইয়া প্রভাত স্থধ্যকিরণে প্রস্ফুটিত হইয়া উঠিয়াছে। অকারণে যখন তখন ইন্দুলেখার মুখে লাল জাভা দেখা দেয়, একা থাকিলে থাকিয়া থাকিয়া বুক চমকিয় ওঠে, কিসের শব্দ শুনিবার জন্ত কাণ পাতিয়া থাকে, জানালা খুলিয়া বাগানের দিকে একদৃষ্ট্রে চাহিয়া থাকে। এ সকল কেহ দেখিতে পাইত না, কেহু জানিত না । চঞ্চলত যে সকলের অপেক্ষা ইন্দুলেখার অধিক তাহ। কেহ জানিতে পাইত না, তাহাকে সৰ্ব্বক্ষণ চিত্ত দমন कब्रिएङहे ढ्हेङ । seहे करून हेन्यूटनशाद्र श्वषद्रदाफ़ौ इइंटङ उरु আসিল। তত্ত্ব দেখিয়া সকলে ধনু ধগু করিতে লাগিল, কেবল বরদাকান্ত নাসিক কুঞ্চিত করিলেন,—আমার কাছে বড়মান্থী দেখাতে এয়েচে । কতকগুলো কাচ পয়সা হয়েচে কি না ! রাধানাথ ঠাকুর চটিয়া গেল । বলিল,—তারা বউকে ভাল করে তত্ত্ব করেচে, ইন্দুকে দামা দামী এক গা গহনা দিয়েচে, সেটাও কি তাদের অপরাধ হল ? —মখমলের উপর জরির কাজ করা নতুন ঢাকা, রূপার খালা, ঝিয়েদের হাতে মোটা মোটা সোনার ভাগ, এত সব বাড়াবাড়ি কেন ? —ধাদের আছে তারা দেবে না কেন ? বিয়ের রাত্রে ত জামাইয়ের চালচুলে নেই বলে তাকে শুনিয়ে অপমান করেছিলে, পাছে আবার সকাল বেলা অপমান কর এই ভয়ে তাকে আমি রাতারাতি সরিয়ে দিই। আর ধেই দেখলে জামাই ভাল ঘরের ছেলে, বাপ সঙ্গতিপন্ন লোক, জামাই এই অল্প বয়সে জ্ব মাসের মধ্যে লাখে টাকা নিজে রোজগার করেচে অমনি তোমার চোখ বুক টাটাচ্চে । তোমার নিজের মেয়ে নিজের জামাই বলে একটু মায়া इम्न ना ? —জামাই বলে" অত জাক কেন ? –কিসের জাক দেখলে আর কবেই বা তুমি তাকে দেখলে ? আমি তাকে দেখেচি আর আমি জানি ৰে সে তোমার মত পাচটাকে ট্যাকে গুজতে পারে । বেহাই-বাড়ীর লোক আসিতেছে দেখিয়া বরদাকান্ত থামিয়া গেলেন । वाऊँौब्र खिउद्र उख छूणिबा जहेब cश्धानिनौ उरुবাহকদের আহারের আয়োজন করিতেছিলেন। সঙ্গে ষে কয়জন কি আসিয়াছিল তাহার এ-ধর ও-ধর ঘূরিয়া দেখিল, বড়মাকুবের বাড়ী বটে। যে কি ব্ৰজনাথকে মাছুব করিয়াছিল সে ইন্দুলেখাকে ভাল করিয়া দেখিল । বলিল,—দাদাবাবুর কোথাও কিছু নেই,আমাদের বাড়ীতে কেউ কিছু জানে না, পথের মাঝখানে বিয়ে হয়ে গেল । কিন্তু সাত দেশ খুঁজলেও ওঁর এমন বউ কোথায় পেতেন ? লোকজন যাহারা আসিয়াছিল তাহাদের আহারের সময় বাড়ীর মেয়ের নিজে পরিবেশন করিতে লাগিলেন । হরিমতী দাড়াইয়া কাহার কি আবশুক জিজ্ঞাসা করিতেছিলেন। ধামা হইতে গোছা গোছা তপ্ত লুচি পাতে পড়িতেছিল । পুকুরের পোনা মাছ, সোমড়ার কাচাগোল্লা, কাঁচরাপাড়ার চাপ, বাগানের ইচড়ের ডানল, বেগুন পটল ভাজা পাতে পাতে পাকার হইয়া উঠিল। খুরিতে দই ক্ষীর ফুরাইলেই আবার তখনি পাত্র পূর্ণ হইতেছে। আহারের পর হেমাঙ্গিণী বেহাই-বাড়ীর পুরাতন ৰির সঙ্গে গল্প করিতে বসিলেন। বলিলেন,–পাচ দিন পরে তোমাদের বউ ত তোমরা নিয়ে ভাবে । জামাই কৰে আসবেন ? এখানে ছুদিন থাকবেন না ?